দ্বাদশ অধ্যায় : জীবের পরিবেশ, বিস্তার ও সংরক্ষণ, জীববিজ্ঞান ১ম পত্র

প্রশ্ন-১। বাংলাদেশ কোন প্রাণিভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত?

উত্তরঃ বাংলাদেশ ওরিয়েন্টাল প্রাণিভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত।

 

প্রশ্ন-২। বাংলাদেশে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় কত সালে হয়েছিল?

উত্তরঃ বাংলাদেশে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ১৯৯১ সালে হয়েছিল।

 

প্রশ্ন-৩। হাতির বৈজ্ঞানিক নাম কি?

উত্তরঃ হাতির বৈজ্ঞানিক নাম Elephas maximus.

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৪। জীব বিলুপ্তির কয়েকটি প্রাকৃতিক কারণ লিখ।

উত্তরঃ ১। বসতি বিনাশ ও খণ্ডায়ন; ২। আগ্নেয়গিরি; ৩। দাবানল; ৪। প্রাকৃতিক দুর্যোগ; ৫। মহাজাগতিক বিকিরণ।

 

প্রশ্ন-৫। প্রজাতি কাকে বলে?

উত্তরঃ শ্রেণিবিন্যাসের মূল বা ভিত্তি একক হচ্ছে প্রজাতি। দৈহিক ও জননসংক্রান্ত সার্বিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে সাদৃশ্যপূর্ণ উদ্ভিদসমূহকে প্রজাতি বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৬। জীবগোষ্ঠী কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় একই প্রজাতির জীবসমষ্টিকে জীবগোষ্ঠী বলে।

 

প্রশ্ন-৭। প্রাণিভূগোল কি?

উত্তরঃ প্রাণিভূগোল হলো বায়োজিওগ্রাফী নামক বিজ্ঞানের শাখা, যেখানে প্রাণী প্রজাতিগুলোর অতীত ও বর্তমানকালের ভৌগোলিক বিস্তার সম্পর্কে আলোচনা ও গবেষণা করা হয়।

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-৮। পপুলেশন কী?

উত্তরঃ কোনো এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ে বসবাসকারী একই প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত জীবসমূহকে একত্রে পপুলেশন বলে। পপুলেশন ছোট বা বড় হতে পারে। প্রতিটি পপুলেশনের জন্ম ও মৃত্যু হার থাকে। সময়ের সাথে সাথে পপুলেশনের পরিবর্তন ঘটে। প্রকৃতিই পপুলেশনের বৃদ্ধিকে সীমিত রাখে।

 

প্রশ্ন-৯। এন্ডেমিক প্রাণী কাকে বলে?

উত্তরঃ যেসব প্রাণীর বিস্তৃতি একটি নির্দিষ্ট প্রানিভৌগোলিক অঞ্চলের জন্য সীমাবদ্ধ তাদের এন্ডেমিক প্রাণী বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১০। বিরল প্রজাতি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সব প্রজাতির বিশ্বসংখ্যা ক্ষুদ্র এবং সাধারণত সীমিত ভৌগোলিক এলাকায় বিস্তৃত তাদের বিরল প্রজাতি বলে।

 

প্রশ্ন-১১। বিলুপ্তপ্রায় জীব কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সব উদ্ভিদ বা প্রাণীর অস্বিত্ব হুমকির মুখে এবং বর্তমান কার্যক্রম বা অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এরা বিলুপ্ত হয়ে যাবে, তাদেরকে বিলুপ্তপ্রায় জীব বলে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১২। ওয়ালেসিয়া কী?

উত্তরঃ ওয়ালেস-এর রেখা ও ওয়েবার এর রেখার অন্তবর্তী ভূ-খণ্ডই হলো ওয়ালেসিয়া।

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৩। নেপথ্য বিলুপ্তি এবং গণ বিলুপ্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ বিভিন্ন কারণে সময়ের ব্যবধানে কিছু কিছু প্রজাতি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে এমনকি পৃথিবীর বুক থেকেও বিলুপ্ত হয়ে যায়। এ ধরনের বিলুপ্তিকে নেপথ্য বিলুপ্তি বলে। আবার হঠাৎ করে পৃথিবীব্যাপী বিপুল সংখ্যক প্রজাতি বিলুপ্ত হওয়াকে গণ বিলুপ্তি বলে।

 

প্রশ্ন-১৪। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল কাকে বলে?

উত্তরঃ সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে জোয়ার ও ভাটার মধ্যবর্তী লবণাক্ত কর্দমসঞ্চিত এলাকায় যে সামুদ্রিক উদ্ভিদ জন্মে তাদের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বলে।

 

প্রশ্ন-১৫। সবুজ বেষ্টনী কাকে বলে?

উত্তরঃ সমুদ্র উপকূলবর্তী যে অঞ্চলে প্রধান বায়ু প্রবাহের সমকোণে রোপিত একফালি শাখাবহুল বৃক্ষ প্রজাতিকে সবুজ বেষ্টনী বলে।

 

 

 

 

 

 

 

প্রশ্ন-১৬। প্রাণিভৌগলিক অঞ্চল কাকে বলে?

উত্তরঃ ভৌগােলিক অঞ্চলে প্রাণীদের নির্দিষ্ট সন্নিবেশে এমন কিছু প্রজাতি বাস করে যা ঐ অঞ্চলের একান্ত নিজস্ব, এসব অঞ্চলকে প্রাণী ভৌগােলিক অঞ্চল বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশে অভিযােজনের কারণে পৃথিবীব্যাপী প্রাণী বিস্তারের এ বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।

 

প্রশ্ন-১৭। সোয়াম্প ফরেস্ট কী?

উত্তরঃ স্বাদু বা মিঠা পানির জলাশয় দ্বারা জলাবদ্ধ বন হলো সোয়াম্প ফরেস্ট।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

উত্তরঃ সাগরের পৃষ্ঠীয় মুক্ত অঞ্চলকে বলা হয় পেলাজিক অঞ্চল। এ অঞ্চলে আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ জন্মে। পাশাপাশি প্রচুর প্ল্যাংকটন থাকে। প্রাণীর মধ্যে নানা প্রকার মাছ, হাঙ্গর, ডলফিন ও তিমি থাকে।

প্রশ্ন-৩০। ইকোট্যুরিজম কি?
উত্তরঃ ইকোট্যুরিজম হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর প্রাকৃতিক আবাসস্থল যেখানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণই হলো প্রধান উদ্দেশ্য। এছাড়া সেখানে নয়নাভিরাম দৃশ্য সংবলিত এলাকা হওয়ায় পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়। যেমন- মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক।

প্রশ্ন-৩১। সাফারি পার্ক বলতে কী বুঝ?
উত্তরঃ সাফারি পার্ক এক ধরনের সংরক্ষিত বনভূমি যেখানে বন্য প্রাণীরা প্রাকৃতিক পরিবেশে রক্ষিত থাকে, মুক্তভাবে বিচরণ করে এবং প্রজননের সুযোগ পায়। আর দর্শনার্থীরা সুরক্ষিত থাকে এবং গাড়িতে করে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। এখানে প্রাণিগুলোর মধ্যে একটি প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় থাকে। যেমন- চট্টগ্রামের ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক।

প্রশ্ন-৩২। বায়োমাস পিরামিড বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ নির্দিষ্ট সময়ে কোনো বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন পুষ্টিস্তরের সদস্য জীবসমূহের মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের নকশাটি বায়োমাসের ভিত্তিতে গড়ে উঠলে তাকে বলা হয় বায়োমাস পিরামিড। বায়োমাস হলো জীবজ পদার্থের মোট শুষ্ক ওজন। বায়োমাসের পিরামিডে প্রতিটি। খাদ্যস্তরের মাোট বায়োমাসের পরিমাণ দেখানো হয়।

প্রশ্ন-৩৩। বায়োমাস কি?
উত্তরঃ বায়োমাস বা জীবপিণ্ড হলো কোনো একটি ইকোসিস্টেমের একটি নির্দিষ্ট সময়ে অবস্থিত সকল জৈববস্তুর মোট ভর বা পরিমাণের হিসাব।

প্রশ্ন-৩৪। এক্স-সিট্রু সংরক্ষণ বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ বায়োডাইভারসিটির উপাদানসমূহকে তাদের মূল বাসস্থান বা প্রাকৃতিক স্বাভাবিক পরিবেশের বাইরে বাঁচিয়ে রাখাই হলো এক্স-সিট্রু সংরক্ষণ। বোটানিক্যাল গার্ডেন, সিড ব্যাংক, ফিল্ড জিন ব্যাংক, ইনভিট্রো উপায় ইত্যাদি পদ্ধতিতে এক্স-সিট্রু সংরক্ষণ করা হয়।

প্রশ্ন-৩৫। সাভানা বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ ক্রান্তীয় তৃণভূমিকে সাভানা বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে ক্রান্তীয় তৃণভূমি বিভিন্ন নামে পরিচিত। আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতে সাভানা রয়েছে। মধ্য আফ্রিকার সাভানার আয়তন ৫ মিলিয়ন বর্গমাইল।

প্রশ্ন-৩৬। জীব বিলুপ্তির কারণ কী?
উত্তরঃ জীব বিলুপ্তির বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রাকৃতিক ও মানুষ দ্বারা সৃষ্ট কারণ রয়েছে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বারিবন কেটে ফেলার জন্য জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। কৃষিকাজের জন্য ভরাট করা হচ্ছে জলভূমি, নদীপ্রবাহের গতি ঘুরে যাচ্ছে, পানি কমে যাচ্ছে, বিস্তীর্ণ কূল জুড়ে মরুময়তা, সাগরে নির্বিচারে তিমি ও মাছ শিকার, বাঘ, হাতি, গন্ডারসহ অসংখ্য পাখি প্রজাতির চোরাচালান প্রভৃতি কারণে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে।

প্রশ্ন-৩৭। সুন্দরবনের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ সুন্দরবনের উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্ন্রুপ-
১। এ বনের উদ্ভিদের কাণ্ড ও পাতা রসালো থাকে।
২। উদ্ভিদের মূল স্তম্ভ মূল বা ঠেসমূল থাকে যা মাটির সামান্য নিচে বিস্তৃত থাকে।
৩। অনেক উদ্ভিদে শ্বাসমূল বা নিউমেটোফোর থাকে।
৪। এসব উদ্ভিদের প্রস্বেদন কম হয় এবং উদ্ভিদে জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম হয়।
৫। এদের কোষস্থ প্রোটোপ্লাজম কিছুটা আঠালো এবং এদের অভিস্রবণিক চাপ বেশি থাকে।
৬। উদ্ভিদ অপেক্ষাকৃত খর্বাকার হয় এবং এদের এপিডার্মিস বহুস্তর বিশিষ্ট হয়।