প্রশ্ন-১। ভৌত জগৎ কাকে বলে?
উত্তরঃ জড় পদার্থ ও শক্তি নিয়ে গঠিত জগৎকে ভৌত জগৎ বলে।
প্রশ্ন-২। পরিমাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন রাশির সঠিক মান বা পরিমাণ নির্ণয় করাকেই পরিমাপ বলে।
প্রশ্ন-৩। পরিমাপের ত্রুটি কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিমাপের সময় কোন পরিমাপ্য রাশির অনুমিত অনিশ্চয়তার সূচককে পরিমাপের ত্রুটি বলে।
প্রশ্ন-৪। অনুকল্প কাকে বলে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী তাঁর সূক্ষ ও স্বচ্ছ দৃষ্টি দ্বারা পর্যবেক্ষিত ঘটনার কারণ সম্বন্ধে পূর্ব-আবিষ্কৃত প্রাকৃতিক নিয়মের সাপেক্ষে বিভিন্ন ন্যায়সঙ্গত অনুমান করেন। এ অনুমানকে অনুকল্প বলে।
প্রশ্ন-৫। তত্ত্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ পরীক্ষা-নিরীক্ষার দ্বারা প্রমাণিত অনুকল্পকে তত্ত্ব বলে।
প্রশ্ন-৬। ধারণা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল পূর্ব-আবিষ্কৃত ‘বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও জ্ঞান’ এর ভিত্তিতে অনুকল্প গঠিত হয় তাকে ধারণা (Concept) বলে।
প্রশ্ন-৭। সূত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন তত্ত্বকে যখন কিছু ধারণা বা উক্তি অথবা সমীকরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব হয়, তখন সেই তত্ত্বকে সূত্র (Law) বলে।
প্রশ্ন-৮। স্থান কাকে বলে?
উত্তরঃ বস্তু কর্তৃক অধিকৃত অঞ্চলকে স্থান বলে।
প্রশ্ন-৯। ভর কী?
উত্তরঃ একটি বস্তুতে পদার্থের মোট পরিমাণ হচ্ছে ভর।
প্রশ্ন-১০। মৌলিক একক কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব রাশির একক অপর কোন রাশির এককের উপর নির্ভর করে না তাদের একককে মৌলিক একক বলে।
প্রশ্ন-১১। লব্ধ একক কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব রাশির একক মৌলিক একক থেকে প্রতিপাদন করা হয় তাদের একককে যৌগিক একক বলে।
প্রশ্ন-১২। পদার্থবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর মধ্যে যে সকল নিয়ম নিহিত আছে তার উদঘাটন হল পদার্থবিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য।
নীতি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : নীতি হলো—ভৌত আচরণসমূহের প্রায়োগিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গঠিত সাধারণ বৈজ্ঞানিক ধারণা।
সূত্র ও তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তরঃ সকল সূত্রই তত্ত্ব, তবে সকল তত্ত্ব সূত্র নয়। যে সকল তত্ত্বকে সুস্পষ্ট গাণিতিক রূপে প্রকাশ করা যায় সেগুলোকে সূত্র বলে। আর যে সকল তত্ত্বকে সুস্পষ্ট গাণিতিকরূপে প্রকাশ করা যায় না তা শুধুই তত্ত্ব, সূত্র নয়।