তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-১০)

প্রশ্ন-১। মূল পেইজ বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ মূল পেইজ বলতে আমরা বুঝি, কোন ওয়েব সাইটে প্রবেশের পর প্রথম যে পেইজ আমরা দেখতে পাই তাই হলো মূল পেইজ বলে। একে হোমপেইজও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-২। তথ্য নিরাপত্তা বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ তথ্য নিরাপত্তা বলতে বুঝায়- তথ্য ও তথ্য সিস্টেমগুলোকে অননুমোদিত অ্যাকসেস, ব্যবহার, প্রকাশ, ব্যহতকরণ, পরিবর্তন, মনোযোগ সহকারে পাঠ, পরীক্ষণ, রেকর্ড বা ধ্বংস করার হাত থেকে রক্ষা করা। তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি থাকায় তথ্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর সেজন্যই নিজস্ব তথ্যের উপর থাকা চাই পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ।

 

প্রশ্ন-৩। ফন্ট কি?

উত্তরঃ ফন্ট হচ্ছে যেকোনো ডকুমেন্টের প্রাণ। ফন্ট ব্যবহারের মধ্যে একজন ওয়েব পেইজ নির্মাতা ডকুমেন্টটিকে শুধুমাত্র সুন্দর করেন তা নয়; এর মাঝে নিজস্ব শৈল্পিক পরিচয়ও তুলে ধরেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। কম্পিউটার পোর্ট কি?

উত্তরঃ কম্পিউটার পোর্ট হলো এক ধরনের পয়েন্ট বা সংযোগমুখ। কম্পিউটারের সিস্টেম ইউনিটের সাথে কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ইত্যাদি যন্ত্রের সংযোগ পয়েন্ট থাকে। এ সংযোগ পয়েন্টকে বলা হয় কম্পিউটার পোর্ট।

 

প্রশ্ন-৫। এইচটিএমএল এর গুরুত্ব কি?

উত্তরঃ HTML এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে যা নিচে আলোচনা করা হলো:

১. এটি একটি ইউজার ফ্রেন্ডলি ওপেন টেকনোলজি।

২. সর্বব্যাপী ব্যবহারযোগ্য।

৩. অধিকাংশ ব্রাউজার সাপোর্ট করে।

৪. ব্যবহার সহজ এবং সিনটেক্স সহজ তাই HTML শেখা সহজ।

৫. যে কোনো টেক্সট এডিটরে কোড লেখা যায়।

৬. পেজের সাইজ কম হওয়াতে হোস্টিং স্পেস কম লাগে, তাই এটি মূল্য সাশ্রয়ী।

 

প্রশ্ন-৬। এক্সপানশন বাস কাকে বলে?

উত্তরঃ কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের এক্সপানশন স্লটের সাথে মাইক্রোপ্রসেসরের সংযোগ তৈরির জন্য যে সকল বাস ব্যবহার করা হয় তাকে এক্সপানশন বাস বলে।

 

প্রশ্ন-৭। IP address কী?

উত্তরঃ IP address হলো এক ধরনের আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার। নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি আলাদা আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ঠিকানা) থাকে। এ ঠিকানাকে IP address বলে।

 

প্রশ্ন-৮। এক্সিকিউট সময় কাকে বলে?

উত্তরঃ মেশিন সাইকেলের শেষের দু’টো ধাপ (এক্সিকিউট ও স্টোর) সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে তাকে এক্সিকিউট সময় (Execuite time) বলে।

 

প্রশ্ন-৯। চৌকস ই-বুক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে বইগুলো বই এর লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও, ভিডিও, এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে তাকে চৌকস ই-বুক বলে।

 

প্রশ্ন-১০। পিডিএফ (PDF) কি?

উত্তরঃ পিডিএফ হচ্ছে পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট (Portable Document Format) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি একটি ওপেন সোর্স ফাইল ফরম্যাট যা অ্যাডোবি সিস্টেম ১৯৯৩ সালে সৃষ্টি করে। এটি দ্বি-মাত্রিক ডকুমেন্ট উপস্থাপনে ব্যবহৃত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১১। যৌগিক গেইট কাকে বলে?

উত্তরঃ দুই বা ততোধিক মৌলিক গেইটের সমন্বয়ে যে গেইট তৈরি হয় তাকে যৌগিক গেইট বলে। যেমন, NAND গেইট একটি যৌগিক গেইটের উদাহরণ। AND গেট ও NOT গেট মিলে NAND গেইট তৈরি হয়।

 

প্রশ্ন-১২। সার্বজনীন গেইট কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল গেইটের সাহায্যে মৌলিক গেইটসহ অন্যান্য সকল প্রকার গেইট তৈরি বা বাস্তবায়ন করা যায় সেই সমস্ত গেইটকে সার্বজনীন গেইট বলে।

 

প্রশ্ন-১৩। ডিকোডার কি?

উত্তরঃ ডিকোডার (Decoder) একটি ডিজিটাল লজিক সার্কিট যা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।

 

প্রশ্ন-১৪। মডিউলাস কি?

উত্তরঃ কাউন্টার সর্বাধিক যতটি সংখ্যা গুণতে পারে তাকে মডিউলাস বা মোড নাম্বার বলে। কোনো কাউন্টারে nটি ফ্লিপ ফ্লপ থাকলে তার মোড নাম্বার হলো 2n।

 

প্রশ্ন-১৫। থ্রপুট কি?

উত্তরঃ প্যারালাল প্রসেসিংয়ের প্রতি একক সময়ে সর্বাধিক যে পরিমাণ আউটপুট বা ফলাফল পাওয়া যেতে পারে তাকে এর থ্রপুট বলা হয়। থ্রপুট প্যারালাল প্রসেসিং পদ্ধতির দক্ষতা পরিমাপের একটি উপায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। অ্যানিমেশন কি?
উত্তরঃ কোনো স্থির চিত্রের চলমান রূপ হচ্ছে অ্যানিমেশন। যেমন- টেলিভিশনে যে কার্টুন আমরা দেখি সেগুলো অ্যানিমেশন।

প্রশ্ন-১৭। ই-বুক কি?
উত্তরঃ ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার (ই-বুক রিডার) ব্যবহার করে পড়া যায়।

প্রশ্ন-১৮। ট্রাবলশুটিং কি?
উত্তরঃ ট্রাবলশুটিং হচ্ছে সমস্যার উৎস বা উৎপত্তিস্থল নির্ণয়ের প্রক্রিয়া। এতে সাধারণত কিছু প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয় এবং পাশাপাশি সমাধান দেওয়া থাকে।

প্রশ্ন-১৯। টেম্পোরারি ফাইল কাকে বলে?
উত্তরঃ বিভিন্ন কাজ করার সময় কম্পিউটার তার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ফাইলের অনুলিপি তৈরি করে, যা পরে আর কোন কাজে না লাগলেও নির্ধারিত জায়গায় থেকে যায়। এগুলোকেই টেম্পোরারি ফাইল বলে, যা কম্পিউটারের গতি হ্রাস করে।

প্রশ্ন-২০। টেক্সটভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধা কি কি?
উত্তরঃ টেক্সটভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের অসুবিধাগুলো হলো–
১. কমান্ড মুখস্থ করার প্রয়োজন হয়।
২. নতুন ব্যবহারকারীরা ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ পায় না।
৩. কী-বোর্ডের কী টাইপ করে নির্দেশ দিতে হয় বলে কমান্ড ভুল হতে পারে।
৪. একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালানো যায় না।
৫. কার্সর সরানোসহ সকল কমান্ড কিবোর্ড ব্যবহার করে করতে হয়।