আজ আমরা নিউটনের সূত্র সমূহ জানার চেষ্টা করব।
স্যার আইজ্যাক নিউটন এর গতিসূত্রগুলি হল প্রকৃতির তিনটি নিয়ম, যা চিরায়ত বলবিদ্যার ভিত্তি স্বরূপ। এই সূত্রগুলি বস্তুর উপর প্রযুক্ত বল এবং তার দরুন সৃষ্ট গতির মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা করে।
১৬৮৭ সালে সম্পাদিত এবং লাতিন ভাষায় প্রকাশিত বই ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা -এ নিউটনের প্রথম ও দ্বিতীয় গতিসূত্র।
বলবিদ্যার এই সূত্র তিনটি সর্বপ্রথম আইজাক নিউটন তার লেখা ফিলোসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা (প্রাকৃতিক দর্শনের গাণিতিক মূলনীতিসমূহ) গ্রন্থে সংকলন করেছিলেন, যা ১৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল। নিউটন সূত্রগুলো ব্যবহার করে অনেক প্রাকৃতিক বস্তু এবং ব্যবস্থার গতি ব্যাখ্যা এবং তদন্ত করেছিলেন, যা নিউটোনীয় বলবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
(সোর্স:উইকিপিডিয়া)
নিউটনের প্রথম সূত্র
“বাহ্যিক বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে অথবা গতিশীল বস্তু চিরকাল সুষম গতিতে সরলরেখায় বা সরল পথে চলতে থাকবে “।
গাণিতিকভাবে বলা যায় যে কোনও বস্তুর উপর প্রযুক্ত নিট বল যদি শূন্য হয় তবে বস্তুর গতিবেগ ধ্রুব থাকে।
F=dp/dtযদি প্রযুক্ত বল F=0 হয়
তবে dv/dt=0 অর্থাৎ বেগের পরিবর্তন ও শূন্য (0).নিউটনের প্রথম সূত্রকে প্রায়শই জড়তার সূত্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র
“সময়ের সাথে ,কোন বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল যে দিকে ক্রিয়া করে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তন সেদিকেই ঘটে”।ধ্রুব ভর সম্পাদনা
ধ্রুবক ভরের বস্তু এবং ব্যবস্থাসমূহের জন্য দ্বিতীয় সূত্রকে বস্তুর ত্বরণের সাহায্যে পুনরায় বিবৃত করা যেতে পারে।
F=d(mv)/dt
=mdv/dt
=ma
যেখানে F হলো প্রযুক্ত নিট বল, m হলো বস্তুর ভর, এবং a হলো বস্তুর ত্বরণ। সুতরাং, কোনো বস্তুতে প্রয়োগকৃত নিট বল সমানুপাতিক ত্বরণ সৃষ্টি করে।
নিউটনের তৃতীয় সূত্র
“প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে”।দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়ারত সকল বলের মান একই এবং এরা একে অপরের বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে।
যদি A বস্তু দ্বিতীয় কোন বস্তু B এর উপর Fa বল প্রয়োগ করে, তাহলে B বস্তুটিও একইসাথে A বস্তুর উপর Fbবল প্রয়োগ করবে, এবং দুইটি বলের মান সমান ও বিপরীতমুখী: Fa = −Fb.