অধ্যায়-১০ : গতি, ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান

প্রশ্ন-১. ত্বরণ কাকে বলে?

উত্তর : সময়ের সাথে বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।

 

প্রশ্ন-২. বেগ কাকে বলে?

উত্তর : সময়ের সাথে সরণের পরিবর্তনের হারকে বেগ বলে।

 

প্রশ্ন-৩. গতি কাকে বলে?

উত্তর : সময়ের সাথে পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থান পরিবর্তন করাই হলো গতি।

 

 

প্রশ্ন-৪. লেখার সময় হাতের গতিকে কী গতি বলে?

উত্তর : লেখার সময় হাতের গতিকে চলন গতি বলে।

 

প্রশ্ন-৫. বক্রপথে গতিশীল বস্তুর গতিকে কী বলে?

উত্তর : বক্রপথে গতিশীল বস্তুর গতিকে বক্রগতি বলে।

 

 

প্রশ্ন-৬. চলন গতি কাকে বলে?

উত্তর : যে গতিতে কোনো বস্তু এমনভাবে চলে যে, এর সকল কণা বা বিন্দু একই সময়ে একই দিকে সমান দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে চলন গতি বলে। যেমন টেবিলে ড্রয়ারের গতি, লেখার সমায় হাতের গতি ইত্যাদি।

 

প্রশ্ন-৭. রৈখিক গতি কী?

উত্তর : যখন কোনো বস্তু সরলরেখা বরাবর চলে, তখন তার গতিই রৈখিক গতি।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮. সাইকেলের চাকার গতি কী ধরনের গতি?

উত্তর : সাইকেলের চাকার গতি ঘূর্ণন গতি। কারণ, সাইকেলের চাকা ঘুরতে ঘুরতে অগ্রসর হয় বা পথ চলে।

 

প্রশ্ন-৯. স্পন্দন গতি কী?

উত্তর : যে গতিতে কোনো বস্তু একটি অবস্থানের অগ্র-পশ্চাৎ চলে বা গতিশীল হয় তাই দোলন গতি বা স্পন্দন গতি। দেয়ালঘড়ির দোলকের গতি দোলন গতি।

 

 

প্রশ্ন-১০. সরণ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুর আদি অবস্থান ও শেষ অবস্থানের মধ্যবর্তী সরলরৈখিক দূরত্বকে সরণ বলে।

 

প্রশ্ন-১১. ঋণাত্মক ত্বরণ অর্থ কি?

উত্তর : ঋণাত্মক ত্বরণ অর্থ হলো- প্রতি সেকেন্ডে বেগের হ্রাস।

 

 

প্রশ্ন-১২. দূরত্ব কাকে বলে?

উত্তর : নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে যেকোনো দিকে অতিক্রান্ত মোট দৈর্ঘ্যকে দূরত্ব বলে।

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩. স্থিতি কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তু পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তখন বস্তুটিকে স্থিতিশীল বলা হয় এবং বস্তুর এ অবস্থাকে স্থিতি বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. দোলন গতি কাকে বলে?

উত্তর : যদি কোনো বস্তর গতি একটি অবস্থানের অগ্রপশ্চাৎ চলে তাহলে সে গতিকে দোলন গতি বলে।

 

প্রশ্ন-১৫. দ্রুতি কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে দ্রুতি বলে।

 

 

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : সুজানাদের ঘরে একটি দেয়াল ঘড়ি আছে। সুজানা প্রায়ই ঘড়িটির দিকে তাকিয়ে দেখে যে সেকেন্ডের কাঁটাটি টিক টিক শব্দ করে ঘুরছে এবং ঘড়ির দোলক পিণ্ডটি ডানে বামে দোল খাচ্ছে।

ক. ঘূর্ণন গতি কাকে বলে?

খ. সাইকেলের চাকার গতি জটিল গতি কেনো?

গ. প্রতি মিনিটে সেকেন্ডের কাঁটাটির সরণ কত— ব্যাখ্যা করো।

ঘ. সেকেন্ডের কাঁটা ও দোলক পিণ্ডটির গতির তুলনা করো।

 

১ নং প্রশ্নের উত্তর

 

 

 

 

 

ক. কোনো বিন্দু বা অক্ষকে কেন্দ্র করে কোনো বস্তু যখন ঘুরতে থাকে তখন বস্তুটির গতিকে ঘূর্ণন গতি বলে।

খ. কোনো বস্তুর যখন একই সাথে চলন ও ঘূর্ণন গতি থাকে তখন বস্তুটির গতিকে জটিল গতি বলে। সাইকেল চলার সময় এর চাকার ঘূর্ণনের সাথে সাথে সাইকেলটিও সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তাই সাইকেলের চাকার গতি জটিল গতি।

গ. কোনো গতিশীল বস্তুর একটি নির্দিষ্ট দিকে অবস্থানের পরিবর্তনকে বস্তুটির সরণ বলে। কোনো বস্তুর প্রথম এবং শেষ অবস্থান ভিন্ন হলে বস্তুটির সরণ ঘটবে এবং ঐ দুই অবস্থানের মধ্যবর্তী রৈখিক দূরত্ব হবে সরণের পরিমাপ।

ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা প্রতি মিনিটে যে পথ অতিক্রম করে তার পরিমাণ অর্থাৎ সরণ শূন্য হবে। কারণ সেকেন্ডের কাঁটাটি প্রথম সেকেন্ডে যে বিন্দু থেকে যাত্রা আরম্ভ করে শেষ সেকেন্ডে ঠিক সেই বিন্দুতেই যাত্রা শেষ করে। এক্ষেত্রে আদি ও শেষ অবস্থান একই অর্থাৎ সরণ শূন্য।

ঘ. ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটার গতি হচ্ছে পর্যাবৃত্ত গতি। কারণ কাঁটাটি প্রতি মিনিট পরপর একই দিক দিয়ে একটি নির্দিষ্ট বিন্দু অতিক্রম করে, যা পর্যাবৃত্ত গতির বৈশিষ্ট্য বহন করে। অপরদিকে ঘড়ির দোলকপিণ্ডটির গতি হবে পর্যাবৃত্ত গতি এবং দোলন গতি। কারণ এটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সাম্যাবস্থা থেকে একবার ডান দিকে যায়, আবার বামদিকে যায়। অর্থাৎ সাম্যাবস্থা থেকে অগ্রপশ্চাৎ চলে, যা পর্যাবৃত্ত গতির বৈশিষ্ট্য বহন করে।

আবার নির্দিষ্ট সময় পরপর এর গতিপথ উল্টে যায়, যা দোলন গতির বৈশিষ্ট্য বহন করে। অতএব, ঘড়ির কাঁটার গতি এবং দোলক পিণ্ডের গতি থেকে বলা যায়, সব দোলন গতিই পর্যাবৃত্ত গতি, কিন্তু সব পর্যাবৃত্ত গতি দোলন গতি নয়।