জীববিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৫)

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। ভ্যাসেকটমি কি?

উত্তরঃ ভ্যাসেকটমি হলো জন্মনিরোধের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি যার মাধ্যমে পুরুষের উভয় দিকের শুক্রানালির অংশকে কেটে বেঁধে দেওয়া হয় যাতে শুক্রাণু বাইরে আসতে না পারে।

 

প্রশ্ন-২। পত্রবৃন্ত কাকে বলে? এর অবস্থান কোথায়?

উত্তরঃ পাতার দণ্ডাকার অংশটিকে পত্রবৃন্ত বা বোঁটা বলে। পত্রমূল ও পত্রফলকের মাঝামাঝি জায়গায় এর অবস্থান।

 

প্রশ্ন-৩। যৌগিক পত্র কাকে বলে?

উত্তরঃ যে পত্রের ফলকটি সম্পূর্ণভাবে খণ্ডিত হয় এবং খণ্ডিত অংশগুলো পরস্পর হতে আলাদাভাবে অণুফলক সৃষ্টি করে তাকে যৌগিক পত্র বলে।

 

 

প্রশ্ন-৪। গুচ্ছমূল কাকে বলে?

উত্তরঃ কিছু কিছু উদ্ভিদের মূল লক্ষ করলে দেখা যায় যে, কাণ্ডের নিচের দিকে একগুচ্ছ সরু মূল সৃষ্টি হয়েছে। এদেরকে গুচ্ছমূল বলে।

 

প্রশ্ন-৫। অসুষম খাদ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো খাদ্য তালিকায় যদি ছয়টি খাদ্য উপাদানের একটি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে তাকে অসুষম খাদ্য বলে।

 

 

প্রশ্ন-৬। স্নেহ জাতীয় খাদ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব খাদ্যে তেল বা চর্বি বেশি থাকে তাদের স্নেহ জাতীয় খাদ্য বলে। যেমন– সয়াবিন, বাদাম, সরিষা, ঘি, মাখন ইত্যাদি স্নেহ জাতীয় খাদ্য।

 

প্রশ্ন-৭। সমাঙ্গবর্গ উদ্ভিদ কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব উদ্ভিদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না তাদের সমাঙ্গবর্গ উদ্ভিদ বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮। পরভোজী কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব জীব নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না, খাদ্যের জন্য অন্য কোনো জীবিত বা মৃত জীবের উপর নির্ভর করে তাদেরকে পরভোজী বলে।

 

প্রশ্ন-৯। শৈবাল ও ফার্নের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ শৈবালের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যা না; কিন্ত ফার্নের দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায়। শৈবালে পরিবহন কলা থাকে না। অপরদিকে ফার্নে পরিবহন কলা থাকে।

শৈবালের মূল থাকে না। পক্ষান্তরে, ফার্নের মূল থাকে।

 

 

প্রশ্ন-১০। সিন্যাপস কাকে বলে?

উত্তরঃ স্নায়ুটিস্যুর একটি নিউরনের অ্যাক্সনের সাথে দ্বিতীয় একটি নিউরনের ডেনড্রাইট যুক্ত থাকার সংযোগ স্থলকে সিন্যাপস বলে। অর্থাৎ, পরপর অবস্থিত দুটি নিউরনের সন্ধিস্থলই হলো সিন্যাপস।

 

প্রশ্ন-১১। টনোপ্লাস্ট কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রোটোপ্লাজম দিয়ে গঠিত যে পাতলা পর্দা কোষ গহ্বরকে বেষ্টন করে থাকে তাকে টনোপ্লাস্ট বলে।

 

 

প্রশ্ন-১২। কোষগহ্বর কাকে বলে? কোষগহ্বরের কাজ কি?

উত্তরঃ কোষের সাইটোপ্লাজমে তরল পদার্থ পূর্ণ ছোট-বড় গহ্বর থাকে তাদের কোষগহ্বর বলে।

কোষগহ্বরের কাজঃ কোষগহ্বরের প্রধান কাজ কোষরস ধারণ করা। এছাড়া প্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থ ধারণ করে। কোষগহ্বর কোষের অভ্যন্তরের pH ও পানির চাপ রক্ষা করে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩। রজঃচক্র কি?
উত্তরঃ রজঃচক্র হলো বয়োপ্রাপ্ত নারীর নির্দিষ্ট সময় পর পর জরায়ু থেকে রক্ত, মিউকাস, এন্ডোমেট্রিয়ামের ভগ্নাংশ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত অনিষিক্ত ডিম্বাণুর চক্রীয় নিষ্কাশন।

প্রশ্ন-১৪। প্যারাসাইট কি?
উত্তরঃ দুটি এক বা ভিন্ন প্রজাতির অথবা একই প্রজাতির জীব পরস্পর ঘনিষ্ট সাহচর্যে অবস্থানকালে যদি একটি জীব নিজের জীবনধারণের জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে অপর জীবটির ওপর নির্ভর করে তার ক্ষতিসাধন করে এবং নিজে উপকৃত হয়, তবে উপকৃত জীবটিকে প্যারাসাইট বলে।

প্রশ্ন-১৫। ICZN কি?
উত্তরঃ ICZN হলো International Code of Zoological Nomenclature এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যাকে প্রাণীর নামকরণের একটি নীতি নির্ধারণী দলিল বলে।

প্রশ্ন-১৬। গ্লাইকোলাইসিস কি?
উত্তরঃ গ্লাইকোলাইসিস হলো শ্বসন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ যেখানে এক অণু গ্লুকোজ বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় জারিত হয়ে দুই অণু পাইরুভিক এসিড উৎপন্ন করে।

প্রশ্ন-১৭। পানির বিয়োজন কী?
উত্তরঃ সূর্যালোক এবং ক্লোরোফিলের সাহায্যে পানি বিয়োজিত হয়ে অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও ইলেকট্রন উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো পানির বিয়োজন।

প্রশ্ন-১৮। নিস্ক্রিয় শোষণ কি?
উত্তরঃ নিস্ক্রিয় শোষণ হলো উদ্ভিদের লবণ শোষণ প্রক্রিয়া, যেখানে বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন হয় না। উদ্ভিদ নিস্ক্রিয় শোষণে মূলরোম দিয়ে ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় মাটি থেকে খনিজ লবণ শোষণ করে।

প্রশ্ন-১৯। লিউকোসাইট কি?
উত্তরঃ লিউকোসাইট হলো হিমোগ্লোবিনবিহীন এক নিউক্লিয়াসযুক্ত রক্তকণিকা যা দেহে প্রতিরক্ষার কাজ করে।

প্রশ্ন-২০। বৈষম্য ভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পর্দার ভিতর শুধু দ্রাবক প্রবেশ করতে পারে কিন্তু দ্রব্য প্রবেশ করতে পারে না তাকে বৈষম্য ভেদ্য পর্দা বলে।