পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব-৬)

প্রশ্ন-১. ফোকাস তল কাকে বলে?

উত্তর : কোনো লেন্সের প্রধান ফোকাসের মধ্য দিয়ে প্রধান অক্ষের সঙ্গে লম্বভাবে যে সমতল কল্পনা করা যায় তাকে ফোকাস তল বলে।

 

প্রশ্ন-২. অবস্থান ভেক্টর কাকে বলে?

উত্তর : কোনো প্রসঙ্গ কাঠামোর মূল বিন্দুর সাপেক্ষে কোনো বিন্দুর বা কণার অবস্থান যে ভেক্টর দ্বারা প্রকাশ করা হয় তাকে অবস্থান ভেক্টর বলে।

 

প্রশ্ন-৩. আয়ত একক ভেক্টর কাকে বলে?

উত্তর : ত্রিমাত্রিক আয়ত স্থানাঙ্ক ব্যবস্থায় তিনটি ধনাত্মক অক্ষ X, Y, Z বরাবর যে তিনটি একক ভেক্টর বিবেচনা করা হয় তাদের বলা হয় আয়ত একক ভেক্টর।

 

 

প্রশ্ন-৪. ভর ও ওজনের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ।

উত্তরঃ ভর ও ওজনের মধ্যে তিনটি পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো–

 

ভর

 

 

কোন বস্তুতে পদার্থের পরিমাণই হচ্ছে ভর।

অবস্থান ভেদে বস্তুর ভর পরিবর্তিত হয় না।

ভরের আন্তর্জাতিক একক হলো কিলোগ্রাম (kg)।

ওজন

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

কোন বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে তা হচ্ছে বস্তুটির ওজন।

বিভিন্ন অবস্থানে বস্তুর ওজন বিভিন্ন হতে পারে।

ওজনের আন্তর্জাতিক একক হলো নিউটন (N)।

প্রশ্ন-৫. পরিবাহীর উচ্চ রোধকত্বের সুবিধা লিখ।

উত্তরঃ নাইক্রোমের রোধকত্ব এবং গলনাঙ্ক তামার তুলনায় অনেক বেশি। উচ্চ রোধকত্বের কারণেই নাইক্রোম তারের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়। নাইক্রোমের এ ধর্মের কারণেই বৈদ্যুতিক কেটলীতে পানি খুব দ্রুত গরম হয়। আমরা বাড়িতে যে সকল বৈদ্যুতিক বাল্ব ব্যবহার করি তাদের ফিলামেন্ট টাংস্টেন দ্বারা তৈরি হয়। টাংস্টেনের উচ্চ রোধকত্ব ও গলনাঙ্কের কারণে এটি বৈদ্যুতিক শক্তিকে খুব সহজেই আলোকশক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারে।

 

প্রশ্ন-৬. কোন বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে?

উত্তর : কোন বস্তুর তাপধারণ ক্ষমতা নিম্নলিখিত বিষয়ের উপর নির্ভর করে।

১. বস্তুর ভর,

২. বস্তুর উপাদান এবং

৩. বস্তুর তাপমাত্রার পার্থক্য।

 

 

প্রশ্ন-৭. আয়নাইজিং বিকিরণ কাকে বলে?

উত্তরঃ তেজস্ক্রিয় মৌলসমূহ উচ্চশক্তির বিকিরণ ঘটায়, এর ফলে স্থিতিশীল পরমাণু থেকে ইলেকট্রন নির্গত হয়। এ ধরনের বিকিরণকে আয়নাইজিং বিকিরণ বলে। এসব মৌলিক পদার্থের যেসব বিকিরণ ঘটায় তাদেরকে তেজস্ক্রিয় রশ্মি বা রেডিওঅ্যাকটিভ রে বলে। এ বিকিরণ প্রধানত তিন প্রকার। যথাঃ আলফা, বিটা ও গামা বিকিরণ।

 

প্রশ্ন-৮. লেন্স কাকে বলে?

উত্তর : দুটি গোলীয় তল অথবা একটি গোলীয় তল ও একটি সমতল দ্বারা সীমাবদ্ধ কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমকে লেন্স বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৯. অভিকর্ষ কেন্দ্র কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুকে যেকোনো অবস্থানে রাখা হোক না কেন বস্তুর ওজন সর্বদা একটি নির্দিষ্ট বিন্দুগামী হবে। এই বিশেষ বিন্দুটিকে অভিকর্ষ কেন্দ্র বা ভারকেন্দ্র বলে।

 

 

প্রশ্ন-১০. মুক্তিবেগ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো বস্তুকে কোনো গ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে সর্বনিম্ন বেগে সোজা ওপরের দিকে নিক্ষেপ করলে সেটি গ্রহটির মাধ্যাকর্ষণ বলের বাধা কাটিয়ে অসীমে চলে যেতে পারে, আর ফিরে আসে না, সেই বেগকে ওই গ্রহটির মুক্তিবেগ বলে।

 

প্রশ্ন-১১. গামা রশ্মি কি?

 

উত্তরঃ গামা রশ্মি হচ্ছে এক প্রকার উচ্চ কম্পাঙ্কের খুব ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ। সূর্য থেকে গামা রশ্মি নির্গত হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১২. লেন্স আমাদের কী কাজে লাগে?
উত্তর :
 চশমা, ক্যামেরা, বিবর্ধক কাচ, অণুবীক্ষণ যন্ত্র, দূরবীক্ষণ যন্ত্র ইত্যাদি আলোক যন্ত্রে লেন্স ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-১৩. প্রতিসরাঙ্কের তাৎপর্য কি?
উত্তর :
 প্রতিসরাঙ্ক দ্বারা বুঝা যায় একটি মাধ্যম অন্য মাধ্যম অপেক্ষা আলোর সাপেক্ষে কতটা ঘন তাই।

প্রশ্ন-১৪. বক্রতার কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর :
 গোলীয় দর্পণ যে গোলকের অংশ, সেই গোলকের কেন্দ্রকে ঐ দর্পণের বক্রতার কেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন-১৫. প্রবাহ বিবর্ধন গুণক কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণ পীঠ বিন্যাসের ক্ষেত্রে কোনো ট্রানজিস্টরের নিঃসরক প্রবাহের পরিবর্তনের সাপেক্ষ সংগ্রাহক প্রবাহের পরিবর্তনের হারকে প্রবাহ বিবর্ধন গুণক বলে।

প্রশ্ন-১৬. সান্দ্রতা গুণাঙ্ক বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : 
কোনো প্রবাহীর একক ক্ষেত্রফলে একক বেগ অবক্রম বজায় রাখতে যে পরিমাণ সান্দ্র বল ক্রিয়া করে তাকে সান্দ্রতা গুণাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-১৭. আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপমাত্রার একককে কি বলে?
উত্তর : আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে তাপমাত্রার একককে কেলভিন বলে।

প্রশ্ন-১৮. এমআরআই (MRI) কি? এটি কিভাবে কাজ করে?
উত্তরঃ MRI এর পূর্ণরূপ হচ্ছে– Magnetic Resonance Imaging। এমআরআই যন্ত্রে শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র এবং রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে শরীরের কোনো স্থানের বা অঙ্গের বিস্তৃত প্রতিবিম্ব গঠন করা হয়। নিউক্লীয় চৌম্বক অনুনাদ এর ভৌত ও রাসায়নিক নীতির উপর ভিত্তি করে MRI যন্ত্র কাজ করে।

প্রশ্ন-১৯. ভেক্টর ক্ষেত্র বলতে কী বোঝায়?
উত্তর :
 কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো ভৌত রাশিকে একটি বিন্দুর অবস্থানের অবিচ্ছিন্ন ফাংশন বা অপেক্ষক হিসেবে প্রকাশ করা যায়। সে এলাকাজুড়ে রাশিটিকে বিশেষভাবে নির্দেশ করে সেই এলাকা হলো ক্ষেত্র। ক্ষেত্রের সাথে জড়িত রাশিটি যদি ভেক্টর হয় তবে ক্ষেত্রটিকে বলা হয় ভেক্টর ক্ষেত্র।

প্রশ্ন-২০. রোধের উষ্ণতা সহগ কাকে বলে?
উত্তরঃ 0°C তাপমাত্রার একক রোধের কোনো পরিবাহীর তাপমাত্রা প্রতি একক বৃদ্ধিতে তার রোধের যে বৃদ্ধি ঘটে তাকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধের উষ্ণতা সহগ বলে।