করোটিক স্নায়ু কী?
উত্তরঃ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ হতে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্ট যে সকল প্রান্তীয় স্নায়ুসমূহ করোটিকার বিভিন্ন ছিদ্রপথে বের হয়ে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে বিস্তার লাভ করে তাদের করোটিক স্নায়ু বলে। মানুষের বারো জোড়া করোটিক স্নায়ু আছে। সম্মুখ অংশ থেকে পরপর এদের রোমান সংখ্যা (I-XII) দ্বারা সূচিত করা হয়। জোড়া স্নায়ুর প্রতিটি প্রতিপার্শ্বের অনুরূপ অঙ্গে বিস্তার লাভ করে। স্নায়ুগুলোর মধ্যে কতকগুলো সেনসরি (sen-sory), কতকগুলো মোটর (motor) এবং কিছু মিশ্র (mixed) স্নায়ু।
উপযোজন কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রাণী যখন কোনো জায়গা বদল না করে অর্থাৎ বস্তু ও চোখের মধ্যকার দূরত্ব অপরিবর্তিত রেখেই যে কোনো দূরত্বে অবস্থিত বস্তুকে সমান স্পষ্ট দেখার জন্য চোখে বিশেষ ধরনের পরিবর্তন ঘটায় তখন ঐ প্রক্রিয়াকে উপযোজন বলে। মানুষসহ বিভিন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীতে উপযোজন একটি বৈশিষ্ট্য। লেন্সের বক্রতার পরিবর্তন, চোখদুটি পরস্পরের দিকে সমকেন্দ্রীকরণ ও পিউপলের সংকোচন– এ তিনটি মাধ্যমে উপযোজন সম্পন্ন হতে পারে।
সেরেব্রাম ও সেরেবেলামের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সেরেব্রাম ও সেরেবেলামের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ
সেরেব্রাম
- অগ্রমস্তিষ্কের অংশ।
- সমগ্র মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে বৃহত্তম।
- মস্তিষ্কের অধিকাংশ জুড়ে অবস্থিত।
- গোলার্ধদুটি কর্পাস ক্যালোসাম দিয়ে যুক্ত।
- পাঁচটি খন্ড বা লোব-এ বিভক্ত।
- অনৈচ্ছিক কাজ নিয়ন্ত্রণকারী এবং বুদ্ধি, চিন্তা, স্মৃতিবোধের কেন্দ্র।
সেরেবেলাম
- পশ্চাৎমস্তিষ্কের অংশ।
- পশ্চাৎমস্তিষ্কের সবচেয়ে বড় অংশ।
- সেরেব্রাল হেমিস্ফিয়ারের নিচে অবস্থিত।
- গোলার্ধদুটি ভার্মিস দিয়ে যুক্ত।
- কোনো লোব নেই।
- অনৈচ্ছিক কাজের সমন্বয়কারী এবং দেহের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী।
রডকোষ ও কোণকোষের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ রডকোষ ও কোণকোষর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলোঃ
রডকোষ
- রড আকৃতি বিশিষ্ট।
- মৃদু আলোক সুবেদী।
- বর্ণ সুবেদী নয়।
- এতে রোডপসিন নামক রঞ্জক থাকে।
- সমগ্র রেটিনায় সমভাবে উপস্থিত।
- অনুজ্জল আলোতে শুধু সাদাকালো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করে।
কোণকোষ
- কোণ আকৃতি বিশিষ্ট।
- উজ্জ্বল আলোক সুবেদী।
- বর্ণ সুবেদী।
- এতে আয়োডপসিন এবং সায়ানপসিন নামক রঞ্জক থাকে।
- সমগ্র রেটিনায়ই উপস্থিত তবে রেটিনার মধ্যস্থলে, বিশেষ করে ফোবিয়া সেন্ট্রালিসে সবচেয়ে বেশি।
- উজ্জ্বল আলোতে রঙিন প্রতিবিম্ব গঠন করে।