অর্থগত দিক দিয়ে বাক্যের একটি সার্থক ও সঙ্গত অর্থ থাকা চাই।
বাক্যের অন্তর্গত পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পদগুলো যদি একটি সঙ্গত অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে বলে যোগ্যতা। বাক্যের অর্থ প্রকাশের ক্ষমতাই যোগ্যতা।
যদি বলা হয়— ‘মানুষের চারটি পা ও একটি লেজ আছে।’
এ বাক্যে উদ্দেশ্য (মানুষের চারটি পা ও একটি লেজ) এবং বিধেয় (আছে) উপস্থিত আছে।
অর্থাৎ, বাক্যের গঠনে কোনো ত্রুটি নেই। কিন্তু তা হলেও এটি বাক্য হয় নি। কারণ, বাক্যটি যে অর্থ প্রকাশ করছে, তা অসত্য, অবাস্তব ও অসঙ্গত। মানুষের কখনও চারটি পা ও একটি লেজ থাকে না। কাজেই, বাক্যটির যোগ্যতা না থাকায় এটি বাক্য হল না।
তেমনি — ‘আকাশে গরুগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে।’— দৃষ্টান্তটি যোগ্যতার অভাবে বাক্য হতে পারল না।
কিন্তু প্রথম বাক্যটিকে যদি এভাবে লেখা যায়— ‘গরুর চারটি পা ও একটি লেজ আছে।’
এবং দ্বিতীয় বাক্যটিকে যদি লেখা যায় — ‘আকাশে পাখিগুলো উড়ে বেড়াচ্ছে।’
তাহলে ‘যোগ্যতা’র গুণে এরা বাক্য হয়ে উঠবে।