প্রশ্ন-১। পৌষ্টিকতন্ত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে তন্ত্রের সাহায্যে খাদ্যদ্রব্য ভেঙ্গে দেহের গ্রহণ উপযোগী উপাদানে পরিণত ও শোষিত হয় তাকে পৌষ্টিকতন্ত্র বলে। এ তন্ত্রটি পৌষ্টিকনালি ও কয়েকটি গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্ন-২। অ্যান্টিবায়োসিস কাকে বলে?
উত্তরঃ একটি জীব কর্তৃক সৃষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের কারণে যদি অন্য জীবের বৃদ্ধি ও বিকাশ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে বাধাগ্রস্থ হয় অথবা মৃত্যু ঘটে, তখন সেই প্রক্রিয়াকে অ্যান্টিবায়োসিস বলে। অণুজীব জগতে এই ধরনের সম্পর্ক বেশি দেখা যায়।
প্রশ্ন-৩। ক্রোমাটিন জালিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউক্লিয়াসের ভেতরে অবস্থিত সূক্ষ্ম সুতার মতো অংশকে ক্রোমাটিন জালিকা বলে। কোষ বিভাজনের সময় এরা মোটা ও খাটো হয়ে ক্রোমোজমে পরিণত হয়।
প্রশ্ন-৪। কিউটিকল কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের বহিঃত্বকে বিশেষ করে পাতার উপরে ও নিচে কিউটিনের আবরণ থাকে, এ আবরণকে কিউটিকল বলে।
প্রশ্ন-৫। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক-এর মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ হার্ট অ্যাটাক হৃৎপিন্ডের একটি রোগ। হৃৎপিন্ডে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ করে করোনারি ধমনি। কোন কারণে এ করোনারি ধমনি বন্ধ হয়ে গেলে হৃৎপিন্ডে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে যে রোগের সৃষ্টি হয় তাকে হার্ট অ্যাটাক বলে।
অপরদিকে, স্ট্রোক হচ্ছে একটি মস্তিষ্কের রোগ। কোন কারণে যদি মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে অতিরিক্ত রক্ত জমা হয় বা মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহে বাধা পায়, সেই অবস্থাকে স্ট্রোক বলে।
প্রশ্ন-৬। কোষের কোণ অঙ্গাণুটি স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ কোষের সেন্ট্রোজোমের সেন্ট্রিওল অঙ্গাণুটি স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টিতে অবদান রাখে। কোষ বিভাজনের সময় সেন্ট্রিওলের অনুনালিকাগুলোর প্রান্ত দুটি একত্রিত হয় এবং মাঝখানটা প্রশস্থ থাকে। এ ধরনের গঠনকে তখন মাকুর মতো দেখায় যাকে স্পিন্ডল যন্ত্র বলে।
প্রশ্ন-৭। প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয় কোন অঙ্গাণুকে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ রাইবোজোমকে প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয়। কারণ প্রোটিনের পলিপেপটাইড চেইন সংযোজন এই রাইবোজোমেই হয়ে থাকে। এছাড়াও রাইবোজোম একই কাজে প্রয়োজনীয় উৎসেচক সরবরাহ করে থাকে।
প্রশ্ন-৮। অ্যাপোজিশন বা মোজাইক প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ তীব্র বা উজ্জ্বল আলোতে ঘাসফড়িংয়ের চোখে কোনো দর্শনীয় বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় তাকে অ্যাপোজিশন বা মোজাইক প্রতিবিম্ব (aposition or mosaic image) বলে।
প্রশ্ন-৯। পুষ্পাক্ষ কাকে বলে?
উত্তরঃ ফুলের বৃন্তশীর্ষে অবস্থিত একটি গোলাকার স্তবক যার উপর ফুলের বাকি চারটি স্তবক পরপর সাজানো থাকে তাকে পুষ্পাক্ষ বলে।
প্রশ্ন-১০। সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব কাকে বলে?
উত্তরঃ মৃদু বা স্তিমিত আলোতে ঘাসফড়িংয়ের চোখে কোনো দর্শনীয় বস্তুর যে প্রতিবিম্ব গঠিত হয় তাকে সুপারপজিশন প্রতিবিম্ব (super position image) বলে।
প্রশ্ন-১১। কোমলাস্থি কি?
উত্তরঃ কোমলাস্থি এক ধরনের নরম ও স্থিতিস্থাপক অস্থি যা যোজক কলার ভিন্ন রূপ। এর কোষগুলো একক বা জোড়ায় জোড়ায় খুব ঘনভাবে স্থিতিস্থাপক মাতৃকাতে বিস্তৃত থাকে।
প্রশ্ন-১২। CysE কি?
উত্তরঃ CysE হলো ব্যাকটেরিয়ার একটি জিন যা ভেড়ার পশমের পরিমাণ ও গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য ভেড়ার জিনোমে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রশ্ন-১৩। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে?
উত্তরঃ যে প্রযুক্তির মাধ্যমে DNA এর কাঙ্ক্ষিত অংশ ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষে, উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে, প্রাণী থেকে উদ্ভিদে স্থানান্তর করে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যে উদ্ভিদ পাওয়া যায় তাকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
প্রশ্ন-১৪। গ্যাসীয় বিনিময় কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবদেহে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের বিনিময়কে গ্যাসীয় বিনিময় বলে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব জীবদেহে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে। এটি জীবের একটি শরীরবৃত্তীয় কাজ।
প্রশ্ন-১৫। রূপান্তরিত প্লাস্টিড বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ একরূপ থেকে অন্যরূপে পরিবর্তিত প্লাস্টিডই হলো রূপান্তরিত প্লাস্টিড। আলোর উপস্থিতিতে সাধারণত এরূপ প্লাস্টিড সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্ণহীন লিউকোপ্লাস্ট আলোর সংস্পর্শে এলে ক্রোমোপ্লাস্ট বা ক্লোরোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন-১৬। লিউকোপ্লাস্ট বলতে কি বুঝায়?
উত্তরঃ সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত বর্ণহীন প্লাস্টিডকে বলা হয় লিউকোপ্লাস্ট। এতে কোন রঞ্জক পদার্থ থাকে না। এরা অর্ধবৃত্তাকৃতি বা নলাকৃতির হতে পারে এবং এদের কাজ খাদ্য সঞ্চয় করা।
প্রশ্ন-১৭। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র কি?
উত্তরঃ যে অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ইলেকট্রন তরঙ্গকে ব্যবহার করে বিবর্ধন করা হয়, সেটাই হলো ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র।
প্রশ্ন-১৮। বডি টিউব কি?
উত্তরঃ বডি টিউব হলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের উপরের দিকের একটি নলাকার অংশ, যার এক প্রান্তে আইপিস এবং অপর প্রান্তে অবজেকটিভ লেন্সগুলো লাগানো থাকে।
প্রশ্ন-১৯। প্রােটোপ্লাজম কাকে বলে?
উত্তরঃ কোষের অভ্যন্তরের বর্ণহীন, অর্ধতরল, জেলির ন্যায় থকথকে, আঠালাে, স্থিতিস্থাপক কলয়ডাল পদার্থ যা কোষঝিল্লি বা প্লাজমাপর্দা দ্বারা বেষ্টিত তাকে প্রােটোপ্লাজম (Protoplosm) বলে।
প্রশ্ন-২০। ইস্টের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ ইস্টের দেহ এককোষী এবং মৃতজীবী। এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত এবং ক্লোরোপ্লাস্ট অনুপস্থিত। কোষ প্রাচীর কাইটিন দিয়ে তৈরি। এর খাদ্যগ্রহণ শোষণ পদ্ধতিতে ঘটে।