এসি ও ডিসি বিদ্যুৎ শক্তির মধ্যে ডিসি বিদ্যুৎ শক্তির নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। এ শক্তি একসাথে বেশি পরিমাণে উৎপন্ন করা যায় না কিন্তু এ শক্তির প্রয়োজনীয়তা অনেক ক্ষেত্রেই অপরিহার্য। ইলেকট্রোপ্লেটিং, টেলিফোন সিস্টেম, বিদ্যুৎ এর সঞ্চয় এ ধরনের ঘটনায় ডিসি বিদ্যুৎ জড়িত। ডিসি বিদ্যুৎ উৎপন্নের ক্ষেত্রে প্রধান উৎস সেল ও ব্যাটারি। বিশ্বস্ততার জন্য এ ধরনের শক্তি বহুল ব্যবহৃত হয়। যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক শক্তি থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ প্রবাহ পাওয়া যায়, তাকে বৈদ্যুতিক সেল বা বিদ্যুৎ কোষ বলে।
বিদ্যুৎ সেল মূলত ইলেকট্রো-কেমিক্যাল বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট, যা নিয়মিত রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করে। বিদ্যুৎ কোষ প্রধানত দুই ধরনের হয়।
১. প্রাইমারি বা মৌলিক সেল এবং ২. সেকেন্ডারি বা সঞ্চয়ক সেল।
সেলে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ ও ইলেকট্রোড এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন নামকরণ হয়ে থাকে। বিশ্বস্ততাসহ এর বহুবিধ সুবিধার জন্য দিন দিন এর ব্যবহার বেড়েই চলছে।
এ আর্টিকেলের মাধ্যমে সেল, ব্যাটারি ও সেলের শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সেলের সংজ্ঞা (Definition of Cell) : যে যন্ত্রের সাহায্যে রাসায়নিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়, তাকে সেল বলে। সেলের ভিতর স্থির মানের ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়, যার ফলে বদ্ধ সার্কিটে ডাইরেক্ট কারেন্ট প্রবাহের (ডিসি) সৃষ্টি হয়।
এ কাজের জন্য অপরিবাহী পাত্রের মধ্যে, ভিন্নধর্মী দুইটি ধাতব পাত ও রাসায়নিক পদার্থ রাখলে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। লোড সংযুক্ত করে সার্কিটের আবদ্ধ অবস্থায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। সেলে উৎপন্ন ভোল্টেজ সেলের ইলেকট্রোডের আয়তনের উপর নির্ভর করে না, উহার উপাদান বা এ্যাকটিভ পদার্থের পরিমাণ ও গুণাগুণের উপর নির্ভর করে। আর তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ উহার উপাদানের পরিমাণ ও গুণাগুণের উপর নির্ভর করে।
সেলের উপাদানসমূহ : (ক) পজিটিভ পাত বা ইলেকট্রোড ও নেগেটিভ পাত বা ইলেকট্রোড এবং (খ) রাসায়নিক পদার্থ বা ইলেকট্রোলাইট।
ব্যাটারির সংজ্ঞা (Definition of Battery) : কতকগুলো তড়িৎ কোষ বা সেল এর সংযোগকে ব্যাটারি বলে। ব্যাটারিতে একাধিক সেল যুক্ত থাকে। সাধারণভাবে প্রতিটি ড্রাই সেলে ১.৫ ভোল্ট, লিড এসিড সেলে ২.২ ভোল্ট উৎপন্ন হয় এবং উৎপাদিত শক্তির পরিমাণ সীমিত।