নরম কাণ্ডযুক্ত (বিরুৎ) উদ্ভিদে এক ধরনের বিশেষ শাখা উৎপন্ন হয়। এ শাখাগুলো অঙ্গজ প্রজননের মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি করে থাকে। মাটির উপরে বা সামান্য নিচে অবস্থিত এ ধরনের দুর্বল শায়িত রূপান্তরিত কাণ্ডকে অর্ধবায়বীয় কাণ্ড বলে। যেমন— দূর্বাঘাস, কচুরিপানা ইত্যাদি।
অর্ধবায়বীয় কাণ্ড চার প্রকারের হতে পারে। যথা- (i) রানার বা ধাবক (ii) স্টোলন বা বক্র ধাবক (iii) অফসেট ও (iv) সাকার বা ঊর্ধ্ব ধাবক।
নিচে অর্ধবায়বীয় কাণ্ডসমূহের গঠন বর্ণনা করা হলো–
রানার বা ধাবক : থানকুনি, দূর্বাঘাস, আমরুল ইত্যাদি উদ্ভিদের কাণ্ডের নিচের পর্বের কাক্ষিক মুকুল থেকে যে শায়িত শাখা জন্মায় তাকে ধাবক বলে।
স্টোলন বা বক্র ধাবক : এরা এক বিশেষ ধরনের ধাবক। কচু উদ্ভিদের গোড়া থেকে লম্বা শাখা বের হয়। এ শাখার শুধু পর্বগুলো অস্থানিক মূলের সাহায্যে মাটি ধরে রাখে, বাকি শাখাটি বক্রভাবে অবস্থান করে। কক্ষে সৃষ্ট মুকুল থেকে পরে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।
অফসেট : টোপাপানা, কচুরিপানা নামক জলজ উদ্ভিদের পর্বমধ্যগুলো ছোট ও মোটা হওয়ার কারণে কাণ্ডকে খর্বাকৃতি দেখায়। এদের অফসেট বলে।
সাকার বা ঊর্ধ্ব ধাবক : চন্দ্রমল্লিকা, বাঁশ প্রভৃতি উদ্ভিদের শায়িত কাক্ষিক মুকুল থেকে উৎপন্ন হয়ে শাখাটির অগ্রভাগ মাটির উপরে চলে আসে এবং নতুন উদ্ভিদ উৎপন্ন করে।