গণিত প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১)

প্রশ্ন-১। সমীকরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো অজ্ঞাত রাশি বা রাশিমালা যখন কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা বা মানের সমান লিখা হয় তখন তাকে সমীকরণ বলে। যেমন, x + y = 2, x3 + 2×2 + x + 2 = 0, x2 – 4 = 0 ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-২। চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ গাণিতিক প্রক্রিয়ায় যে রাশির মান পরিবর্তিত হতে পারে তাকে চলক বলে।

 

যেহেতু চলক যে কোন মান গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এটি কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা দ্বারা নির্দেশ না করে প্রতীক দ্বারা নির্দেশ করা হয়। যেমন: X, Y, Z, P, Q ইত্যাদি।

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৩। সার্থক অঙ্ক কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ সার্থক অঙ্ক ৯টি। যথা- ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ও ৯।

 

প্রশ্ন-৪। ঘন জ্যামিতি কাকে বলে?

উত্তরঃ গণিত শাস্ত্রের যে শাখার সাহায্যে ঘনবস্তু এবং তল, রেখা ও বিন্দুর ধর্ম জানা যায়, তাকে ঘন জ্যামিতি (Solid geometry) বলে। কখনও কখনও একে জাগতিক জ্যামিতি বা ত্রিমাত্রিক জ্যামিতিও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৫। যোগ অংক কাকে বলে?

উত্তরঃ দুটি বা একাধিক অঙ্কের মোট পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতিকে যোগ বলে। আর সংখ্যা বা গাণিতিক আকারে উক্ত প্রক্রিয়া প্রকাশ করাকে যোগ অঙ্ক বলে।

 

প্রশ্ন-৬। হাইয়োরোগ্লিফিকস কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রাচীন মিশরিয়রাদের সংখ্যা লিখন পদ্ধতিকে বলা হয় হাইয়োরোগ্লিফিকস (Hieroglyphics)।

 

প্রশ্ন-৭। কত সেরে ১ পঁশেরি?

উত্তরঃ ৫ সেরে ১ পশরী, পঁশেরি।

 

প্রশ্ন-৮। দেশীয় রীতিতে গণনা পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ দেশীয় রীতিতে গণনা পদ্ধতি আটটি। যথা- একক, দশক, শতক, হাজার, অযুত, লক্ষ, নিযুত ও কোটি।

 

প্রশ্ন-৯। ক্যালকুলাস শব্দটির আভিধানিক অর্থ কি?

উত্তরঃ ক্যালকুলাস শব্দটির আভিধানিক অর্থ নুড়ি।

 

প্রশ্ন-১০। স্বাভাবিক সংখ্যা কি?

উত্তরঃ স্বাভাবিক সংখ্যা হচ্ছে সকল ধনাত্মক পূর্ণসংখ্যা। সকল স্বাভাবিক সংখ্যার সেটকে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অর্থাৎ N = {1, 2, 3,…..}। গণনার প্রয়োজনেই স্বাভাবিক সংখ্যা আবিষ্কৃত হয়, এ কারণে স্বাভাবিক সংখ্যাকে গণনাকারী সংখ্যাও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-১১। বেগের লম্বাংশ কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট দিক বরাবর কোনো বেগের যতটুকু প্রভাব বা ছায়া থাকে, তাকে ঐ দিক বরাবর ঐ বেগের লম্বাংশ বলে।

 

প্রশ্ন-১২। বেগের অংশক কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো বেগের বিভিন্ন দিকে বিভাজিত অংশকে বেগের অংশক বলে।

 

প্রশ্ন-১৩। ক্রয়মূল্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো জিনিস যে মূল্যে ক্রয় করা হয়, তাকে ক্রয়মূল্য বলে।

 

প্রশ্ন-১৪। বিক্রয়মূল্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো জিনিস যে মূল্যে বিক্রয় করা হয়, তাকে বিক্রয়মূল্য বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৫। ত্রিভুজের উচ্চতা কাকে বলে? ত্রিভুজের উচ্চতা কয়টি?
উত্তরঃ ত্রিভুজের যেকোনো শীর্ষবিন্দু হতে বিপরীত বাহুর উপর লম্ব দূরত্বকে ঐ ত্রিভুজের উচ্চতা বলে। ত্রিভুজের উচ্চতা তিনটি।

প্রশ্ন-১৬। রেখাচিত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ তথ্যসমূহ চিত্তাকর্ষক ও সহজে বোঝার জন্য রেখার মাধ্যমে উপস্থাপিত চিত্রকে রেখাচিত্র বলে।

প্রশ্ন-১৭। বলের ত্রিভুজ সূত্র কি?
উত্তরঃ বলের ত্রিভুজ সূত্র হলো– কোনো বিন্দুতে ক্রিয়ারত তিনটি বলের মান ও দিক (অবস্থান নয়) যদি একইক্রমে গৃহীত কোনো ত্রিভুজের তিনটি বাহু দ্বারা সূচিত করা যায়, তবে তারা সাম্যাবস্থায় থাকবে।

প্রশ্ন-১৮। জটিল সংখ্যা বা জটিল রাশি কি?
উত্তরঃ যদি a ও b বাস্তব সংখ্যা হয়, তবে a + ib আকারের সংখ্যাকে জটিল সংখ্যা বা জটিল রাশি বলে। a কে সংখ্যাটির বাস্তব অংশ এবং b কে কাল্পনিক অংশ বলে।

প্রশ্ন-১৯। দশমিক বা দশগুণোত্তর প্রণালি কাকে বলে?
উত্তরঃ অঙ্ক পাশাপাশি বসিয়ে সংখ্যা লিখলে সর্ব ডান দিকের সংখ্যাটি থেকে কোন অঙ্ক এক এক স্থান করে বামদিকে সরে গেলে তার মান উত্তরোত্তর দশগুণ করে বৃদ্ধি পায়- এভাবে দশমিকভিত্তিক অঙ্ক পাতনের বা সংখ্যা প্রকাশের প্রণালিকে দশমিক বা দশগুণোত্তর প্রণালি বলে।

প্রশ্ন-২০। স্বকীয় মান কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো সার্থক অঙ্ক আলাদাভাবে লিখলে যে সংখ্যা প্রকাশ করে তা অঙ্কের স্বকীয় মান।