প্রশ্ন-১। অফসেট কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব জলজ উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলো ছোট ও মোটা হওয়ার কারণে কাণ্ডকে খর্বাকৃতি দেখায় সেগুলোকে অফসেট বলে।
প্রশ্ন-২। শোষক মূল কাকে বলে?
উত্তরঃ পরজীবী উদ্ভিদে ক্লোরোফিল না থাকায় খাদ্যের জন্য আশ্রয়দাতা উদ্ভিদের দেহে যে বিশেষ ধরনের মূল প্রবেশ করিয়ে খাদ্যরস শোষণ করে থাকে। সে মূলগুলোকে শোষক মূল বলে।
প্রশ্ন-৩। বুলবিল (Bulbil) কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব আরোহী উদ্ভিদের কাক্ষিত মুকুল শাখায় পরিণত না হয়ে প্রচুর খাদ্য সঞ্চয় করে গোলাকার মাংসপিণ্ডের আকার ধারণ করে তাদের বুলবিল (Bulbil) বলে।
প্রশ্ন-৪। প্রোটিন (Protein) কি?
উত্তরঃ প্রোটিন হলো অ্যামাইনো এসিডের একটি জটিল যৌগ যা হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্ন-৫। নিউরোগ্লিয়া কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বিশেষ প্রকার কলা নিউরোনের ধারক, অন্তরক ও সুরক্ষাকারী হিসাবে কাজ করে এবং নিউরোনের মৃত্যুর পর সেই স্থান দখল করে, তাকে নিউরোগ্লিয়া বলে।
প্রশ্ন-৬। কৈশিক জালিকা কাকে বলে?
উত্তরঃ পেশিতন্তুতে চুলের মতো অতি সূক্ষ্ম রক্তনালি দেখা যায় তাকে কৈশিক জালিকা বলে। এদের প্রাচীর অত্যন্ত পাতলা। এই পাতলা প্রাচীর ভেদ করে রক্তে দ্রবীভূত সব বস্তু ব্যাপন প্রক্রিয়ায় কোষে প্রবেশ করে।
প্রশ্ন-৭। লেন্টিসেল (lenticel) কি?
উত্তরঃ উদ্ভিদের কাণ্ডের ত্বকে কিউটিকলবিহীন যে ছিদ্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটে সেই ছিদ্রই হলো লেন্টিসেল (lenticel)।
প্রশ্ন-৮। বিটপ কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের যে অংশগুলো মাটির উপরে থাকে তাদের একসাথে বিটপ বলে। বিটপে কাণ্ড, পাতা, ফুল ও ফল থাকে।
প্রশ্ন-৯। পক্ষল যৌগিক পত্র কাকে বলে?
উত্তরঃ যে যৌগিক পত্রে পত্রকগুলো র্যাকিসে বা অক্ষের দু’ধারে সাজানো থাকে তাকে পক্ষল যৌগিক পত্র বলে।
প্রশ্ন-১০। ইমবাইবিশন কাকে বলে?
উত্তরঃ কলয়েডধর্মী বিভিন্ন পদার্থ (উদ্ভিদের ক্ষেত্রে কোষপ্রাচীর) যে প্রক্রিয়ায় নানা ধরনের তরল পদার্থ শোষণ করে তাকে ইমবাইবিশন বলে। উদ্ভিদদেহে বিভিন্ন ধরনের কলয়েডধর্মী পদার্থ রয়েছে। যেমন, স্টার্চ, সেলুলোজ ইত্যাদি। এসব পদার্থ তাদের কলয়েডধর্মী গুণের জন্যই পানি শোষণ করতে পারে।
প্রশ্ন-১১। উদ্ভিদের পরিবহন কাকে বলে?
উত্তরঃ উদ্ভিদের মূলরোম দ্বারা শোষিত পানি ও খনিজ লবণ মূল থেকে পাতায় পৌছানো এবং পাতায় তৈরি খাদ্যবস্তু সারাদেহে ছড়িয়ে পড়াকে উদ্ভিদের পরিবহন বলে।
প্রশ্ন-১২। অভেদ্য পর্দা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রাব উভয় প্রকার পদার্থের অণুগুলো চলাচল করতে পারে না তাকে অভেদ্য পর্দা বলে। পলিথিন, কিউটিনযুক্ত কোষপ্রাচীর অভেদ্য পর্দার উদাহরণ।
প্রশ্ন-১৩। বিয়োজক কাকে বলে?
উত্তরঃ পরিবেশের যেসব অণুজীব মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের উপর ক্রিয়া করে তাদেরকে বিয়োজক বলে। বিয়োজকের ক্রিয়ার ফলে মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণিদেহে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে। ফলে মৃতদেহ একের পর এক বিয়োজিত হয়ে নানা রকম জৈব ও অজৈব দ্রব্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন-১৪। ইথিলিন কী ধরনের হরমোন? ব্যাখ্যা করো
উত্তরঃ ইথিলিন একটি গ্যাসীয় হরমোন। এ হরমোন মূল, পাতা, ফুল, ফল ও বীজে দেখা যায়। এটি ফল পাকাতে সাহায্য করে। এর প্রভাবে চারাগাছে বিকৃত বৃদ্ধি লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন-১৫। অ্যাবসিসিক এসিড কি?
উত্তরঃ অ্যাবসিসিক এসিড হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি রোধক ফাইটোহরমোন। এর প্রভাবে উদ্ভিদের পাতা ঝরে যায়, কুঁড়ি ঝরে যায় এবং কুঁড়ির বৃদ্ধি রহিত হয়।
প্রশ্ন-১৬। গিমা কাপ কাকে বলে?
উত্তরঃ Marchantia থ্যালাসের পৃষ্ঠতলে মধ্যশিরা বরাবর পেয়ালা আকৃতির যে অঙ্গ সৃষ্টি হয়, তাকে গিমা কাপ বলে।
প্রশ্ন-১৭। রোগের সুপ্তাবস্থা কাকে বলে?
উত্তরঃ মানবদেহে পরজীবী প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে রোগের সুপ্তাবস্থা বলে।
প্রশ্ন-১৮। সংবেদী অঙ্গ কাকে বলে?
উত্তরঃ যেসব অঙ্গের দ্বারা আমরা দেখি, শুনি, খাবারের স্বাদ গ্রহণ করি, গরম, ঠাণ্ডা, তাপ ও চাপ অনুভব করি তাদের সংবেদী অঙ্গ বলে। চোখ, কান, নাখ, ত্বক, জিহ্বা হলো সংবেদী অঙ্গ।
প্রশ্ন-১৯। আদর্শ পাতা কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পাতায় পত্রমূল, বৃন্ত ও ফলক এ তিনটি অংশই থাকে তাকে আদর্শ পাতা বলে। যেমন– আম, জাম গাছের পাতায় এই তিনটি অংশই থাকে। এজন্য আম ও জাম গাছের পাতাকে আদর্শ পাতা বলা হয়।
প্রশ্ন-২০। প্রধান মূল কাকে বলে?
উত্তরঃ যে মূল বীজের ভ্রূণমূল হতে উৎপন্ন হয়ে সরাসরি মাটির ভেতরে প্রবেশ করে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে তাকে প্রধান মূল বলে। সাধারণত দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মূল প্রধান মূল হয়ে থাকে। যেমন– আম।