চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। চিকিৎসা বিজ্ঞান কাকে বলে?

উত্তরঃ বিজ্ঞানের যে শাখায় রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে।

 

প্রশ্ন-২। এনজিওপ্লাস্টি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে কৌশল বা প্রক্রিয়ায় এনজিওগ্রাম করার সময় ধমনীর ব্লক মুক্ত করা হয় তাকে এনজিওপ্লাস্টি বলে।

 

প্রশ্ন-৩। দাঁতের গোড়ায় পাথর জমা এবং দাঁত শির শির করার কারণ কি?

উত্তরঃ দাঁত মানুষের অমূল্য সম্পদ। এজন্য দাঁতের যত্ন নিতে হবে। টুথ পাউডার বা টুথ পেস্ট দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে এবং দাঁতে গর্ত হয় না বা দাঁত শির শির করে না বা দাঁতে পাথর পড়ে না।

 

 

প্রশ্ন-৪। ডেফিসিয়েন্সি (Deficiency) কি?

উত্তরঃ ডেফিসিয়েন্সি বলতে মানবদেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিকে বুঝায়। Deficiency অর্থাৎ শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে শরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

 

প্রশ্ন-৫। ফার্মাকোকাইনিটিস এ প্রযুক্ত পদ্ধতি কয়টি ও কি কি?

উত্তরঃ ফার্মাকোকাইনিটিস এ প্রযুক্ত পদ্ধতি ৩টি। যথা:

১। ঔষধ শোষণ : ঔষধের শোষণ হলো রক্তস্রোতের মধ্যে ঔষধের গতিবিধি যা এর গঠন ও ভৌত বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।

২। ঔষধ বন্টন : ঔষধের বন্টন হলো রক্তস্রোত হতে ঔষধের কলা ও অঙ্গসমূহের মধ্যে প্রবাহিত হওয়া।

৩। ঔষধ বর্জন : ঔষধ বর্জন দুইটি প্রক্রিয়ায় হয় যথা:

i. ঔষধের জৈব পরিবর্তন

ii. প্যারেন্ট ড্রাগের রেচন।

 

 

প্রশ্ন-৬। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কী কী সরঞ্জামাদি লাগে?

উত্তরঃ কাঁচি, তুলা, ব্যান্ডেজ, ডিসেক্টিংফরসেফ, সালফানিলামাইন্ড পাউডার, টিংচার বেঞ্জামিন, লিউক্লোপ্লাস্টার রোল, ডেটল বা স্যাভলন লোশন, নিডল, নিডল হোল্ডার, সুতা ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-৭। জ্বর মাপার জন্য কী ধরনের থার্মোমিটার প্রয়োজন?

উত্তরঃ জ্বর মাপার জন্য ক্লিনিক্যাল বা ফারেনহাইট থার্মোমিটার প্রয়োজন। থার্মোমিটারের নলের গায়ে ৯৪° থেকে ১০৮° পর্যন্ত দাগ কাটা থাকে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮। কোন কোন ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করা হয়?

উত্তরঃ যে সকল ক্ষেত্রে এনজিওগ্রাম করা হয়। সেগুলো হলো– হৃৎপিণ্ডের বাহিরে ধমনিতে ব্লকেজ হলে; ধমনি প্রসারিত হলে; কিডনির ধমনির অবস্থা বোঝার জন্য; শিরার কোনো সমস্যা হলে।

 

প্রশ্ন-৯। ডাই কাকে বলে?

উত্তরঃ এনজিওগ্রাফি করার সময় রক্তনালিকায় বিশেষ টিউবের মাধ্যমে যে তরল পদার্থ প্রবেশ করানো হয় তাকে ডাই বলে।

 

 

প্রশ্ন-১০। অ্যান্টিবায়ােটিক জীবাণুকে ধ্বংস করে কীভাবে?

উত্তরঃ অ্যান্টিবায়ােটিক রােগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর কোষপ্রাচীর গঠনে বাধা সৃষ্টি করায় অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় জীবাণু-দেহে পানির অনুপ্রবেশ ঘটে । ফলে জীবাণুর দেহ ভেঙ্গে যাওয়ায় তা জীবাণুকে ধ্বংস করে।

 

প্রশ্ন-১১। কীভাবে বৃক্কের পাথর অপসারণ করা যায়?

উত্তরঃ বৃক্কের পাথর অপসারণের উপায়গুলো হল : (i) সাধারণত অধিক পানি গ্রহণ ও ঔষধ সেবন করা। (ii) আধুনিক পদ্ধতিতে ইউটেরোস্কোপিক, আল্ট্রাসনিক লিথট্রিপসি অথবা বৃক্কে অস্ত্রোপাচার।

 

 

প্রশ্ন-১২। কীভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা করা হয়?

উত্তরঃ সাধারণত নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্ত প্রদান ও নির্দিষ্ট ঔষধ খাইয়ে থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসা দেয়া হয়। রোগীদের লৌহ সমৃদ্ধ ফল বা ঔষধ খেতে হয় না কারণ তা শরীরে জমে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩। পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন খাওয়ানো হয় কেন?
উত্তরঃ ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে dehydration হয় এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণ কমে যায়। তাই শরীরে পানি ও ইলেকট্রোলাইটের অভাব পূরণ করার জন্য স্যালাইন খাওয়ানো হয়। এতে দেহে অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা পায় এবং কোষের ভিতর ও বাইরের তরল পদার্থের মধ্যে চাপ ঠিক থাকে।

প্রশ্ন-১৪। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মানবদেহের কি কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর প্রভাবে মানবদেহের নিম্নলিখিত ক্ষতি হতে পারে–

  • দেহকোষ নষ্ট হতে পারে।
  • চুল পড়ে যায়।
  • ক্যান্সার ও টিউমার হতে পারে।
  • অতিমাত্রায় দেহে পড়লে মৃত্যু হতে পারে।
  • চোখের ছানি পড়া ও অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

প্রশ্ন-১৫। সিটি স্ক্যান কে, কবে আবিষ্কার করেন? কবে থেকে বাংলাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয়?
উত্তরঃ রোগ নির্ণয়ের একটি বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো সিটি স্ক্যান। ইংল্যান্ডের স্যার গডফ্রে হাউন্সফিল্ড ১৯৬৭ সালে সিটি স্ক্যান আবিষ্কার করেন।
প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব, খরচ ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশে সিটি স্ক্যানের ব্যবহার শুরু হয় অনেক দেরিতে। এখন থেকে মাত্র ৭ থেকে ১০ বছর আগে বাংলাদেশে সিটি স্ক্যানের ব্যবহার শুরু হয়।

প্রশ্ন-১৬। জিন থেরাপিতে বাহক হিসেবে কী কী ভাইরাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ জিন থেরাপিতে বাহক হিসেবে সাধারণত তিন ধরনের ভাইরাস ব্যবহার করা হয়। এগুলো হচ্ছে–
১. রেট্রো ভাইরাস
২. এডিনো ভাইরাস ও
৩. এডিনো এসোসিয়েটেড ভাইরাস।

প্রশ্ন-১৭। রোগীর মানসিক যত্ন বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ রোগীর মন ভালো রাখার জন্য যে সেবাযত্ন করা হয় তাই রোগীর মানসিক যত্ন। মন ভালো থাকলে রোগী তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। এর জন্য তাকে সঙ্গ ও মানসিক সাহস দিতে হবে, শখ অনুযায়ী বিনোদন ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।