প্রশ্ন-১. ভাইরাস অর্থ কি?
উত্তর : ভাইরাস অর্থ বিষ।
প্রশ্ন-২. পিনা কাকে বলে?
উত্তর : কানের বাইরের অংশকে পিনা বলে।
প্রশ্ন-৩. পিনার কাজ কি?
উত্তর : পিনা কর্ণকুহরের সাথে যুক্ত থাকে। শব্দ কর্ণকুহরে পাঠানো এর প্রধান কাজ। এর ফলে আমরা শব্দ শুনতে পাই।
প্রশ্ন-৪. লুপ্তপ্রায় অঙ্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ জীবদেহে এমন কতগুলো অঙ্গ দেখা যায় যেগুলো নির্দিষ্ট জীবদেহে সক্রিয় থাকে কিন্তু এ সম্পর্কিত অঙ্গ অন্য জীবদেহে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। এ ধরনের অঙ্গগুলোকে লুপ্তপ্রায় অঙ্গ বা নিষ্ক্রিয় অঙ্গ বলে।
প্রশ্ন-৫. ট্যাক্সোনমি ও শ্রেণিবিন্যাসের পার্থক্য কি?
উত্তর : ট্যাক্সোনমি জীববিজ্ঞানের একটি শাখা। এখানে জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস আলােচনা করা হয়। শ্রেণিবিন্যাস ট্যাক্সোনমির একটি অংশ। জীবের নামকরণ ও শনাক্তকরণের পর তাদের বিভিন্ন গােষ্ঠীতে ভাগ করার পদ্ধতি হলাে শ্রেণিবিন্যাস।
প্রশ্ন-৬. উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে কেন?
উত্তর : উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে প্লাস্টিডের কারণে। কারণ উদ্ভিদ দেহের রং সৃষ্টির জন্য দায়ী রঞ্জক পদার্থ। যেমন– লিউকোপেন, ক্যারোটিনয়েড প্লাস্টিডে থাকে। তাই এই প্লাস্টিডের উপস্থিতির জন্য উদ্ভিদের ফুল, ফল বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে।
প্রশ্ন-৭। মাইকোরাইজাল ছত্রাক কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের সরু মূল বা মূলরোমের চারদিকে বা অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট ছত্রাক জালের মতো বেষ্টন করে রাখে, এদের মাইকোরাইজাল ছত্রাক বলে।
প্রশ্ন-৮. কোন কোন উপাদান নিয়ে ভাইরাসের দেহ গঠিত?
উত্তর : ভাইরাসের দেহ দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত। উপাদান দুটি হলো– প্রোটিন ও নিউক্লিক এসিড (DNA বা RNA)।
প্রশ্ন-৯. এক্সপ্লান্ট (Explant) কাকে বলে?
উত্তর : টিস্যুকালচারের উদ্দেশ্যে উদ্ভিদের যে অংশ আলাদা করে নিয়ে ব্যবহার করা হয় তাকে এক্সপ্লান্ট (Explant) বলে।
প্রশ্ন-১০। ভ্যাকসিন কাকে বলে?
উত্তরঃ রোগ জীবাণু থেকে তৈরি যে উপাদান মানুষের শরীরে প্রয়োগ করলে ঐই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ জন্মায় তাকে ভ্যাকসিন বলে।
প্রশ্ন-১১. ট্রান্সজেনিক জীব কি?
উত্তর : জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে কোন DNA-এর কাঙ্খিত অংশ অন্য জীব কোষে স্থানান্তরের মাধ্যমে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যে জীব তৈরি করা হয় তাকে ট্রান্সজেনিক জীব বলে।
প্রশ্ন-১২. তৃতীয় স্তরের খাদক কাকে বলে?
উত্তর : দ্বিতীয় স্তরের খাদকদের খেয়ে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে তৃতীয় স্তরের বা সর্বোচ্চ স্তরের খাদক বলে। যেমন– পাখি, শিয়াল হলো তৃতীয় স্তরের খাদক।
প্রশ্ন-১৩. মিথস্ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : জীব জগতে বিভিন্ন প্রকার গাছপালা ও প্রাণীদের মধ্যে বিদ্যমান জৈবিক সম্পর্কগুলোতে যে ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটে তাকে মিথস্ক্রিয়া বলে।
প্রশ্ন-১৪. মৃতজীবী শৃঙ্খল কাকে বলে?
উত্তর : উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহের সঙ্গে বিভিন্ন অণুজীবের এবং প্রাণীর মধ্যে যে খাদ্য শৃঙ্খল গড়ে উঠে তাকে মৃতজীবী শৃঙ্খল বলে।
প্রশ্ন-১৫. প্লাজমা মেমব্রেন (plasma membrane) কাকে বলে?
উত্তর : কোষপ্রাচীরের ঠিক নিচে সব প্রোটোপ্লাজমকে ঘিরে যে সজীব নরম মেমব্রেন বা ঝিল্লি থাকে তাকে প্লাজমা মেমব্রেন (plasma membrane) বলে।
প্রশ্ন-১৬. ল্যাকিউনি বা ক্যাপসুল কাকে বলে?
উত্তর : জীবিত অবস্থায় তরুণাস্থি কোষের প্রোটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস ও কন্ড্রিনের মাঝে যে গহ্বর দেখা যায় তাকে ল্যাকিউনি বা ক্যাপসুল বলে।
প্রশ্ন-১৭. বাষ্পমোচন কাকে বলে?
উত্তর : সূর্যালোক ও প্রোটোপ্লাজম দিয়ে কিছুটা নিয়মিত যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার বায়বীয় অঙ্গ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে বের করে দেয় তাকেই বাষ্পমোচন বলে। এ বাষ্পমোচনকে এক ধরনের প্রস্বেদন প্রক্রিয়া বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১৮. ঋণাত্মক আন্তঃক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর : যে আন্তঃক্রিয়ায় জীবদ্বয়ের একটি বা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাকে ঋণাত্মক আন্তঃক্রিয়া (Negative interaction) বলে।
প্রশ্ন-১৯. পরাগায়নের মাধ্যম কাকে বলে?
উত্তর : যে মাধ্যম পরাগ বহন করে তাকে পরাগায়নের মাধ্যম বলে। বায়ু, পানি, কীটপতঙ্গ, প্রাণী, এমনকি মানুষও পরাগায়নের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
প্রশ্ন-২০. ট্রিপলেট কোডন কাকে বলে?
উত্তর : অ্যামিনো এসিডের সংকেত গঠনকারী তিনটি নাইট্রোজেন বেসের সমন্বয়ে গঠিত গ্রুপকে ট্রিপলেট কোডন বলে। প্রতিটি জেনেটিক কোডই হলো এক একটি ট্রিপলেট কোডন। প্রতিটি ট্রিপলেট কোডন কোনো একটি সুনির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডকে নির্দেশ করে।