পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৪)

প্রশ্ন-১. বিক্ষিপ্ত প্রবাহ কাকে বলে?

উত্তর : যদি প্রবাহীর স্তর পরস্পরের সমান্তরালে না চলে তবে তাকে বিক্ষিপ্ত প্রবাহ বলে।

 

প্রশ্ন-২. সোয়ার্জস্কাইল্ড ব্যাসার্ধ কাকে বলে?

উত্তর : কৃষ্ণবিবরের ঘটনা দিগন্তের ব্যাসার্ধকে সোয়ার্জস্কাইল্ড ব্যাসার্ধ বলে।

 

প্রশ্ন-৩. চৌম্বক তীব্রতা কি ধরনের রাশি?

উত্তর : চৌম্বক তীব্রতা একটি ভেক্টর রাশি।

 

 

প্রশ্ন-৪. বিসর্প ঘর্ষণ ও আবর্ত ঘর্ষণের মধ্যকার পার্থক্য লিখ।

 

উত্তরঃ যখন একটি বস্তু অন্য একটি বস্তুর তথা তলের উপর দিয়ে পিছলিয়ে বা ঘষে চলতে চেষ্টা করে বা চলে তখন যে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয় তা হলাে বিসর্প ঘর্ষণ এবং যখন একটি বস্তু অপর একটি তলের উপর দিয়ে গড়িয়ে চলে তখন গতির বিরুদ্ধে যে ঘর্ষণ ক্রিয়া করে তা হলাে আবর্ত ঘর্ষণ। সুতরাং সমতল পৃষ্ঠসমূহ বিসর্প ঘর্ষণের সম্মুখীন হয় এবং গােলাকার পৃষ্ঠসমূহ আবর্ত ঘর্ষণ মােকাবেলা করে। নিঃসন্দেহে বিসর্প ঘর্ষণের তুলনায় আবর্ত ঘর্ষণের মান অনেক কম।

 

 

প্রশ্ন-৫. G কে সার্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কেন?

 

উত্তরঃ G-কে সার্বজনীন ধ্রুবক বলা হয় কারণ G এর মান বস্তুদ্বয়ের মধ্যবর্তী মাধ্যমের প্রকৃতির উপর তথা প্রবেশ্যতা প্রবণতা বা দিকদর্শিতা বা ভৌত অবস্থার উপর নির্ভর করে না। অর্থাৎ G এর মানের পরিবর্তন ঘটে না।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৬. বিবর্ধন কাকে বলে?

উত্তর : প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষ্যবস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে বিবর্ধন বলে। এছাড়া একে রৈখিক বিবর্ধনও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৭. রোধ ও আপেক্ষিক রোধের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর : পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাই হচ্ছে রোধ। অপরদিকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্যের ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের কোনো পরিবাহীর রোধই হচ্ছে ঐ পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ।

 

 

প্রশ্ন-৮. চন্দ্র শেখর সীমা কী?

উত্তর : মৃত্যু পূর্ব শুরুর মুহূর্তে কোনো তারকার ভর 1.4 সৌর ভরের বেশি হলে তারকাটি কৃষ্ণবিবর বা নিউট্রন তারকায় পরিণত হতে পারে। ভরের এই সীমা চন্দ্র শেখর সীমা নামে পরিচিত।

 

প্রশ্ন-৯. প্রত্যায়নী বল কাকে বলে?

উত্তর : সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি সম্পন্ন কোনো বস্তুকণা যখন সাম্যাবস্থান হতে দূরে সরে যায় তখন একে পুনরায় সাম্যাবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য যে বল ক্রিয়া করে তাকে প্রত্যায়নী বল বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৬. বিবর্ধন কাকে বলে?

উত্তর : প্রতিবিম্বের দৈর্ঘ্য ও লক্ষ্যবস্তুর দৈর্ঘ্যের অনুপাতকে বিবর্ধন বলে। এছাড়া একে রৈখিক বিবর্ধনও বলা হয়।

 

প্রশ্ন-৭. রোধ ও আপেক্ষিক রোধের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর : পরিবাহীর যে ধর্মের জন্য এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাই হচ্ছে রোধ। অপরদিকে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্যের ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফলের কোনো পরিবাহীর রোধই হচ্ছে ঐ পরিবাহীর উপাদানের আপেক্ষিক রোধ।

 

 

প্রশ্ন-৮. চন্দ্র শেখর সীমা কী?

উত্তর : মৃত্যু পূর্ব শুরুর মুহূর্তে কোনো তারকার ভর 1.4 সৌর ভরের বেশি হলে তারকাটি কৃষ্ণবিবর বা নিউট্রন তারকায় পরিণত হতে পারে। ভরের এই সীমা চন্দ্র শেখর সীমা নামে পরিচিত।

 

প্রশ্ন-৯. প্রত্যায়নী বল কাকে বলে?

উত্তর : সরল ছন্দিত স্পন্দন গতি সম্পন্ন কোনো বস্তুকণা যখন সাম্যাবস্থান হতে দূরে সরে যায় তখন একে পুনরায় সাম্যাবস্থানে ফিরিয়ে আনার জন্য যে বল ক্রিয়া করে তাকে প্রত্যায়নী বল বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১০. পয়সনের অনুপাতের মাত্রা ও একক নেই কেন?

উত্তর : আমরা জানি, পয়সনের অনুপাত = দৈর্ঘ্য বিকৃতি/পার্শ্ব বিকৃতি। বিকৃতি একই জাতীয় দুটি রাশির অনুপাত বলে বিকৃতির মাত্রা ও একক নেই। আবার, পয়সনের অনুপাত দুটি বিকৃতির অনুপাত বলে পয়সনের অনুপাতের কোনো মাত্রা ও একক নেই।

 

 

প্রশ্ন-১১. কোনো লেন্সের ক্ষমতা -2D বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কোনো লেন্সের ক্ষমতা -2D বলতে আমরা বুঝি লেন্সটি প্রধান অক্ষের সমান্তরাল একগুচ্ছ আলোকরশ্মিকে এমনভাবে অপসারী করে যেন মনে হয় এগুলো লেন্স থেকে 1/2m (= 50 cm) দূরে কোনো বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে।

 

প্রশ্ন-১২. কার্শফের দ্বিতীয় সূত্র কি?

উত্তর : কার্শফের দ্বিতীয় সূত্র হলো– কোনো বদ্ধ বর্তনীর বিভিন্ন উপাদানগুলোর রোধ এবং এদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রবাহের গুণফলগুলোর বীজগাণিতিক যোগফল ঐ বদ্ধ বর্তনীতে অন্তর্ভুক্ত মোট তড়িচ্চালক বলের সমান।

 

প্রশ্ন-১৩. শব্দের তীব্রতা লেভেল কাকে বলে?

উত্তর : কোন শব্দের তীব্রতা এবং প্রমাণ তীব্রতার অনুপাতের লগারিদমকে ঐ শব্দের তীব্রতা লেভেল বলে। তীব্রতা লেভেল, বিটা = log0I/I0।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৪. ফটো ইলেকট্রন কাকে বলে?
উত্তর :
 যথোপযুক্ত উচ্চ কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট আলোক রশ্মি কোন ধাতবপৃষ্ঠে আপতিত হলে ফটো তড়িৎ ক্রিয়ার ফলে তা থেকে নিঃসৃত ইলেকট্রনকে ফটো ইলেকট্রন বলে।

প্রশ্ন-১৫. নিবৃত্তি বিভব কি?
উত্তর :
 ফটো তড়িৎ ক্রিয়ার যান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্যাথোড প্লেটের সাপেক্ষে অ্যানোড প্লেটে যে নূন্যতম ধনাত্মক বিভব দিলে আলোক তড়িৎ প্রবাহমাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, সেই বিভবকে নিবৃত্তি বিভব বলা হয়।

প্রশ্ন-১৬. সনোমিটারের ব্যবহার লিখ।
উত্তর :
 টানা তারের সূত্রগুলো ব্যাখ্যা করতে সনোমিটার ব্যবহার করা হয়। সনোমিটার তৈরি করা হয় প্রায় এক মিটার লম্বা একটি তার একটি আয়তকার ফাঁপা বাক্সের ওপর আটকিয়ে। সনোমিটারে একটি মাত্র তার ব্যবহৃত হয় বলে একে মনোকর্ড বলা হয়।

প্রশ্ন-১৭. হারানো ভোল্ট বা নষ্ট ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তর :
 কোষের ভিতর তড়িৎ প্রবাহ চালনা করলে তড়িচ্চালক শক্তির কিছু অংশ, কোষের ভিতর দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করতে ব্যয় হয় তাকে হারানো ভোল্ট বা নষ্ট ভোল্ট বলে।

প্রশ্ন-১৮. নিউক্লিয় ফিশন কি?
উত্তর :
 যে প্রক্রিয়ায় ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়াস বিশ্লিষ্ট হয়ে প্রায় সমান ভরের দুটি নিউক্লিয়াস তৈরি হয় এবং বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়, তাকে নিউক্লিয় ফিশন বলে। উদাহরণস্বরূপ : ইউরেনিয়াম নিউক্লিয়াসকে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন নিউট্রন, প্রোটন বা বিউটেরন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়াসের ফিশন হয়।

প্রশ্ন-১৯. তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর :
 একক তাপ উৎপন্ন করতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় বা একক তাপ দ্বারা যে পরিমাণ কাজ করা যায়, তাকে তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-২০. S.I. এককে তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙ্কের মান কত?
উত্তর :
 S.I. এককে তাপের যান্ত্রিক তুল্যাঙ্কের মান 4.2J/cal।