অপারেটিং সিস্টেম (Operating Software) সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার কী? (What is Operating Software?)

উত্তরঃ যে সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে এপ্লিকেশন সফ্টওয়্যারগুলােকে পরিচালনা করে থাকে তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।

 

প্রশ্ন-২। কে কখন প্রথম অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে?

উত্তরঃ ১৯৫৬ সালে জেনারেল মটরস GM-NAA 1/0 নামে তৈরি করে প্রথম অপারেটিং সিস্টেম।

 

প্রশ্ন-৩। অপারেটিং সিস্টেমের কার্যাবলি কি?

উত্তরঃ অপারেটিং সিস্টেম সাধারণত প্রোগ্রাম পরিচালনা, ইনপুট-আউটপুট অপারেশন, ফাইল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণণ, ত্রুটি নিয়ন্ত্রণ, সিস্টেম বণ্টন, একাউন্টিং, তত্ত্বাবধান ইত্যাদি কার্যাবলি সম্পাদন করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ যে অপারেটিং সিস্টেমে একটির পর আরেকটি প্রােগ্রাম পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করা হয় তাকে ব্যাচ প্রসেসিং সিস্টেম বলে।

 

প্রশ্ন-৫। মাল্টিপ্রোগ্রামিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ এ অপারেটিং সিস্টেম একই সাথে একাধিক প্রােগ্রাম মেমােরির নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সমান্তরালভাবে পরিচালিত হয়।

 

প্রশ্ন-৬। মাল্টিপ্রসেসিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ মাল্টিপ্রসেসিং বলতে দুই বা ততােধিক নির্দেশনা সমান্তরালভাবে দুই বা ততােধিক কেন্দ্রীয় প্রসেসর বা সিপিইউ কর্তৃক পরিচালিত হওয়া বুঝায়।

 

প্রশ্ন-৭। টাইমশেয়ারিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ এ জাতীয় অপারেটিং সিস্টেম প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রােগ্রাম বা ব্যবহারকারীর মধ্যে বণ্টন করে।

 

প্রশ্ন-৮। টাইম স্লাইস কী? (Time Slice)

উত্তরঃ টাইমশেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমে প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য যে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকে তাকে টাইম স্লাইস (Time Slice) বলে।

 

প্রশ্ন-৯। ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেমের সাহায্যে একাধিক কম্পিউটার সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করা হয়।

 

প্রশ্ন-১০। ইউটিলিটি কী?

উত্তরঃ ব্যবহারকারী যাতে সহজে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারে তার জন্য ইউটিলিটি প্রােগ্রাম নির্দিষ্ট কিছু কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে।

 

প্রশ্ন-১১। জব কন্ট্রোল ভাষা কী?

উত্তরঃ এটি একটি ব্যাচ নির্ভরশীল ভাষা যা জব চিহ্নিতকরণ এবং কোন প্রােগ্রাম পরিচালনা করতে হবে তা চিহ্নিতকরণে সহায়তা করে।

 

প্রশ্ন-১২। অপারেটিং সিস্টেমের গঠন কী?

উত্তরঃ নিয়ন্ত্রণকারী অংশ এবং সাহায্যকারী অংশ নিয়ে অপারেটিং সিস্টেম গঠিত হয়।

 

প্রশ্ন-১৩। টেক্সটভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস কী?

উত্তরঃ টেক্সটভিত্তিক কমান্ড ব্যবহার করে কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে টেক্সটভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস বলে।

 

প্রশ্ন-১৪। চিত্রভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস কী?

উত্তরঃ চিত্রভিত্তিক কমান্ড দ্বারা কম্পিউটার পরিচালনা করা গেলে তাকে চিত্রভিত্তিক ইউজার ইন্টারফেস বলে।

 

প্রশ্ন-১৫। ওপেনসাের্স অপারেটিং সিস্টেম কী?

উত্তরঃ যেসব অপারেটিং সিস্টেমের সোর্স কোড উন্মুক্ত থাকে তাকে ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমগুলো সাধারণত বিনামূল্যে ও নির্দিষ্ট শর্তাধীনে ব্যক্তিগত ও বানিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। প্রোপ্রায়েটারি অপারেটিং সিস্টেম কি?
উত্তরঃ প্রোপ্রায়েটারি অপারেটিং সিস্টেম হলাে ওই সমস্ত অপারেটিং সিস্টেম যেগুলাের স্বত্বাধিকারী (Proprietar) থাকে। এসব সফটওয়্যারের কপিরাইট তার স্বত্বাধিকারীর নামে থাকে।

প্রশ্ন-১৮। অন-লাইন/ইন্টারঅ্যাকটিভ স্টোরেজ অপারেটিং সিস্টেম কি?
উত্তরঃ যে পদ্ধতির সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে সরাসরি বা টার্মিনালের সাহায্যে যে কোনাে সময়ে যে কোনাে প্রোগ্রাম প্রসেস করতে পারে, ভুল সংশােধন করতে পারে এবং কম্পিউটারে নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে ফলাফল পেতে পারে, তাকে অন-লাইন অপারেটিং সিস্টেম বলে।

প্রশ্ন-১৯। চিত্রভিত্তিক ও বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ চিত্রভিত্তিক ও বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপঃ

চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম

  • বিভিন্ন কাজ করার নির্দেশ প্রদানের জন্য আইকন ও অন্যান্য চিত্রভিত্তিক বস্তু ব্যবহার করা হয়। নির্দিষ্ট বস্তুতে ক্লিক করলে কাজ হয়।
  • কমান্ড মুখস্থ করে রাখার দরকার হয় না। চিত্রের ধরন দেখে কাজের ধরন বুঝে নেয়া যায়।
  • অপেক্ষাকৃত বেশি মেমোরি প্রয়োজন হয়।
  • গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করার দরকার হয় বলে এ অপারেটিং সিস্টেমের গতি তুলনামূলকভাবে কম।
  • ম্যাকওএস, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ এনটি ইত্যাদি।
  • শুরু করার পর ডেস্কটপে এসে স্থির হয়। সেখান থেকে আইকন চিত্রে ক্লিক করে নির্দেশ দেয়া যায়।

 

বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম

  • কাজের নির্দেশ প্রদান করার জন্য কীবোর্ড থেকে কমান্ড টাইপ করে নির্দেশ দিতে হয়।
  • কাজের নির্দেশ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কমান্ড মুখস্থ করে রাখার দরকার হয়।
  • তুলনামূলকভাবে অনেক কম মেমোরি প্রয়োজন হয়।
  • চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিতে কাজ করে।
  • এমএস ডস, ইউনিক্স, পিসি ডস, লিনাক্সের টেক্সট ভার্সন।
  • শুরু করলে দেখার জন্য কমান্ড প্রম্পটে আসে।