দ্বিযোজী কার্বনাইল মূলকের সাথে হাইড্রোজেন পরমাণু ও একযোজী অ্যালকাইল মূলক (–R) অথবা অ্যারাইল মূলক (–AR) যুক্ত হয়ে যে সব যৌগ উৎপন্ন হয় তাদেরকে একসাথে কার্বনাইল যৌগ বলে। যেমন- ফরম্যালডিহাইড বা মিথান্যাল (H-CHO), অ্যাসিট্যালডিহাইড বা ইথান্যাল (CH₃-CHO), অ্যাসিটোন বা প্রোপানোন (CH₃-CO-CH₃), বেনজ্যালডিহাইড (C6H5-CHO), বেনজোফেনোন (C6H5-CO-C6H5), ইত্যাদি হল কার্বনাইল যৌগ।
জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণ কী?
জৈব যৌগের প্রাচুর্যতার কারণগুলো নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
১. কার্বনের ক্যাটেনেশন : একই মৌলের পরমাণুসমূহের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের শিকল গঠনের ধর্মকে ক্যাটেনেশন বলে। কার্বন পরমাণু একই মৌলের পরমাণুর সাথে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী ও স্থিত বন্ধন সৃষ্টি করতে পারে।
২. কার্বন পরমাণুর যোজনী চার হওয়া : কার্বন পরমাণুর যোজনী 4। তাই এটি নিজেদের মধ্যে একক, দ্বি ও ত্রি-বন্ধন গঠন করার পরেও অন্যান্য মৌলের পরমাণুর সাথে যুক্ত হয়।
৩. জৈব যৌগের সমাণুতা : জৈব যৌগের সমাণুতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়, অর্থাৎ একই আণবিক সংকেত কিন্তু ভিন্ন আণবিক গঠন বিশিষ্ট একাধিক যৌগের উপস্থিতি দেখা যায়।