বজ্রপাত, বিদ্যুৎ চমক ও বজ্রনাদ কাকে বলে?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

মেঘ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিবিন্দুর সমষ্টি। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন প্রকার আয়ন (ধনাত্মক ও ঋণাত্মক) থাকে। এসব আয়নের ওপর জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানিবিন্দুর সৃষ্টি করলে মেঘ ধনাত্মক বা ঋণাত্মক আধান লাভ করে। এরূপ বিপরীতধর্মী দুটি মেঘ কাছাকাছি এলে আকর্ষণের ফলে চার্জ এক মেঘ থেকে অন্য মেঘে দ্রুত ছুটে যায়। ফলে ইলেকট্রনের (চার্জ) গতিপথে যে তীব্র আলোক উৎপন্ন হয় তাকে বিদ্যুৎ চমক বলে।

এ সময় আলোর সাথে প্রচুর তাপও উৎপন্ন হয়। বিদ্যুৎ চমকানোর সময় স্ফুলিঙ্গ যে পথে যায় ঐ পথের আশপাশের বায়ু হঠাৎ উত্তপ্ত ও প্রসারিত হয় এবং পরমুহূর্তে শীতল ও সংকুচিত হয়। বায়ুর দ্রুত সংকোচন ও প্রসারণের দরুন তীব্র শব্দের সৃষ্টি হয়। একে বজ্রনাদ (Thunder) বলে।

অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সঞ্চিত কোন মেঘ ভূপৃষ্ঠের নিকটে নেমে এলে ভূপৃষ্ঠে বিপরীতধর্মী আবেশের সৃষ্টি হয় এবং এর আকর্ষণে মেঘের বিদ্যুৎ হঠাৎ পৃথিবীতে শব্দ সহকারে ছুটে এলে তাকে বজ্রপাত বলে।