প্রশ্ন-১। অরীয় প্রতিসম প্রাণী কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব প্রাণীকে এদের দেহের কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর একাধিকবার সমান দু’অংশে ভাগ করা যায় তাদেরকে অরীয় প্রতিসম প্রাণী বলে।
প্রশ্ন-২। ধনাত্মক দিকমুখিতা কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদ আলো, পানি, বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, উত্তাপ, মধ্যাকর্ষণ শক্তি প্রভৃতি উদ্দীপক পদার্থের উদ্দীপনায় সাঁড়া দেয়। উদ্দীপনার দিকে উদ্ভিদ অঙ্গের সাঁড়া দেওয়াকে ধনাত্মক দিকমুখিতা বলে।
প্রশ্ন-৩। পরিফেরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত কেন?
উত্তরঃ পরিফেরা পর্বের প্রাণীদের দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত। এদের ছিদ্রপথে পানির সাথে অক্সিজেন ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে যা স্পঞ্জের মতো কাজ করে। তাই এরা স্পঞ্জ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-৪। খাদক কি?
উত্তরঃ যে সকল প্রাণী উদ্ভিদ থেকে পাওয়া জৈব পদার্থ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে কিংবা অন্য কোনো প্রাণীকে খেয়ে জীবনধারণ করে তারাই খাদক।
প্রশ্ন-৫। দ্বিপদ নামকরণ কি?
উত্তরঃ দ্বিপদ নামকরণ হলো দুটি পদের সমন্বয়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নামকরণের পদ্ধতি।
প্রশ্ন-৬। শ্রেণীবিন্যাস বিদ্যা কাকে বলে?
উত্তরঃ জীববিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখায় শ্রেণীবিন্যাসের নীতি, পদ্ধতি, নামকরণের উপায়, নিয়মাবলী ইত্যাদি আলোচনা করা হয় তাকে শ্রেণীবিন্যাস বিদ্যা বলে।
প্রশ্ন-৭। হাতুড়ি মাছের বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তরঃ হাতুড়ি মাছের বৈশিষ্ট্যগুলো হলো–
১. এরা সমুদ্রে বাস করে।
২. এদের কঙ্কাল তরুণাস্থিময়।
৩. এদের দেহ প্ল্যাকয়েড আঁইশ দ্বারা আবৃত, মাথার দুই পাশে ৫-৭ জোড়া ফুলকা ছিদ্র থাকে।
৪. এদের কানকো থাকে না।
প্রশ্ন-৮। নিউক্লিওটাইড কাকে বলে?
উত্তরঃ এক অণু পাঁচ কার্বন বিশিষ্ট শর্করা, এক অণু নাইট্রোজেন ঘটিত বেস এবং এক অণু অজৈব ফসফেট যুক্ত হয়ে যে অণু তৈরি হয়, তাকে নিউক্লিওটাইড বলে।
প্রশ্ন-৯। অটোজোম কাকে বলে?
উত্তরঃ মানবদেহে ক্রোমোসোমের সংখ্যা ৪৬টি বা ২৩ জোড়া। এর মধ্যে ৪৪টিকে বা ২২ জোড়াকে অটোজোম বলে। অটোজোমগুলি শরীরবৃত্তীয়, ভ্রূণ ও দেহ গঠনে অংশগ্রহণ করে।
প্রশ্ন-১০। সমুদ্রবিজ্ঞান কি?
উত্তরঃ সমুদ্রবিজ্ঞান (Oceanography) হচ্ছে ভূ-বিজ্ঞানের একটি শাখা। এই শাখায় সামুদ্রিক জীব, সামুদ্রিক পরিবেশ, সমুদ্রের স্রোত ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রশ্ন-১১। ক্যালরি কী?
উত্তরঃ CGS পদ্ধতিতে তাপের একক হচ্ছে ক্যালরি (cal)। এক গ্রাম বিশুদ্ধ পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করতে যতটুকু তাপের প্রয়োজন তাকে এক ক্যালরি বলে।
প্রশ্ন-১২। একবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের বীজে একটি মাত্র বীজপত্র থাকে, তাদের একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। উদাহরণ : ধানগাছ, গমগাছ, ভুট্টাগাছ ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৩। আবৃতবীজী উদ্ভিদ কী?
উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের বীজ ফলের ভেতর আবৃত অবস্থায় থাকে, তাকে আবৃতবীজী উদ্ভিদ বলে। যেমন: আম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৪। মেরুদণ্ডী প্রাণীকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
উত্তরঃ মেরুদণ্ডী প্রাণীকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৫। বন্যপ্রাণী কাকে বলে?
উত্তরঃ যে সব প্রাণী গৃহপালিত নয় এবং মানুষের সাহায্য ছাড়া বেঁচে থাকে এমন সব উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী শ্রেণীভূক্ত প্রাণীদেরকে বন্যপ্রাণী বলে। বাংলাদেশের বর্তমানে প্রায় ৮৫০ প্রজাতির বন্যপ্রাণ আছে।
প্রশ্ন-১৬। ব্যাকটেরিয়া কী?
উত্তরঃ ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে কোষীয় অঙ্গাণুবিহীন, জটিল কোষপ্রাচীর ও আদিপ্রকৃতির নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট ক্ষুদ্রতম সরল প্রকৃতির এককোষী আণুবীক্ষণিক জীব।
প্রশ্ন-১৭। জীবপ্রযুক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রযুক্তি প্রয়োগে কোনো জীবকোষ, অণুজীব বা তার অংশবিশেষ ব্যবহার করে নতুন কোনো বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব এর উদ্ভাবন বা সেই জীব থেকে প্রক্রিয়াজাত বা উপজাত দ্রব্য প্রস্তুত করা হয় তাকে জীবপ্রযুক্তি বলে।
প্রশ্ন-১৮। শ্বসন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবদেহ যৌগিক খাদ্য দ্রব্য জারিত করে সরল দ্রব্যে পরিণত করে এবং শক্তি উৎপন্ন করে তাকে শ্বসন বলে।
প্রশ্ন-১৯। ফটোফসফোরাইলেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ সালোকসংশ্লেষণের সময় ADP সৌরশক্তি গ্রহণ করে অজৈব ফসফেটের সাথে মিলিত হয়ে যে পদ্ধতিতে ATP তৈরি করে তাকে ফটোফসফোরাইলেশন বলে।
প্রশ্ন-২০। পাইরোজেন কি?
উত্তরঃ পাইরোজেন হলো এক ধরনের পলিপেপটাইড যা জীবাণু বা বহিরাগত কণাকে শনাক্ত ও আক্রমণ করার সময় ম্যাক্রোফেজ কর্তৃক রক্তপ্রবাহে ক্ষরিত হয়।