Number System: বাইনারি(Binary), অক্টাল(Octal), হেক্সাডেসিমাল, ডেসিমাল

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি-Binary Number System

বাই অর্থ ২ (দুই)। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য মাত্র ২ (দুই) টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্ক (digit) দুটি হলো “০” এবং “১”। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিটি চিহ্নকে bit বলে। bit কে Binary Digit এর সংক্ষিপ্ত রূপ বলে। এটি সরলতম সংখ্যা পদ্ধতি। যেমন— (11011)2, (11.101)2, (101011)2 ইত্যাদি।

 

 

 

 

 

 

অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি-Octal Number System

অক্টা অর্থ ৮ (আট)। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ৮ (আট) টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্ক (ডিজিট) গুলো হলো 0,1,2,3,4,5,6 এবং 7। যেমন- (246)8, (17.64)8 , (7051)8 ইত্যাদি।

 

 

 

ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি-Decimal Number System

ডেসি অর্থ ১০ (দশ)। যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা গণনা করার জন্য ১০ (দশ) টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহার করা হয় তাকে ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। মানুষ সাধারণত গণনার কাজে ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। প্রচলিত রয়েছে মানুষের ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করার কারণ হলো মানুষের দুই হাতের মোট আঙ্গুলের সংখ্যা ১০ (দশ)। ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত প্রতীক বা অঙ্ক (ডিজিট) গুলো হলো 0,1,2,3,4,5,6,7,8 এবং 9। যেমন— (497)10, (46.89)10, (1011)10 ইত্যাদি।

 

 

 

 

 

 

 

হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি-Hexadecimal Number System

হেক্সাডেসিমাল শব্দটির দুটি অংশ; একটি হলো হেক্সা (Hexa) অর্থাৎ ৬ এবং অপরটি ডেসিমাল (Decimal) অর্থ্যাৎ ১০, দুটো মিলে হলো ষোল অর্থাৎ যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ (ষোল) টি অঙ্ক বা প্রতীক ব্যবহৃত হয় তাকে হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। ষোলটি অংকের জন্য দশমিকের ১০ টি অঙ্ক ও ইংরেজি ৬ টি বর্ণ ব্যবহৃত হয় হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির প্রতীকগুলো হলো 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9,A,B,C,D,E এবং F। হেক্সাডেসিমালে A , B , C , D , E এবং F এর সমকক্ষ দশমিক মান যথাক্রমে ১০,১১,১২,১৩,১৪ ও ১৫। যেমন (2A3)16, (921.FE)16, (1E70)16 ইত্যাদি।