অভিস্রবণিক চাপ কাকে বলে? পত্ররন্ধ্রের গঠন বর্ণনা করো।

 

 

 

 

 

 

 

 

অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় দ্রাবক অণুর অধিকতর ঘন দ্রবণে প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে হলে ঘন দ্রবণের দিক থেকে যে চাপ প্রয়োগ করতে হয় তাকে ঐ দ্রবণের অভিস্রবণিক চাপ (Osmotic pressure) বলে।

দ্রবণ যত ঘন হবে অভিস্রবণিক চাপ ততো বেশি হবে।

পত্ররন্ধ্রের গঠন বর্ণনা করো।
পত্ররন্ধ্র দুটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির রক্ষীকোষ দিয়ে পরিবেষ্টিত একটি রন্ধ্র নিয়ে গঠিত। প্রতিটি রক্ষীকোষে একটি সুস্পষ্ট নিউক্লিয়াস, বহু ক্লোরোপ্লাস্ট ও ঘন সাইটোপ্লাজম থাকে। রক্ষীকোষদ্বয়ের রন্ধ্র সংলগ্ন প্রাচীর অত্যন্তস্থল ও অস্থিতিস্থাপক, কিন্তু বাইরের দিকের প্রাচীর পাতলা, স্থিতিস্থাপক ও অর্ধভেদ্য। রক্ষীকোষের চারদিকে অবস্থিত সাধারণ ত্বকীয় কোষ থেকে একটু ভিন্ন আকার আকৃতির ত্বকীয় সহকারি কোষ থাকে। পত্ররন্ধ্রের নিচে একটি বায়ুপূর্ণ স্থান থাকে। একে উপ-পত্ররন্ধ্রীয় গহ্বর বলে। অধিকাংশ উদ্ভিদের পত্ররন্ধ্র সকাল ১০-১১টা এবং বিকাল ২-৩ টায় পূর্ণ খোলা থাকে। অন্যান্য সময় আংশিক খোলা থাকে এবং রাত্রে সাধারণত বন্ধ থাকে।