পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। এ যুগে আরবীয় রসায়নবিদগণ মনে করতেন, রসায়ন চর্চার মূল উদ্দেম্য ‘পরশ পাথর'(Philosopher’s stone) আবিষ্কার, যার সাধারণ স্পর্শে নিকৃষ্ট ধাতুকেও স্বর্ণে পরিণত করা যায়।
আরব হতে দ্বাদশ বা চতুর্দশ শতাব্দীতে ল্যাটিন ইউরোপে রসায়নবিদ্যার প্রসার ঘটে। এ সময় ইউরোপে যে রসায়ন চর্চা হত তা ছিল অনেকটা আল-কেমিদের ধারা অনুসৃত। সে যুগের উল্লেখযোগ্য রসায়ন বিজ্ঞানী ছিলেন রোজার বেকন(১২১৪-৯৮)। ষোড়শ শতাব্দীতে বিজ্ঞানী প্যারাসেলসাস এর নেতৃত্বে একদল রসায়নবিদের উদ্ভব হয়। এঁদের ধারণা ছিল রসায়নের সাহায্যে জীবনকে রোগমুক্ত করে অমরত্ব দেয়া যায়। এর ফলে রসায়ন চিকিৎসাশাস্ত্রের অন্তর্ভূক্ত হয়ে পড়ে।
পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ ধারা সিদ্ধান্তে উপনীত হবার প্রচেষ্টা আরম্ভ হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে আইরিশ বিজ্ঞানী রবার্ট বয়েলের সময় থেকে। এ সময় নানা রকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যুক্তি-তর্কের সাহায্যে কোনো বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হবার প্রবণতা দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা মৌলিক তত্ত্ব আবিষ্কারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। অষ্টদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সে ল্যাভয়সিয়ে ও বার্থোলে, ইংল্যান্ডে প্রিস্টলি ও ক্যাভেন্ডিস, সুইডেনে শীলে প্রমুখ প্রথিতযশা বিজ্ঞানী বহু পরীক্ষা সম্মত মতবাদ দ্বারা বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলেন। তাদের অবদান রসায়নে বহু নতুন আবিষ্কার ও তত্ত্বের প্রতিষ্ঠার দ্বারা সমৃদ্ধি লাভ করে।
সমাপ্ত হলেও হয় নি——এরপর—আধুনিক যুগ—–সর্বাধুনিক যুগ—–এর পরও চলবে পৃথিবীর অন্তিম কাল পর্যন্ত।