সাধারণভাবে, প্রজাতিগত বৈচিত্র্য বলতে নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ, প্রাণী ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবের অথবা বৃহৎ অর্থে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির উপস্থিতি ও পার্থক্যকে বোঝায়। প্রজাতি বৈচিত্র্যের সমার্থক শব্দরূপে জীববৈচিত্র্যকেও ব্যবহার করা হয়।
প্রকৃতপক্ষে, বাস্তুতন্ত্র প্রতিটি জীবরে নির্দিষ্ট সংখ্যা ও তার প্রকৃতিকে নির্দেশ করে। নিরক্ষীয় বৃষ্টিঅরণ্য বাস্তুতন্ত্রে উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির উপস্থিতি সর্বাধিক। প্রজাতি বৈচিত্র্যের পরিধি যত বেশি হবে ততই খাদ্যশৃঙ্খলের সংখ্যা এবং দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে।
প্রজাতিগত বৈচিত্র্যের বৈশিষ্ট্য
- স্থলজ, জলজ বা বায়বীয় বাসস্থানে, বৃহৎ অর্থে পার্থিব বা জলজ বাস্তুতন্ত্র বা বায়োমে প্রজাতি বৈচিত্র্য বিভিন্ন হয়ে থাকে।
- কৃত্রিম বাস্তুতন্ত্রে প্রজাতির বৈচিত্র্য বাস্তুতন্ত্রের সামগ্রিক ভারসাম্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।
- কোনো নির্দিষ্ট বাস্তুতন্ত্র বা বায়োমে প্রজাতির বৈচিত্র্য থেকে প্রজাতির সংখ্যা, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র জানা যায়। আবার, একই প্রজাতির ভিন্ন শ্রেণি, গোত্র বর্ণও লক্ষ করা যায়।
- কোনো বাস্তুতন্ত্রে প্রজাতির সংখ্যা থেকে বাস্তুতন্ত্রে প্রাচুর্যতা বা স্বল্পতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
- প্রাকৃতিক অঞ্চল ভেদে বাস্তুতন্ত্র বা বায়োমে প্রজাতির সংখ্যাভিত্তিক পার্থক্য দেখা যায়।
- পৃথিবীর বিভিন্ন বায়োমের মধ্যে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সর্বাধিক প্রজাতিগত বৈচিত্র্য লক্ষ করা যায়।
- কোনো বাস্তুতন্ত্র বা বায়োমে প্রজাতির সংখ্যা যত বেশি হয় তত খাদ্যশৃঙ্খল ও খাদ্যজালিকার উপস্থিতিও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। ফলে বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।
- প্রজাতির বৈচিত্র্য প্রাকৃতিক পরিবেশের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেমন – জলবায়ু, শিলা, মৃত্তিকার উর্বরতার ওপর নির্ভরশীল।