প্রশ্ন-১। কার্বনিক এসিড কি?
উত্তরঃ কার্বনিক এসিড (Carbonic acid) হলো একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সংকেত হলো H2CO3। সাপ তাড়াতে, কোমল পানীয় তৈরিতে ও শিল্পক্ষেত্রে কার্বনিক এসিড ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-২। আয়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধানযুক্ত পরমাণুকে আয়ন বলে।
প্রশ্ন-৩। পিতল কাকে বলে?
উত্তরঃ কপার ও জিংকের সমন্বয়ে গঠিত সংকর ধাতুকে পিতল বলে।
প্রশ্ন-৪। গ্যাস আয়তন সূত্র কে এবং কত সালে আবিষ্কার করেন?
উত্তরঃ গ্যাস আয়তন সূত্রটি গে-লুসাক 1808 খ্রিস্টাব্দে আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন-৫। সংকট আয়তন বা সন্ধি আয়তন কাকে বলে?
উত্তরঃ সংকট তাপমাত্রা ও সংকট চাপে 1 মোল পরিমাণ কোন গ্যাস যে আয়তন দখল করে তাকে সংকট আয়তন বা সন্ধি আয়তন বলে। একে Vc দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন-৬। সন্ধি চাপ বা সংকট চাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন গ্যাসকে তার সন্ধি তাপমাত্রায় রেখে ন্যূনতম যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে তরলে পরিণত করা যায় ঐ চাপকে সন্ধি চাপ বা সংকট চাপ বলে। একে Tc দ্বারা নির্দেশ করা হয়।
প্রশ্ন-৭। ব্রাইন কাকে বলে?
উত্তরঃ NaCl এর গাঢ় জলীয় দ্রবণকে ব্রাইন বলে।
প্রশ্ন-৮। গ্যাসোলিন কাকে বলে?
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম তেলকে আংশিক পাতন করলে 35°C থেকে 175°C তাপমাত্রায় যে তরল মিশ্রণ পাওয়া যায় তাকে গ্যাসোলিন বলে। গ্যাসোলিনে n-হেক্সেন, n-হেপ্টেন, n-অক্টেন প্রভৃতি সরল শিকল অ্যালকেন থাকে। এসব অ্যালকেন থেকে রিফর্মিংয়ের মাধ্যমে বেনজিন, টলুইন প্রভৃতি অ্যারোমেটিক যৌগ প্রস্তুত করা যায়।
প্রশ্ন-৯। আইসোবার কাকে বলে?
উত্তরঃ একাধিক মৌলের পরমাণুর মধ্যে যদি ভর সংখ্যা সমান হয় তবে তাদেরকে পরস্পরের আইসোবার বলে। আইসোবার অবশ্যই বিভিন্ন মৌলের পরমাণু। তাই পর্যায় সারণিতে এদের অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন স্থানে।
প্রশ্ন-১০। কলয়েড দ্রবণ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন বস্তুর অতিক্ষুদ্র কণিকাসমূহ যখন কোন তরল পদার্থে মিশ্রিত অবস্থায় থাকে, তখন ঐ মিশ্রণকে কলয়েড দ্রবণ বলে।
প্রশ্ন-১১। ঋণাত্মক প্রভাবক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রভাবক কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতি হ্রাস করে তাকে ঋণাত্মক প্রভাবক বলে।
প্রশ্ন-১২। ধনাত্মক প্রভাবক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রভাবক কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিকে বৃদ্ধি করে তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলে। যেমনঃ পটাশিয়াম ক্লোরেট (KClO₃) হতে অক্সিজেন উৎপাদন কালে ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO₂) বিক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে। এজন্য ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড একটি ধনাত্মক প্রভাবক। আরো কিছু ধনাত্মক প্রভাবক হল (V₂O₅; MnO₂; Al₂O₃; NH₃; Pt; Cu; Fe) ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৩। অ্যানায়ন কি?
উত্তরঃ অ্যানায়ন হচ্ছে ঋনাত্বক চার্জযুক্ত পরমাণু বা যৌগমূলক।
প্রশ্ন-১৪। মাইক্রো পদ্ধতি কি?
উত্তরঃ মাইক্রো পদ্ধতি হচ্ছে অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ রাসায়নিক উপাদানের শনাক্তকরণ ও পরিমাণগত বিশ্লেষণ যেখানে সাধারণত 10 mg বা 1 mL এর চেয়ে কম পরিমাণ রাসায়নিক উপাদানের বিশ্লেষণ করা হয়।
প্রশ্ন-১৫। জৈব যৌগ কাকে বলে?
উত্তরঃ হাইড্রোকার্বনসমূহ এবং তাদের জাতকসমূহকে একত্রে জৈব যৌগ বলে।
প্রশ্ন-১৬। গলনাঙ্ক বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে কোন কঠিন পদার্থ যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় গলে তরলে পরিণত হয়, তাকে ঐ পদার্থের গলনাঙ্ক বলে। উদাহরণ : বরফের গলনাঙ্ক 0°C অর্থাৎ 0°C তাপমাত্রায় এক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে বরফ গলে পানিতে পরিণত হয়।
প্রশ্ন-১৭। স্ল্যাগ কাকে বলে?
উত্তরঃ ব্লাস্ট ফার্নেসে প্রাপ্ত ধাতুমলকে স্ল্যাগ বলে।
প্রশ্ন-১৮। বিটুমিনাস কয়লা কাকে বলে?
উত্তরঃ 44.9-78.2% ফিক্সড কার্বনবিশিষ্ট কালো বর্ণের কয়লাকে বিটুমিনাস কয়লা বলে।
প্রশ্ন-১৯। মিশ্রণ ও খাঁটি বস্তুর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ মিশ্রণ ও খাঁটি বস্তুর মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ
- মিশ্রণ সমসত্ব ও অসমসত্ব দুই ধরনের হয়। কিন্তু, খাঁটি বস্তু মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ হতে পারে।
- মিশ্রণের সংযুতি ও ধর্ম পরিবর্তন হতে পারে। অপরদিকে, খাঁটি বস্তুর সংযুতি ও ধর্ম পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্ন-২০। অটো প্রভাবক কাকে বলে?
উত্তরঃ যদি কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উৎপন্ন কোন পদার্থ সেই বিক্রিয়ার জন্য প্রভাবক হিসেবে কাজ করে তখন সেই পদার্থকে অটো প্রভাবক বলে। যেমন: অম্লীয় অক্সালিক অ্যাসিডের (H₂C₂O₄) মধ্যে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ( KMnO₄) যোগ করলে প্রথম দিকে বিক্রিয়ার গতি কম থাকে। কিন্তু বিক্রিয়ায় কিছু Mn²+ তৈরি হওয়ার সাথে সাথে বিক্রিয়ার গতি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে Mn²+ নিজেই প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। এজন্য একে অটো প্রভাবক বলে।