প্রশ্ন-১। পুনঃচক্রায়ন কাকে বলে?
উত্তরঃ অব্যবহৃত ও উৎপন্ন বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করে তোলাকে পুনঃচক্রায়ন বলে।
প্রশ্ন-২। আয়নিকরণ বিভব কাকে বলে?
উত্তরঃ গ্যাসীয় অবস্থায় কোনো পরমাণুর সর্ববহিঃস্থ স্তর থেকে 1টি ইলেকট্রন সরিয়ে একে একক ধনাত্মক চার্জযুক্ত আয়নে পরিণত করতে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তাকে আয়নিকরণ বিভব বলে।
প্রশ্ন-৩। উত্তেজক পদার্থ কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সকল পদার্থের সংস্পর্শে চামড়া, নাক, কান, গলা এবং ফুসফুসের ঝিল্লিতে জালাপোড়ার সৃষ্টি হয় তাদেরকে উত্তেজক পদার্থ বলে।
প্রশ্ন-৪। কোল্ড ক্রিম প্রস্তুতির উপাদানগুলো কী কী?
উত্তরঃ কোল্ড ক্রিম প্রস্তুতির উপাদানগুলো হলো–
১. তরল প্যারাফিন = 40 g
২. শক্ত প্যারাফিন = 9 g
৩. মোম = 7 g
৪. গ্লিসারিন = 9 g
৫. পানি = 35 g
৬. প্রোপাইল প্যারাফিন = 0.2 g
প্রশ্ন-৫। একবর্ণী আলো কাকে বলে?
উত্তরঃ একটিমাত্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলোকরশ্মিকে একবর্ণী আলো বলে।
প্রশ্ন-৬। অসওয়াল্ডের লঘুকরণ সূত্র কি?
উত্তরঃ অসওয়াল্ডের লঘুকরণ সূত্রটি হচ্ছে– “নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় দুর্বল তড়িৎ বিশ্লেষ্যের বিয়োজনমাত্রা দ্রবণে এর মোলার ঘনমাত্রার বর্গমূলের ব্যস্তানুপাতিক।”
প্রশ্ন-৭। গ্রিন কেমিস্ট্রি কাকে বলে?
উত্তরঃ রসায়নের যে শাখায় কোনো রাসায়নিক দ্রব্যাদির উৎপাদন, ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য টেকসই ও নিরাপদ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে গ্রিন কেমিস্ট্রি বলে।
প্রশ্ন-৮। এনজাইম বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ এনজাইম মূলত একটি জৈব অনুঘটক। এসব অনুঘটক কেবল বিভিন্ন জৈবিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। আর্দ্রবিশ্লেষণ ও বিয়োজন, ফারমেন্টেশন, জারণ-বিজারণ প্রভৃতি বিক্রিয়া এনজাইম দ্বারা প্রভাবিত।
প্রশ্ন-৯। BOD মানে কি?
উত্তরঃ BOD মানে জৈব রাসায়নিক অক্সিজেনের চাহিদা (Biological Oxygen Demand)। কোনো পানিতে বিওডি (BOD) মান বেশি হলে ঐ পানি দূষিত। বায়ুর উপস্থিতিতে পানিতে থাকা সকল জৈব বস্তুকে ভাঙতে যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তাই হলো বিওডি।
প্রশ্ন-১০। রাসায়নিক বন্ধন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ যে কোন বস্তু অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত, সেগুলোকে ঐ বস্তুর অণু বলা হয়। অণুসমূহ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলা হয়। আন্তঃআণবিক শক্তির কারণে অণুসমূহ পরস্পরের সন্নিকটে থাকতে চায়। অণুতে বিভিন্ন পরমাণু মোটামুটি দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত থাকে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আধানযুক্ত আয়নসমূহের পরস্পর আকর্ষণ বল। যে শক্তির বলে অণুতে পরমাণুসমূহ পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে, তাকেই রাসায়নিক বন্ধন বলা হয়।
প্রশ্ন-১১। গ্রাম আণবিক ভর কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের আণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে তাকে গ্রাম আণবিক ভর বা মোল বলে। যেমন– HCl এর আণবিক ভর = 36.5 এবং 36.5g HCl কে বলা হয় এক মোল।
প্রশ্ন-১২। ফেনল কাকে বলে? ফেনলের অপর নাম কি?
উত্তরঃ বেনজিন চক্রের কার্বনের সাথে সরাসরি –OH মূলক যুক্ত হয়ে যে যৌগ উৎপন্ন হয় তাকে ফেনল বলে। ফেনলের অপর নাম কার্বলিক এসিড।
প্রশ্ন-১৩। অ্যানালার কাকে বলে?
উত্তরঃ অত্যধিক বিশুদ্ধ রাসায়নিক পদার্থকে অ্যানালার বলে।
প্রশ্ন-১৪। ক্লোরিনের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা 7 বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ কোনো মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ কক্ষপথে যত সংখ্যক ইলেকট্রন থাকে তাকে ঐ মৌলের যোজ্যতা ইলেকট্রন বলে।
ক্লোরিন পরমাণুর ক্ষেত্রে সর্বশেষ কক্ষপথে 7টি ইলেকট্রন থাকায় ক্লোরিনের যোজ্যতা ইলেকট্রন সংখ্যা 7।
প্রশ্ন-১৫। পোলারিটি কাকে বলে?
উত্তরঃ সমযোজী যৌগের অণুতে ডাইপোল (এক প্রান্তে ধনাত্মক ও অপর প্রান্তে ঋণাত্মক) সৃষ্টির ধর্মকে পোলারিটি বলে।
প্রশ্ন-১৬। উভধর্মী অক্সাইড বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ ধাতুর যে সব অক্সাইড পৃথক পৃথকভাবে এসিড ও ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে প্রতি ক্ষেত্রে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাদেরকে উভধর্মী অক্সাইড বলে। যেমন, ZnO, Al2O3, PbO, SnO ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৭। ইলেকট্রন বিন্যাস কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো পরমাণুর বিভিন্ন স্তরে কয়টি ইলেকট্রন কীভাবে আছে তার প্রকাশকে ইলেকট্রন বিন্যাস বলে।
প্রশ্ন-১৮। সুপ্ত যোজনী কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো মৌলের সর্বোচ্চ যোজনী ও কোনো যৌগে ঐ মৌলের সক্রিয় যোজনীর মধ্যের পার্থক্যকে সেই যৌগে সেই মৌলের সুপ্ত যোজনী বলে।
প্রশ্ন-১৯। ফুড অ্যাডিটিভ বা খাদ্য সংযোজনী কী?
উত্তরঃ পচনশীল খাদ্য সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রিজারভেটিভ যোগ করা হয়। তবে এর বাইরে আবার কোন কোন খাদ্যের রং, গন্ধ ও স্বাদ উন্নত করার জন্য কিছু কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়। এসব পদার্থেরই নাম ফুড অ্যাডিটিভ বা খাদ্য সংযোজনী।
বিভিন্ন অতিরিক্ত রাসায়নিক দ্রব্য যোগ করে খাদ্যের স্বাদ, বর্ণ ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়।
খাদ্য সংযোজনী যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খাদ্য উপাদানের জারণ রোধ করে বর্ণ ঠিক রাখে।
উদাহরণঃ BHA, BHT
প্রশ্ন-২০। অলিয়াম কাকে বলে?
উত্তরঃ ধূমায়মান সালফিউরিক এসিডকে অলিয়াম বলে। SO3 কে 98% H2SO4 এ শোষণ করে অলিয়াম উৎপন্ন করা হয়।