গুণ কাকে বলে? গুণ করার নিয়ম কি? গুণ করার সহজ পদ্ধতি কি?

 

 

 

 

 

হিসাব-নিকাশ সংক্রান্ত সমস্যা সাধারণত যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ প্রক্রিয়ার সাহায্যে সমাধান করা হয়। যোগের সংক্ষিপ্ত রূপ বা নিয়মকে গুণ (Multiplication) বলে। অনেকগুলো একই জাতীয় সংখ্যাকে যোগের পরিবর্তে গুণ করে অল্প সময়ে এর মান সহজে নির্ণয় করা হয়। যেকোনো অঙ্ক করার জন্য এবং আমাদের ব্যবহারিক জীবনের জন্য গুণ খুব গুরুত্বপূর্ণ গাণিতিক প্রক্রিয়া। একটি গুণ অঙ্কের সাথে তিনটি রাশি সম্পৃক্ত। যথা- গুণ্য, গুণক ও গুণফল। গুণ্য ও গুণককে গুণ করলে গুণফল পাওয়া যায়। গুণ্য ও গুণকের স্থান পরিবর্তন করলে গুণফল একই থাকে।

গুণ করার নিয়ম
এক অঙ্কবিশিষ্ট গুণকের ক্ষেত্রে গুণক দ্বারা গুণ্যের সকল অঙ্ককে গুণ করে গুণফল পাওয়া যায়। একাধিক অঙ্কের গুণকের প্রতিটি অঙ্কের স্থানীয় মান দ্বারা গুণ্যকে গুণ করে গুণফলগুলো যোগ করা হয়। এ যোগফলই নির্ণেয় গুণফল।

গুণ করার সহজ পদ্ধতি
১। দুইটি সংখ্যা গুণের ক্ষেত্রে ছোটটিকে গুণক ধরলে গুণ করা সহজ হয়।
২। গুণকের কোনো অঙ্ক ০ থাকলে তা দ্বারা গুণ্যকে গুণ না করে অন্য অঙ্কগুলোর স্থানীয় মান দ্বারা গুণ করে গুণফলগুলো যোগ করলে গুণফল নির্ণয় সহজ হয়।
৩। গুণ্য বা গুণক বা উভয়ের ডানে এক বা একাধিক অঙ্ক শূন্য হলে সেক্ষেত্রে গুণ করা সহজ হয়।