গণিতশাস্ত্রের যে শাখায় ত্রিভুজের কোণ ও বাহুর পরিমাণ এবং এসব সম্পর্কিত বিষয় আলোচনা করা হয়, তাকে ত্রিকোণমিতি (Trigonometry) বলে। ত্রিকোণমিতির দুটি শাখার একটি সমতলীয় ত্রিকোণমিতি এবং অপরটি গোলকীয় ত্রিকোণমিতি।
ত্রিকোণমিতি শাখাটি হিপাচার্স আবিষ্কার করেন।
এটি গণিতের প্রাচীনতম শাখাগুলোর একটি। অতি প্রাচীনকাল থেকে জ্যোতির্বিদায় ত্রিকোণমিতি ব্যবহৃত হচ্ছে। সূর্যের গতি ও সময় নির্ণয়ের প্রাচীনতম যন্ত্র “Shadow Stick”-এ প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল এই ত্রিকোণমিতি। এছাড়া পরবর্তীতে ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করে অনেক ধরনের ঘড়ি আবিষ্কৃত হয় যেগুলো বিভিন্ন নক্ষত্রের সাহায্যে সময় নির্ণয় করতে পারত। যেমন- Gonon Circle, Merkhet ইত্যাদি। অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়েও ত্রিকোণমিতি ব্যবহৃত হয়। ত্রিকোণমিতির ধারণাকে কাজে লাগিয়ে প্রাচীন জ্যোতির্বিদরা ঋতু নির্ণয় করেছিলেন যা সেই সময় বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদির পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করেছিল।
ত্রিকোণমিতিক সমীকরণের সাধারণ সমাধান
এক বা একাধিক ত্রিকোণমিতিক অনুপাত সম্বলিত সমীকরণকে ত্রিকোণমিতিক সমীকরণ বলে। সমীকরণটির সংশ্লিষ্ট কোণকেই চলরাশি বলা হয়। চলরাশির (কোণের) যে সকল মানের জন্য প্রদত্ত সমীকরণটি সিদ্ধ হয়, সে সকল মানকে সমীকরণটির সমাধান বলা হয়। সকল সমাধানকে অভিন্ন রাশিমালাতে প্রকাশ করা হলে তাকে সাধারণ সমাধান বলে।