চতুর্থ অধ্যায় : নিত্যকর্ম ও যোগাসন (হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা), অষ্টম শ্রেণি

প্রশ্ন-১. নিত্যকর্ম কাকে বলে?

উত্তর : যে কর্ম অনুশীলন করলে জাগতিক ও পারমার্থিক মঙ্গল লাভ হয় তাকে নিত্যকর্ম বলে।

 

প্রশ্ন-২. ধর্ম-কর্মের আধার কি?

উত্তর : ধর্ম-কর্মের মূল আধার হলো শরীর।

 

প্রশ্ন-৩. নিত্যকর্মকে পবিত্র কর্ম বলা হয় কেন?

উত্তর : নিত্যকর্ম অনুশীলন করলে দেহ ও মন পবিত্র থাকায় নিত্যকর্মকে পবিত্র কর্ম বলা হয়।

 

 

প্রশ্ন-৪. কোনো কর্মেই মন বসে না কাদের?

উত্তর : নিষ্কর্মাদের কোনো কর্মেই মন বসে না।

 

প্রশ্ন-৫. নমস্কার কীসের প্রতীক?

উত্তর : নমস্কার বিনম্রতার প্রতীক।

 

 

প্রশ্ন-৬. দেহ ও মনকে নীরোগ ও শান্ত রাখার জন্য নিয়মিত কী করা প্রয়োজন?

জজ দেহ ও মনকে নীরোগ ও শান্ত রাখার জন্য নিয়মিত যোগাসন করা প্রয়োজন।

 

প্রশ্ন-৭. কীসের ফলে কাজ করার একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে ওঠে?

উত্তর : নিত্যকর্ম অনুশীলনের ফলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮. কোন সময়ের কর্মের ফল বেশি থাকে?

উত্তর : প্রাতঃকালের আধ্যাত্মিক কর্মকাণ্ডের ফল বেশি থাকে।

 

প্রশ্ন-৯. গোমুখাসন কাকে বলে?

উত্তর : যে আসনে অবস্থানকালে আসন অভ্যাসকারীর পায়ের অবস্থান গুরুর মুখের মতো হয়, তাকে গোমুখাসন বলে।

 

 

প্রশ্ন-১০. কোন আসন অনুশীলনে অসমান কাঁধ সমান হয়?

জজ গোমুখাসন অনুশীলনে অসমান কাঁধ সমান হয়।

 

প্রশ্ন-১১. হাঁটুর বাত নিরাময় হয় কোন আসনের ফলে?

উত্তর : হাঁটুর বাত নিরাময় হয় গোমুখাসনের ফলে।

 

 

প্রশ্ন-১২. ভুজঙ্গাসন কাকে বলে?

উত্তর : যে আসনে অবস্থানকালে অভ্যাসকারীকে ফণা তোলা ভুজঙ্গ বা সাপের মতো দেখায় তাকে ভুজঙ্গাসন বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩. সর্পাসন কাকে বলে?
উত্তর : ভুজঙ্গাসন অনুশীলনের সময় আসনকারীর দেহভঙ্গি সাপের মতো হয় বলে একে সর্পাসন বলা হয়।

প্রশ্ন-১৪. খাবার খাওয়ার পরে কোন আসনটি করতে হয়?
উত্তর : খাবার খাওয়ার পরে বজ্রাসন করতে হয়।

প্রশ্ন-১৫. কোন আসনে বসে চুল আঁচড়ালে সহজে চুল পাকে না বা পড়ে না?
উত্তর : বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়ালে সহজে চুল পাকে না বা পড়ে না।

প্রশ্ন-১৬. গোমুখাসন অনুশীলনের উপকারিতা কী?

উত্তর : গোমুখাসন অনুশীলনে অনেক ধরনের উপকার হয়। যেমন- ১. পায়ের পেশি নমনীয় হয়, পায়ের ব্যথা দূর হয়, ২. হাঁটুর বাত নিরাময় হয়, ৩. পিঠের মাংসপেশির ব্যথা দূর হয়, ৪. অসমান কাঁধ সমান হয়।
সর্বোপরি গোমুখাসন অনুশীলনের ফলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভ করা যায়।