পৌরনীতি বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১। পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?

উত্তর : পৌরনীতির ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে ‘Civics’।

 

প্রশ্ন-২। ‘Civics’ শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তর : Civics শব্দটি ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে।

 

প্রশ্ন-৩। ব্যাপক অর্থে পৌরনীতি কী?

উত্তর : ব্যাপক অর্থে পৌরনীতি হলো নাগরিকতার সাথে জড়িত সকল বিষয়।

 

 

প্রশ্ন-৪। পৌরনীতিকে কোন ধরনের বিজ্ঞান বলা হয়?

উত্তর : পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৫। যৌথ পরিবার কি?

উত্তর : যৌথ পরিবার হচ্ছে সেই পরিবার যেখানে বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচি ও অন্যান্য পরিজন একসাথে বাস করে। মূলত যৌথ পরিবার হচ্ছে একাধিক একক পরিবারের সমষ্টি।

 

 

প্রশ্ন-৬। প্রশাসনকে রাষ্ট্রের হৃৎপিণ্ড বলা হয় কেন?

উত্তর : রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনার দায়িত্ব প্রশাসনের। রাষ্ট্রের ভিতরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রশাসনকে রাষ্ট্রের হৃৎপিণ্ড বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৭। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র কাকে বলে?

উত্তর : যে রাষ্ট্র জনগণের দৈনন্দিন নূন্যতম চাহিদা পূরণের জন্যে কল্যাণমূলক কাজ করে তাকে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮। সম্প্রদায় বলতে কি বুঝায়?

উত্তর : সম্প্রদায় বলতে সাধারণত একই অঞ্চলে বসবাসকারী মানব গোষ্ঠীকে বোঝায়, যাদের মধ্যে ভাষাগত, ধর্মীয়, আচরণগত এবং অন্যান্য কতগুলো মিল দেখা যায়। উদাহরণ : চাকমা সম্প্রদায়, গারো সম্প্রদায়, গ্রামীণ সম্প্রদায় ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-৯। প্রজাতন্ত্র কাকে বলে?

উত্তর : যে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপ্রধান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন সেই রাষ্ট্রকে প্রজাতন্ত্র বলে। যেমন, বাংলাদেশ একটি প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রের উদাহরণ।

 

 

প্রশ্ন-১০। আইনগত কর্তব্য কি?

উত্তর : আইনগত কর্তব্য হলো রাষ্ট্রের আইন দ্বারা আরোপিত কর্তব্য। রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য, আইন মান্য করা ও কর প্রদান করা নাগরিকের আইনগত কর্তব্যের উদাহরণ।

 

প্রশ্ন-১১। সন্ত্রাস অর্থ কি?

উত্তর : সন্ত্রাস অর্থ ত্রাস, ভয় বা ভীতি সৃষ্টি। সন্ত্রাসের মূল কথা হলো বলপ্রয়োগ বা ভাতি প্রদর্শন করে কোনো উদ্দেশ্য সাধনের চেষ্টা করা। সন্ত্রাস যেমন দুষ্কৃতিকারীরা করতে পারে তেমনি সমগ্র রাষ্ট্র বা সমগ্র বিশ্বের পটভূমিতেও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটতে পারে।

 

 

প্রশ্ন-১২। আন্তর্জাতিক আইন কাকে বলে?

উত্তর : এক রাষ্ট্রের সাথে অন্য রাষ্ট্রের সম্পর্ক রক্ষার জন্য যে আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করা হয়, তাকে আন্তর্জাতিক আইন বলে। বিভিন্ন রাষ্ট্র পরস্পরের সাথে কেমন আচরণ করবে, এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাথে কেমন ব্যবহার করবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক সমস্যা সমাধান করা হবে তা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

ডেপুটি কমিশনার বা জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কী কী?

উত্তর : ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত চার্টার অব ডিউটিজ অব ডেপুটি কমিশনারস -এ সরকার জেলা প্রশাসকদের উপর যে দায়িত্বসমূহ অর্পণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- (ক) রাজস্ব বিষয়ক, (খ) ফৌজদারী বিচারসংক্রান্ত, (গ) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়ক, (ঘ) ট্রেজারি ও স্ট্যাম্প, (ঙ) লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট, (চ) ভূমি হুকুম দখলসংক্রান্ত, (ছ) সংবাদ ও প্রকাশনা, (জ) আদমশুমারি, (ঝ) বেসামরিক প্রতিরক্ষা এবং (ঞ) ত্রাণ ও পুনর্বাসন।

 

দুর্নীতি কি?

উত্তর : ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কর্তৃক অবৈধ পন্থায় নীতিবহির্ভূত বা জনস্বার্থ বিরোধী কাজই দুর্নীতি, যেমন– ঘুষ ও স্বজনপ্রীতি উভয়ই কাজই দুর্নীতি। রাজনৈতিক এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রশাসনে দুর্নীতি বলতে ব্যাক্তিগত স্বার্থ বা লাভের জন্য কার্যালয়ে অপব্যবহারকে বুঝায়।

 

স্বাধীনতা কি?

উত্তর : স্বাধীনতা হলো এমন সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ, যেখানে কেউ কারও ক্ষতি না করে সকলেই নিজের অধিকার ভোগ করে। স্বাধীনতা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে এবং অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে বাঁধা অপসারণ করে।

 

 

পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয় কেন?

উত্তর : পৌরনীতিকে নাগরিকতা বিষয়ক বিজ্ঞান বলা হয়, কারণ নাগরিকতার সাথে জড়িত সকল বিষয় পৌরনীতিতে আলোচনা করা হয়। এছাড়া পৌরনীতি নাগরিকতার সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক যেমন- পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ইত্যাদি সম্পর্কেও ধারণা ব্যক্ত করে।

 

খুলনা রাষ্ট্র নয় কেন?

উত্তর : খুলনার জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, স্থানীয় সরকার রয়েছে কিন্তু কোনো সার্বভৌমত্ব না থাকায় খুলনা রাষ্ট্র নয়। রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক উপাদান। রাষ্ট্রের চারটি উপাদান রয়েছে। জনসমষ্টি, নির্দিষ্ট ভূখণ্ড, সরকার ও সার্বভৌমত্ব। খুলনা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একটি বিভাগের নাম।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সামাজিক পরিবর্তনের জৈবিক উপাদানের ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : জৈবিক উপাদান সামাজিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। জন্ম ও মৃত্যুহার, জনসংখ্যার ঘনত্ব, জনসংখ্যার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার মান নিয়েই জৈব উপাদান। সমাজস্থ মানুষের জৈবিক অবস্থার পরিবর্তন যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা হ্রাস, স্থানান্তর অথবা ঘনত্বের পরিবর্তন সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।