প্রাণিজগতের বিভিন্ন প্রাণীর সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিভাগ, শ্রেণি, গোত্র, গণ, প্রজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।
শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা
শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো–
শ্রেণীবিন্যাস এর সাহায্যে পৃথিবীর সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে জানা যায়। নতুন প্রজাতি শনাক্ত করতে শ্রেণীবিন্যাস অপরিহার্য। প্রাণীকুলের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে প্রাণীকুলের মাঝে যে পরিবর্তন ঘটেছে বা ঘটছে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অসংখ্য প্রাণীকূলকে একটি নির্দিষ্ট রীতিতে বিন্যস্ত করে গোষ্ঠীভুক্ত করা যায়। প্রাণীর মধ্যে মিল-অমিল এর ভিত্তিতে পরস্পরের মধ্যে সম্বন্ধ নির্ণয় করা যায়। প্রাণী সম্পর্কে সামগ্রিক ও পরিকল্পিত জ্ঞান নির্ণয় করা যায়। যেমন-সব এককোষী প্রাণী কে একটি পর্বে এবং বহুকোষী প্রাণীদের নয়টি পর্বে ভাগ করা হয়।
তাই, শ্রেণিবিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।