কম্পিউটার কাকে বলে? কম্পিউটারের জনক কে?

কম্পিউটার কি বা কাকে বলে?

গ্রিক শব্দ Compute অর্থ হিসাব বা গণনা করা। এই compute শব্দ থেকে Computer শব্দটি এসেছে। Computer শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র।ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ ১৮৩৩ এবং ১৮৭১ সালের মধ্যে এ ডিভাইস ডিজাইন করেছিলেন। বিশেষভাবে, কম্পিউটারের ৩ টি মুখ্য কাজ রয়েছে।

 

প্রথম কাজ হলো, ডাটা গ্রহণ করা। যাকে ইনপুটও বলা হয়।

দ্বিতীয় কাজ হলো, গ্রহণ করা ডাটা প্রসেস করা।

তৃতীয় কাজ হলো প্রসেস করা ডাটা আমাদের দেখানো। যাকে আমরা “Output” ও বলা হয়।

 

 

 

 

 

 

 

 

কম্পিউটার কাকে বলে?, বৈশিষ্ট্য, কম্পিউটারের জনক কে এসব জানার পাশাপাশি এর প্রতি আসক্তির কুফল সম্পর্কেও জেনে নেই। কম্পিউটারে আসক্ত হলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয়। অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের বেড়ে ওঠার জন্য মাঠে মাঠে ছোটাছুটি করতে হয়, খেলতে হয়। যে সময় খেলার মাঠে খেলার কথা সে সময় ঘরের কোনায় কম্পিউটারের সামনে মাথা গুঁজে বসে থাকাটা মোটেই ভালো কাজ নয়।

কম্পিউটারে আসক্ত হয়ে পড়লে কম্পিউটারের বাইরের কথা চিন্তাও করা যায় না। চলুন তাহলে কম্পিউটারল আসক্তির কুফল সম্পর্কে জেনে নেই –

  • প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় হয়।
  • অনেকক্ষণ ধরে কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার ফলে শরীরের দেহভঙ্গি ঠিক থাকে না এ কারণে মাংসপেশির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
  • ঘাড়, কোমর ব্যথা হয়।
  • ঘাড়ের মাংসপেশি শক্ত হয়ে যায়।
  • কাঁধে ও হাতে ব্যথা হতে পারে।
  • মাথা ব্যথ, চোখ ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখ, চোখে পানি পড়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে ইত্যাদি।

কম্পিউটার আসক্তির কুফল থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় কম্পিউটার ব্যবহার করাকে কম্পিউটার আসক্তি বলা হয়। বর্তমানে শিশু, ছেলেমেয়ে, বয়স্ক ব্যক্তিরা সহ কম্পিউটারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। একজন যখন তার মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে সময় না দিয়ে সেই সময়টাও কম্পিউটারের পেছনে ব্যয় করে তখন বুঝতে হবে তার কম্পিউটারে আসক্তি জন্মেছে। এ আসক্তি মারাত্মক ক্ষতি করে। বিশেষ করে কাজ কর্মে ক্ষতি, লেখাপড়ায় সমস্যা, মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত ইত্যাদি।

এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তাকে অবশ্যই আনন্দ পাওয়া শিখিয়ে দিতে হবে। সবচেয়ে ভালো বিষয় হচ্ছে খেলাধুলা। সে কতক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া। মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। মজার মজার গল্পের বই কিনে দেওয়া এবং নিয়মিত তাকে যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করলে কম্পিউটার আসক্তি থেকে রক্ষা পাবে।

মনে রাখবেন, কম্পিউটার খুব চমৎকার একটা যন্ত্র। আমরা সেটাকে ব্যবহার করব কিন্তু সেটা যেন কখনো আমাদের ব্যাবহার না করে।