সংখ্যা পদ্ধতি (Number System) কি? সংখ্যা পদ্ধতির ধারণা এবং প্রকারভেদ

সংখ্যা পদ্ধতি

Number System

একদিন আমি অঙ্ক করতে করতে লক্ষ্য করল 387, 837, 738 এই তিনটি সংখ্যাই 3, 7, 8 এই তিনটি চিহ্ন বা অঙ্কের মাধ্যমে গঠিত, কিন্তু প্রতিটি সংখ্যাই ভিন্ন ভিন্ন মান নির্দেশ করছে। এর কারণ ভাবতে গিয়ে আমি বুঝতে পারলাম এখানে অঙ্ক তিনটির বিন্যাসের একটি বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে একটি সংখ্যার মান নির্ধারিত হয়। বিশেষ কিছু চিহ্ন বা অঙ্ক বিন্যস্ত করে যে পদ্ধতিতে গণনা করা হয় তাকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। সহজভাবে বলা যায় সংখ্যা গণনা করার পদ্ধতিকে সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতি রয়েছে। যেমনঃ দশমিক (ডেসিমাল), বাইনারি, অক্টাল ও হেক্সাডেসিমাল। কম্পিউটার সিস্টেমে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির গুরুত্বই বেশি তবে অন্যান্য সংখ্যা পদ্ধতি পরোক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় ।

 

সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ

Classification of Number System

সংখ্যা পদ্ধতিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

 

১। অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি (Non Positional Number System)

২। স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি (Positional Number System)

 

 

অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কি?

এই পদ্ধতিতে প্রতিটি চিহ্ন বা অংকের কোনো স্থানিক মান নেই। এটি পূর্বে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে এটির প্রচলন নেই বললেই চলে। যেমনঃ রোমান, মেয়্যান, ট্যালি ও হায়ারোগ্লিফিক্স সংখ্যা পদ্ধতি।

স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য

যেকোন সংখ্যা পদ্ধতির ক্ষেত্রে নিচের ৩ টি বৈশিষ্ট্য প্রযোজ্য।

 

যেমনঃ

 

প্রতিটি সংখ্যা পদ্ধতির একটি Base বা ভিত্তি থাকতে হবে।

ব্যবহৃত প্রতিটি Digit বা অংকের স্থানিক ( Local ) মান থাকতে হবে।

স্থানিক মানকে Power বা ঘাত মান দিয়ে প্রকাশ করা যাবে।

Positional সংখ্যা পদ্ধতির ক্ষেত্রে র‍্যাডিক্স পয়েন্ট এর সাহায্যে একটি সংখ্যাকে দু অংশে ভাগ করা যায়। যথা পূর্ণাংশ ও ভগ্নাংশ।

 

 

 

স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি (Positional Number System)

সাধারণ হিসাব-নিকাশের জন্য দশমিক বা ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। তবে কম্পিউটার সিস্টেমের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন হিসাব নিকাশ সম্পন্ন হয় বাইনারি পদ্ধতিতে। কারণ কম্পিউটার তার অভ্যন্তরীণ কাজে বিট (0,1) ব্যবহার করে থাকে। নিচে এদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলোঃ

 

 

 

বিট (Bit): কম্পিউটারে ব্যবহার্য ডেটার সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অংশ হলো বিট। তথা একক বাইনারি মান ” 0 ” অথবা “1” হলো বিট । Bit এর পূর্ণরূপ হলো Binary digit.

নিবল (Nibble): ১ বাইটের অর্ধেক তথা ৪ (চার) বিট মিলে নিবল হয়, যা সাধারণত একটি হেক্সাডেসিমাল সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

বাইট (Byte): এক সেট বিট হলো বাইট যা কম্পিউটারে কোডিং এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ৮ বিট মিলে ১ বাইট হয়ে থাকে।

ওয়ার্ড (Word): কম্পিউটারের স্বাভাবিক ডেটা সাইজ হলো ওয়ার্ড। এটি নির্ভর করে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের উপর। যেমনঃ ২ বাইট মিলে একটি ওয়ার্ড হতে পারে ।

 

এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানব-

 

 

সংখ্যা পদ্ধতি বা Number System কি?

সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ

অস্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কি?

স্থানিক সংখ্যা পদ্ধতি কি?

Bit, Nibble, Byte ও Word

সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য