সরল প্রোটিন কাকে বলে? সরল প্রোটিন কত প্রকার?

যে প্রোটিনকে আর্দ্র বিশ্লেষণ করলে শুধুমাত্র অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়, তাকে সরল প্রোটিন বলে। সরল প্রোটিন ৭ প্রকার।

 

১. অ্যালবিউমিন : পানিতে ও লঘু দ্রবণে দ্রবীভূত হয়। তাপে এরা জমাট বাঁধে। উদাহরণ : B- অ্যামাইলেজ অ্যালাবিউমিন।

 

২. গ্লোবিউলিন : এরা পানিতে অদ্রবণীয়। তবে লঘু দ্রবণে দ্রবণীয়। তাপে এরা জমাট বাঁধে। ডিমের কুসুম, দুধে গ্লোবিউলিন থাকে।

 

 

৩. গ্লুটেলিন : পানিতে অদ্রবণীয় হলেও লঘু এসিড বা ক্ষার দ্রবণে দ্রবণীয়। গমের গ্লুটেনিন এবং চালের অরাইজেনিন এ ধরনের প্রোটিনের উদাহরণ।

 

৪. প্রোলামিন : এ ধরনের প্রোটিন অ্যালকোহল দ্রবণে ৭০-৮০ % দ্রবীভূত হয়। ভুট্টার জেইন, বার্লির হর্ডিন এর উদাহরণ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

৫. হিস্টোন : পানিতে দ্রবীভূত হয়। এরা তাপে জমাট বাঁধে না। এ ধরনের প্রোটিনে অধিক পরিমাণে ক্ষার, অ্যামাইনো এসিড পাওয়া যায়। নিউক্লিয়াসে এ প্রোটিন থাকে।

৬. প্রোটামিন : সবচেয়ে ক্ষুদ্র এ প্রোটিন পানি ও অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড-এ দ্রবীভূত হয়। এরা তাপে জমাট বাঁধে না। নিউক্লিয়াস ও নিউক্লিক এসিডে এ প্রোটিন পাওয়া যায়।

৭. স্ক্লেরোপ্রোটিন : এরা পানি এবং ক্ষার দ্রবণে দ্রবীভূত হয় না। প্রাণিদেহের হাড়, চুল, নখ, ত্বক এ এই প্রোটিন থাকে।