যে পদ্ধতিতে প্রথমে প্রেরক স্টেশনের প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইসে ডেটাকে সংরক্ষণ করা হয় এবং অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টারসমূহকে ব্লক (যাকে প্যাকেটও বলা হয়) আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়, তাকে সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন বলে। সাধারণতঃ কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের সুবিধাসমূহঃ
- সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনের দক্ষতা এসিনক্রোনাস এর তুলনায় অত্যন্ত বেশি।
- যেহেতু ট্রান্সমিশন কার্য অনবরত চলতে থাকে ফলে তার ট্রান্সমিশন গতি অত্যন্ত বেশি।
- প্রতি ক্যারেক্টারের পর টাইম ইন্টারভেল এর প্রয়োজন হয় না এবং প্রতি ক্যারেক্টারের শুরু এবং শেষে Start এবং Stop bit এর প্রয়োজন হয় না।
- সময় তুলনামূলকভাবে কম লাগে।
সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনের অসুবিধাসমূহঃ
- এক্ষেত্রে প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসের প্রয়োজন হয়।
- এটি তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন এর ব্যবহারঃ কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারের ডেটা কমিউনিকেশনের সময়, এক স্থান হতে দূরবর্তী কোনো স্থানে ডেটা স্থানান্তরে, একই সাথে অনেকগুলো কম্পিউটার ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হয়।
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল কেন?
সিনক্রোনাস ট্রান্সমিশন ব্যয়বহুল। কারণ, সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবস্থায় প্রেরক স্টেশনে প্রথমে ডেটাকে কোনো প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে সংরক্ষণ করে নেয়া হয়। যাতে এখানে ক্যারেক্টারসমূহ ব্লক বাধতে পারে। অতঃপর ডেটার ক্যারেক্টার সমূহকে ব্লক (যাতে প্যাকেটও বলা হয়) আকারে ভাগ করে প্রতিবারে একটি করে ব্লক ট্রান্সমিট করা হয়। সিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশনে অতিরিক্ত প্রাথমিক স্টোরেজ ডিভাইসে ব্যবহার করার ফলে খরচ বেশি হয়।