জীবের ক্ষতিকারক জিনকে অপসারণ করে সুস্থ জিন প্রতিস্থাপনকে জিন থেরাপি (Gene therapy) বলে। কিছু মারাত্মক রোগ যেমন: ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হিমোফিলিয়া এবং এইডস ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় জিন থেরাপি দেওয়া হয়।
জিন থেরাপি ২ প্রকার। যথা: ১. জার্ম-লাইন থেরাপি; ২. সোমাটিক সেল থেরাপি।
কী কী রোগের চিকিৎসায় জিন থেরাপি ব্যবহার করা হয়?
জিন থেরাপি তখনই ব্যবহার করা হয় যখন আর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিছুই করার থাকে না। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত রোগ, এইডস ও ক্যান্সার চিকিৎসার একেবারে শেষ মুহূর্তে জিন থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আলঝাইমার, আরথ্রাইটিস, সংক্রমক রোগ প্রভৃতির ক্ষেত্রে জিন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
জিন থেরাপির মৌলিক কৌশল
জিন থেরাপি হলো জটিল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি যেখানে ঔষধ বা ড্রাগসের পরিবর্তে কোষের জিনগত পরিবর্তনের মাধ্যমে রোগ নিরাময় করা হয়। পদ্ধতিতে রোগের জন্য দায়ী ত্রুটিপূর্ণ জিন অপসারণ করে সুস্থ জিন প্রতিস্থাপন করা হয়। জিনগত পরিবর্তন খুব সূক্ষ্মভাবে সম্পন্ন করতে হয়। তা না হলে পরবর্তীতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। জিন থেরাপিতে জিন পরিবহনের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর বাহক প্রয়োজন। জেনেটিক্যালি অলটার্ড ভাইরাস বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত একটি বাহক, যা বিশুদ্ধ জিন পরিবহ করে। রোগ আক্রান্ত কোষে (যেমন : যকৃত, ফুসফুস) এই বাহক ভাইরাস স্থাপন করা হয়। বাহক ভাইরাসগুলো রোগাক্রান্ত কোষে রোগ-বিণাশী জিন ছড়িয়ে দেয়। এতে করে রোগাক্রান্ত কোষে সুস্থ জিন প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে কোষগুলো পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হয়।