প্লাংকটন (Plankton) কাকে বলে? কর্ডেট এর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি?

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পানিতে ভাসমান ক্ষুদ্র জীবদের প্লাংকটন (Plankton) বলে। প্লাংকটন প্রধানত দুই ধরনের। যথা– ফাইটোপ্লাংকটন ও জুপ্লাংকটন। উদ্ভিদ প্লাংকটনকে ফাইটোপ্লাংকটন এবং প্রাণী প্লাংকটনকে জুপ্লাংকটন বলে। ফাইটোপ্লাংকটন উৎপাদক এবং জুপ্লাংকটন প্রথম স্তরের খাদক।

কর্ডেট এর প্রধান বৈশিষ্ট্য কি কি?

কর্ডেট এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের স্নায়ুরজ্জু থাকে।

ভ্রূণাবস্থায় অথবা আজীবন কর্ডেটের পৃষ্ঠ-মধ্যরেখা বরাবর দণ্ডাকার ও স্থিতিস্থাপক নিরেট নটোকর্ড থাকে। উন্নত প্রাণীদের পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় এটি মেরুদণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়। এসব প্রাণীকে তখন মেরুদন্ডী প্রাণী নামে অভিহিত করা হয়। নটোকর্ডের ঠিক উপরে লম্ব অক্ষ বরাবর ফাঁপা, নলাকার, স্নায়ুরজ্জু বা নার্ভকর্ড থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে নার্ভকর্ডটি পরিবর্তিত হয়ে সম্মুখপ্রান্তে মস্তিষ্ক ও পশ্চাতে সুষুম্নাকাণ্ড গঠন করে। জীবনের যেকোনো দশায় বা আজীবন কর্ডেটে গলবিলের দু’পাশে কয়েক জোড়া ফুলকারন্ধ্র থাকে (উন্নত কর্ডেটে ফুলকারন্ধ্রের বিলোপ ঘটে)।

গলবিলের নিচে এন্ডোস্টাইল নামে একটি অঙ্গ থাকে যা পরে থাইরয়েড গ্রন্থিতে রূপান্তরিত হয়। কর্ডেটে হৃৎপিণ্ড অঙ্কীয়দেশে অবস্থান করে। মেরুদণ্ডীদের দুজোড়া পার্শ্বপদ থাকে। এদের পায়ু-উত্তর পেশল স্থিতিস্থাপক লেজ অবস্থিত। অনেক ক্ষেত্রে এটিও পরবর্তীতে বিলীন হয়ে যায়। কর্ডেটের খণ্ডকায়ন দেহপ্রাচীর, মস্তিষ্ক ও লেজে সীমাবদ্ধ থাকে, সিলোম পর্যন্ত পৌছায় না।