প্রশ্ন-১. সংখ্যা পদ্ধতি কি?
উত্তর : সংখ্যা পদ্ধতি হচ্ছে কোনো সংখ্যাকে লেখা বা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতি।
প্রশ্ন-২. সংখ্যা (নাম্বার) কি?
উত্তর : সংখ্যা হচ্ছে একটি উপাদান, যা কোনো কিছু গণনা, পরিমাণ ও পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- একাদশ শ্রেণিতে ২৪৩ জন ছাত্র আছে; এখানে ২৪৩ একটি সংখ্যা।
প্রশ্ন-৩. দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কত?
উত্তর : দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির বেজ 10।
প্রশ্ন-৪. সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি কি?
উত্তর : কোনো সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি হচ্ছে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন সমূহের মোট সংখ্যা।
প্রশ্ন-৫. ইউনিকোড কি?
উত্তর : Unicode এর পুরো নাম হল Universal code।
প্রশ্ন-৬. বিট কাকে বলে?
উত্তর : বাইনারি ডিজিট ০ এবং ১ কে বিট বলে।
প্রশ্ন-৭. ASCII এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : ASCII এর পূর্ণরূপ হলো American Standard Code for Information Interchange।
প্রশ্ন-৮. এনকোডার কি?
উত্তর : এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল বর্তনী যার কাজ হল ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তরিত করা।
প্রশ্ন-৯. ফুল অ্যাডার কি?
উত্তর : যে বর্তনীর সাহায্যে তিনটি বাইনারি A, B ও ক্যারি যোগ করার পর দুটি আউটপুট সংকেত যার একটি যোগফল ঝ এবং আউটপুট ক্যারি পাওয়া যায় তাই ফুল অ্যাডার।
প্রশ্ন-১০. অ্যাডার কি?
উত্তর : অ্যাডার হলো একটি সমবায় বর্তনী যার সাহায্যে যোগের কাজ করা হয়।
প্রশ্ন-১১. কোড কি?
উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বা সংকেতের মাধ্যমে বর্ণ, অঙ্ক ও সংখ্যাগুলোকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয় তাই কোড।
প্রশ্ন-১২. বুলিয়ান চলক কি?
উত্তর : কোনো বুলিয়ান চলকের মান এক বা একাধিক স্বাধীন চলকের উপর নির্ভর করলে, নির্ভরশীল চলককে বুলিয়ান চলক বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩. দশমিক পদ্ধতি কী?
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6, 7, 8 ও 9 অঙ্ক বা চিহ্ন বা প্রতীক নিয়ে আলোচনা করা হয় তাই দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এর ভিত্তি 10।
প্রশ্ন-১৪. ডিজিট (অংক) বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কোনো সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সমস্ত মৌলিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডিজিট বা অংক বলে।
প্রশ্ন-১৫. অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতিতে 0 থেকে 7 পর্যন্ত অঙ্ক নিয়ে আলোপচনা করা হয় তাই অকটাল সংখ্যা পদ্ধতি।
প্রশ্ন-১৬. BCD কোড কী?
উত্তর : দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য যে কোড ব্যবহার করা হয় তাই BCD (binary coded decimal) কোড।
প্রশ্ন-১৭. মৌলিক গেইট কাকে বলে?
উত্তর : যে সকল লজিক গেইটের মাধ্যমে বুলিয়ান অ্যালজেবরার মৌলিক অপারেশনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা হয় তাদেরকে মৌলিক গেইট বলে।
প্রশ্ন-১৮. সংখ্যা পদ্ধতির বেজ কি?
উত্তর : কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি হচ্ছে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন সমূহের মোট সংখ্যা। যেমন- বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি ২। কারণ এ পদ্ধতিতে মোট দুইটি মৌলিক চিহ্ন রয়েছে। যথা- ০ ও ১।
প্রশ্ন-১৯. লজিক গেইট কী?
উত্তর : বুলিয়ান অ্যালজেবরায় মৌলিক কাজগুলো বাস্তবায়নের জন্য যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিট বা বর্তনী ব্যবহার করা হয়, তাই লজিক গেইট।
প্রশ্ন-২০. মাল্টিপ্লেক্সার কি?
উত্তর : যে সার্কিটের একাধিক ইনপুট ও একটিমাত্র আউটপুট থাকে এবং যথাযথ নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে ইনপুট সিগনালকে যেকোন অউটপুটে পাঠায় তাকে মাল্টিপ্লেক্সার বলে।
প্রশ্ন-২১. পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কি?
উত্তর : যে সংখ্যা পদ্ধতি প্রকাশ করার জন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্ন, বেজ বা ভিত্তি এবং এর অবস্থান বা স্থানীয় মান প্রয়োজন হয় তাই পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি।
প্রশ্ন-২২. পরিপূরক কাকে বলে?
উত্তর : কোনো বাইনারি সংখ্যার ০ এর পরিবর্তে ১ এবং ১ এর পরিবর্তে ০ লিখলে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে পরিপূরক বলে।
প্রশ্ন-২৪. বুলিয়ার স্বতঃসিদ্ধ কী?
উত্তর : যোগ ও গুণের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যাজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে এই নিয়মগুলোই বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ।
প্রশ্ন-২৫. সত্যক সারণি কী?
উত্তর : যে সকল টেবিল বা সারণির মাধ্যমে বিভিন্ন গেইটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় অর্থাৎ লজিক সার্কিটের ইনপুটের উপর আউটপুটের ফলাফল প্রকাশ করা হয় তাই সত্যক সারণি।
প্রশ্ন-২৬. Not Gate কি?
উত্তর : যে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক সার্কিটে একটি ইনপুট দিয়ে আউটপুটে কমপ্লিমেন্ট পাওয়া যায় সেটিই Not Gate।
প্রশ্ন-২৭. নট (NOT) গেইটের কর্মপদ্ধতি কী?
উত্তর : নট (NOT) গেইটে কেবলমাত্র একটি ইনপুট এবং একটি আউটপুট থাকে। আউটপুট সর্বদা ইনপুটের বিপরীত হয়। NOT গেইটকে ইনভার্টারও (Inverter) বলা হয়। ইনপুট 0 হলে আউটপুট ১ এবং ইনপুট ১ হলে আউটপুট ০ হয়।
প্রশ্ন-২৮. Synchronous Counter বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে কাউন্টারে একটি মাত্র ক্লক পালস্ সবগুালো ফ্লিপ ফ্লপের অবস্থার পরিবর্তন ঘটায় তাকে সিনক্রোনাস কাউন্টার বলে। যেমন- রিং কাউন্টার, MOD-10 কাউন্টার ইত্যাদি।
প্রশ্ন-২৯. ডিজিটাল ডিভাইসে কেন ASCII কোড ব্যবহার হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ এ পূর্ণরূপ হলো– American Standard Code for Information Interchange। এটি বহুল প্রচলিত আলফানিউমেরিক কোড। কিবোর্ড, মাউস, মনিটর, প্রিন্টার, ইত্যাদির মধ্যেই আলফানিউমেরিক ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ASCII কোড ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৩০. হাফ-অ্যাডার ও ফুল-অ্যাডার এক নয় কেন?
উত্তর : দুই বিট যোগ করার জন্য যে সমন্বিত বর্তনী ব্যবহৃত হয় তাকে হাফ-অ্যাডার বলে। অপরদিকে দুই বিট যোগ করার পাশাপাশি যে সমন্বিত বর্তনী ক্যারি বিট যোগ করে তাকে ফুল-অ্যাডার বলে।
হাফ-অ্যাডারে ক্যারি বিট যোগ করতে পারে না কিন্তু ফুল-অ্যাডার ক্যারি বিট যোগ করতে পারে। সুতরাং হাফ-অ্যাডার ও ফুল-অ্যাডার এক নয়।
প্রশ্ন-৩১. এর পরিপূরকের প্রয়োজনীয়তা লিখ।
উত্তর : 2 এর পরিপূরকের প্রয়োজনীয়তা হলো-
১. প্রকৃত মান ও 1 এর পরিপূরক গঠনে 0 এর জন্য দুটি বাইনারি শব্দ (+ 0 ও – 0) সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে + ০ ও – ০ বলতে কিছু নেই। ২ এর পূরক গঠনে এ ধরনের কোন সমস্যা নেই।
২. 2 এর পরিপূরক সংখ্যার জন্য গাণিতিক সরল বর্তনীর প্রয়োজন। সরল বর্তনী দামে সস্তা এবং দ্রুত গতিতে কাজ করে।
৩. 2 এর পরিপূরক গঠনে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা এবং চিহ্নবিহীন সংখ্যা যোগ করার জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা যায়।
প্রশ্ন-৩২. 3D কোন সংখ্যা পদ্ধতির? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কোন একটি সংখ্যা কোন সংখ্যা পদ্ধতির তা নির্ভর করে সংখ্যায় ব্যবহৃত অংকগুলো কোন সংখ্যা পদ্ধতির তার উপর এবং সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তির উপর। প্রশ্নে উল্লিখিত সংখ্যার 3 অংকটি অক্টাল, ডেসিম্যাল এবং হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে থাকলেও D প্রতীকটি একমাত্র হেক্সাডেসিমেল (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F) সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ প্রতিক দুইটি একমাত্র হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত হয়। তাই বলা যায় 3D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা।
প্রশ্ন-৩৩. NAND গেইট একটি সার্বজনীন গেইট – ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যে গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটসহ (AND,OR,NOT) অন্যান্য সকল গেইট বাস্তবায়ন করা যায় তাকে সার্বজনীন গেইট বলে। NAND গেইট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেইট বাস্তবায়ন করা যায়। আবার আমরা জানি তিনটি মৌলিক গেইট দ্বারা যেকোনো গেইট বাস্তবায়ন করা যায়। যেহেতু NAND গেইট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেইটসহ (AND, OR, NOT ) অন্যান্য সকল গেইট বাস্তবায়ন করা যায় তাই NAND গেইটকে সার্বজনীন গেইট বলা হয়।
প্রশ্ন-৩৪. BCD কোড ও EBCDIC কোডের পার্থক্য কি?
উত্তর : BCD এর পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal। ৪টি বিট নিয়ে BCD কোড গঠিত হয়। দশমিক পদ্ধতির সংখ্যক বাইনারি সংখ্যাকে প্রকাশের জন্য এ কোড ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে EBCDIC এর পূর্ণ নাম হলো Extended Binary Coded Decimal Interchange Code. ৪টি বিট নিয়ে EBCDIC কোড গঠিত হয়। এ কোডটি সাধারণত আইবিএম এবং এর সমকক্ষ কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।
প্রশ্ন-৩৫. কোন কোন গেইটকে সর্বজনীন গেইট বলা হয় এবং কেন?
উত্তর : যে গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটসহ (AND,OR,NOT) অন্যান্য সকল গেইট বাস্তবায়ন করা যায় তাকে সার্বজনীন গেইট বলে। NAND ও NOR গেইটকে কে সার্বজনীন গেইট বলা হয়। কারণ NAND গেইট ও NOR গেইট দিয়ে মৌলিক গেইটসহ যেকোনো লজিক গেইট বাস্তবায়ন করা যায়।
প্রশ্ন-৩৬. ইউনিকোড সবার জন্য উপযোগী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ইউনিকোড প্রায় বিশ্বের ছোট-বড়ো সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড যা দ্বারা ২১৬ বা ৬৫৫৩৬ চিহ্নকে নির্দিষ্ট করতে পারে। তাই এটি দ্বারা প্রায় সব দেশের ভাষা কোডের মাধ্যমে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। তাই বলা যায় ইউনিকোড সবার জন্য উপযোগী।
প্রশ্ন-৩৭. বাইনারি 1 + 1 এবং বুলিয়ান 1 + 1 এক নয়– ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করে গণিতের নিয়মে যে যোগ করা হয় তাকে বাইনারি যোগ বলা হয়। আর বুলিয়ান অ্যালজেবরার অর অপারেশন বাস্তবায়নের জন্য যে যোগ করা হয় তাকে বুলিয়ান যোগ বলে। এখানে উল্লেখ্য যে, বাইনারি যোগে যে 0, 1 ব্যবহৃত হয় তা আসলে বাইনারি সংখ্যা কিন্তু বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে 0, 1 ব্যবহৃত হয় তা কোনো সংখ্যা নয় এগুলো আসলে লজিক লেভেল। এজন্য বলা হয় বাইনারি যোগ অর্থাৎ (1 + 1) ও বুলিয়ান যোগ অর্থাৎ (1 + 1) এক নয়।