জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব
জীববিজ্ঞান শিক্ষায় উদ্ভিদ, বিভিন্ন প্রাণী ও মানব জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা যায়। সৃষ্টিজগতে জীবকোষের মধ্যে প্রাণের স্পন্দন এক রহস্যপূর্ণ বিষয়। এ কারণে জীববিজ্ঞানের জ্ঞান জীবদেহের বিভিন্ন অংশ ও অঙ্গের গঠন, বিভিন্ন রাসায়নিক কার্যক্রম, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানাে, পুষ্টি গ্রহণ কিংবা প্রজননে প্রধান ভূমিকা রাখে। আমাদের দৈনন্দিন কাজে ও অভিজ্ঞতায় বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। অর্থাৎ বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশের উপাদানে জীববিজ্ঞানের মূল ভিত্তি অন্তর্নিহিত রয়েছে। তাই জীববিজ্ঞান শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
জীববিজ্ঞানের শাখাসমূহ
জীবের ধরন অনুসারে জীববিজ্ঞানকে প্রধান দুটি শাখায় ভাগ করা হয়, যথা উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান। জীবের কোন দিক নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তার উপর ভিত্তি করে জীববিজ্ঞানকে আবার ভৌতবিজ্ঞান ও ফলিত জীববিজ্ঞান এ দুটি শাখায় ভাগ করা হয়।
ফলিত জীববিজ্ঞান
জীবনের সাথে জড়িত প্রায়োগিক বিষয়গুলো এ শাখার অন্তর্ভুক্ত। জীববিজ্ঞানের যে সকল শাখাসমূহ ভৌত জীব বিজ্ঞানের প্রয়ােগ নিয়ে আলােচনা করে তাকে জীব বিজ্ঞানের ফলিত শাখা বলে। যেমন- প্রজননতত্ত্ববিদ্যা, পরজীবিবিদ্যা ইত্যাদি। মানুষ ফলিত জীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জীববিজ্ঞানকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য শাখা নিচে তুলে ধরা হলো–
- প্রত্নতাত্ত্বিকবিদ্যা (Paleontology) : জীববিজ্ঞানের এ শাখায় প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
- জীবপরিসংখ্যান বিদ্যা (Biostatistics) : জীব পরিসংখ্যান বিষয়ক বিজ্ঞান।
- পরজীবীবিদ্যা (Parasitology) : পরজীবিতা, পরজীবী জীবের জীবনপ্রণালি এবং রোগ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
- মৎস্যবিজ্ঞান (Fisheries) : মাছ, মাছ উৎপাদন, মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
- কীটতত্ত্ব (Entomology) : কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।