সপ্তম অধ্যায় : ভৌত আলোকবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র

প্রশ্ন-১. ভৌত আলোকবিজ্ঞান কাকে বলে?

উত্তর : আলোকবিজ্ঞানের যে শাখায় আলোর প্রকৃতি, নির্গমণ ও সঞ্চালন এবং নানা রকম আলোকীয় ঘটনা যেমন– আলোর ব্যতিচার (Interference), অপবর্তন (Diffraction), সমবর্তন (Polarisation) ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে ভৌত আলোকবিজ্ঞান (Physical Optics) বলে।

 

প্রশ্ন-২. পয়েন্টিং ভেক্টর কাকে বলে?

উত্তর : কোনো একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে যে পরিমাণ শক্তি অতিক্রম করে তাকে পয়েন্টিং ভেক্টর বলে।

 

প্রশ্ন-৩. তরঙ্গ মুখ কাকে বলে?

উত্তর : তরঙ্গস্থিত সমদশাসম্পন্ন বিন্দুগুলি যে তলে অবস্থান করে তাকে উক্ত তরঙ্গের তরঙ্গমুখ বলে।

 

 

প্রশ্ন-৪. অপবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : কোনো অস্বচ্ছ ধার বা কিনার ঘেঁষে বেঁকে আলোকের অগ্রসর হওয়ার ধর্মকে আলোকের অপবর্তন বলে। অপবর্তন দুই প্রকার; যথা— (ক) ফ্রেনেল শ্রেণি অপবর্তন ও (খ) ফ্রনহফার শ্রেণি অপবর্তন।

 

প্রশ্ন-৫. অপবর্তনের শর্ত কয়টি ও কি কি?

উত্তর : অপবর্তনের দুটি শর্ত রয়েছে; যথা—

(ক) খাড়া ধারের ক্ষেত্রে : ধার খুব তীক্ষ্ণ হতে হবে এবং এর প্রস্থ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য λ-এর সমান বা কাছাকাছি মানের হতে হবে।

(খ) সরু ছিদ্রের ক্ষেত্রে : ছিদ্র খুবই সরু হতে হবে যাতে এর ব্যাস তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সমান বা কাছাকাছি মানের হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৬. অপবর্তন গ্রেটিং কী?

উত্তর : অপবর্তন সৃষ্টির জন্য একটি বিশেষ পন্থা বা উপায়ের নামই অপবর্তন গ্রেটিং। অনেকগুলো সমপ্রস্থ রেখাছিদ্র পাশাপাশি স্থাপন করে অপবর্তন গ্রেটিং গঠন করা হয়।

 

প্রশ্ন-৭. সমতল নিঃসরণ গ্রেটিং বলতে কি বুঝায়?

উত্তর : সমতল নিঃসরণ গ্রেটিং বলতে একটি কাচ বা অনুরূপ কোনো পদার্থের একটি পাত বুঝায় যার উপর সূঁচালো হীরক বিন্দু দ্বারা সমব্যবধানে সমান্তরালভাবে খুবই কাছাকাছি বহু সংখ্যক দাগ কাটা থাকে।

 

 

প্রশ্ন-৮. গ্রেটিং উপাদান বা গ্রেটিং ধ্রুবক কাকে বলে?

উত্তর : কোনো সমতল নিঃসরণ গ্রেটিং এর অস্বচ্ছ রেখার বেধ ‘b’ এবং স্বচ্ছ অংশের বেধ ‘a’ হলে (a + b) দূরত্বকে গ্রেটিং উপাদান বা গ্রেটিং ধ্রুবক বলে।

 

প্রশ্ন-৯. আলোর সমবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন তলে কম্পমান আলোক তরঙ্গকে একটি নির্দিষ্ট তল বরাবর কম্পনক্ষম করা যায় তাকে আলোর সমবর্তন বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১০. ফ্রেনেল শ্রেণি অপবর্তন কাকে বলে?

উত্তর : যখন উৎস এবং পর্দা তাদের মধ্যবর্তী বাধা হতে অল্প দূরত্বের মধ্যে অবস্থান করে তখন ঐ বাধার দরুন পর্দায় আলোকের যে অপবর্তন পরিলক্ষিত হবে তাকে ফ্রেনেল শ্রেণি অপবর্তন বলে।

 

প্রশ্ন-১১. কম্পন তল কাকে বলে?

উত্তর : কোনো তরঙ্গের কণাসমূহ যে সমতলে কম্পিত হয় তাকে কম্পন তল বলে।

 

 

প্রশ্ন-১২. সমবর্তন কোণ কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রতিফলক মাধ্যমে আপতণ কোণের যে সুনির্দিষ্ট মানের জন্য সমবর্তন সর্বাধিক হবে সেই আপতন কোণকে সমবর্তন কোণ বলে।

 

 

প্রশ্ন-১৩. সমবর্তন তল কাকে বলে?

উত্তর : কম্পন তলের সাথে যে তল লম্বভাবে অবস্থান করে, তাকে সমবর্তন তল বলে।

 

প্রশ্ন-১৪. দ্বৈত প্রতিসরণ কাকে বলে?

উত্তর : এমন কতকগুলো কেলাস আছে যাদের মধ্যে দিয়ে আলোক রশ্মি গমন করলে এটি দুটি প্রতিসৃত রশ্মিতে বিভক্ত হয়। এই পদ্ধতিকে দ্বৈত প্রতিসরণ বলে।

 

প্রশ্ন-১৫. সরলাক্ষ কাকে বলে?

উত্তর : সকল দ্বৈত প্রতিসারক কেলাসের এমন একটি নির্দিষ্ট অভিমুখ থাকে যে দ্বৈত প্রতিসরণ দ্বারাই আলো প্রতিসৃত হয়। কেলাসের এই অভিমুখকে সরলাক্ষ বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬. প্রধান ছেদ কাকে বলে?

উত্তর : কোনো কেলাসের সরলাক্ষ বরাবর এবং এর দুই বিপরীত পৃষ্ঠের সমকোণে বিবেচিত তলকে ঐ কেলাসের প্রধান ছেদ বলে।

 

সমতল তরঙ্গ মুখ কাকে বলে?

উত্তর : সমান্তরাল আলোক রশ্মির তরঙ্গমুখকে সমতল তরঙ্গ মুখ বলে।

 

 

আলোক বর্ষ কী?

উত্তর : আলোক রশ্মি কোনো মাধ্যমে এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ঐ মাধ্যমের আলোক বর্ষ বলে।

 

প্রশ্ন-১৭. ব্যতিচার ঝালর বলতে কী বোঝো?

উত্তর : কোনো তলে বা পর্দায় ব্যতিচার ঘটানো হলে সেখানে অনেকগুলো পরস্পর সমান্তরাল উজ্জ্বল ও অন্ধকার রেখা বা পট্টি পাওয়া যায়। এই উজ্জ্বল ও অন্ধকার রেখা বা ডোরাগুলোকে এক সঙ্গে আলোকের ব্যতিচার ঝালর বলে।

 

প্রশ্ন-১৮. গ্রেটিং কত প্রকার?

উত্তর : গ্রেটিং প্রধানত দুই প্রকার। যথা- ১। নিঃসরণ বা নির্গমন গ্রেটিং এবং ২। প্রতিফলন গ্রেটিং।

 

প্রশ্ন-১৯. গ্রেটিং-এর ব্যবহার লিখ।

উত্তর : গ্রেটিং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। নিম্নে এর ব্যবহার উল্লেখ করা হলো-

 

আলোকের তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়।

একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দুটি বর্ণালী রেখা আলাদা করা যায়।

তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে অপবর্তন কোণের পরিবর্তনের হার নির্ণয় করা যায়।

কাচের সমবর্তন কোণ 57° বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : কাচের সমবর্তন কোণ 57° বলতে বুঝায়, আলোক রশ্মি কাচে 57° কোণে আপতিত হলে প্রতিফলিত রশ্মি সমবর্তিত হবে।

 

গঠনমূলক ব্যতিচার কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর : দু’টি তরঙ্গ যখন একই দশায় মিলিত হয় তখন লব্ধি তরঙ্গের বিস্তার তথা প্রাবল্য সর্বাধিক হয় ফলে উজ্জ্বল ডোরার সৃষ্টি হয় বা গঠনমূলক ব্যতিচার ঘটে।

 

বর্ণালী উৎপত্তির কারণ কী?

উত্তর : বর্ণালী উৎপত্তির কারণঃ

i. বিভিন্ন বর্ণের আলোক রশ্মির বিচ্যুতি তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পার্থক্যভেদে বিভিন্ন হয় বলে বর্ণালী উৎপন্ন হয়।

ii. সাদা আলোকের মধ্যে যে সাতটি মূল বর্ণের আলোক আছে তাদের জন্য মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক বিভিন্ন হেতু বর্ণালী উৎপন্ন হয়।