সংখ্যা পদ্ধতি র গুরুত্ব ও ভিত্তি – বাইনারি, অক্টাল, ডেসিমাল,হেক্সাডেসিমাল

 

 

 

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির গুরুত্ব

বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে মাত্র দুটি চিহ্ন (0 ও 1) ব্যবহার করা হয় বলে একে বাইনারি বা দ্বিমিক সংখ্যা পদ্ধতি বলা হয়। কম্পিউটার অসংখ্য ইলেকট্রনিক সার্কিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি যন্ত্র। এই সার্কিটগুলোতে বিদ্যুতের High ভোল্টেজ ও Low ভোল্টেজের ভিত্তিতে কাজ হয়ে থাকে।

 

High ভোল্টেজকে বিট-1 এবং Low ভোল্টেজকে বিট-0) দিয়ে নির্দেশ করা হয়।

তাই কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রক্রিয়াকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি দিয়ে সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়।

 

কোনো সংখ্যার সবচেয়ে ডানে অবস্থিত বিটটিকে সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ বিট বা LSB (Least Significant Bit) বলা হয় এবং সর্ববামে অবস্থিত বিটটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিট বা MSB (Most Significant Bit) বলা হয়।

 

 

 

অপরপক্ষে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 0-9 এই দশটি চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। এই দশটি চিহ্নকে নির্দেশ করার জন্য বিদ্যুতের দশটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা প্রকাশের প্রয়োজন হয়, যা অত্যন্ত জটিল ও ঝামেলাপূর্ণ। এজন্য দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি দিয়ে কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করা অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন।

 

তাই কম্পিউটারে দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার না করে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। অধিকাংশ ইলেকট্রনিক সার্কিট বাইনারি মোডে কাজ করে। যেমন-ম্যাগনেটিক কোর-ক্লক ওয়াইজ বা অ্যান্টিক্লক ওয়াইজ ম্যাগনেটাইজড্ হতে পারে, একটি সুইচ অফ বা অন হতে পারে, ইলেকট্রনিক সংকেত উপস্থিত বা অনুপস্থিত থাকতে পারে।

 

 

 

 

এসব ক্রিয়াকে সহজেই বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বিট-1 ও বিট-0 দিয়ে নির্দেশ করা যায়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির জন্য সার্কিট ডিজাইন করাও সহজ এবং একই সার্কিট দিয়ে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা সম্ভব। তাই বলা যায়, বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বৈদ্যুতিক বর্তনীতে তথ্য প্রক্রিয়াকরণের একমাত্র সহজ এবং অন্যতম উপায়।

 

সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি

Base of Number System

কোনো সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তি বলতে ঐ ব্যবহৃত মোট অঙ্ক বা প্রতীকসমূহের সংখ্যাকে বুঝায়। যেমনঃ ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতিতে 0,1,2,3,4,5,6,7,8,9 এই দশটি মৌলিক চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করা হয়।

 

 

 

 

 

সুতরাং ডেসিমাল সংখ্যা পদ্ধতির বেস 10, দশমিক সংখ্যা পদ্ধতির কোনো সংখ্যা X হলে একে প্রকাশ করা হয় (X)10। অনুরূপভাবে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেস 2, অক্টাল- এর বেস ৪ এবং হেক্সাডেসিমালের বেস 16। কোনো সংখ্যা পদ্ধতির যেকোনো সংখ্যাকে ব্রাকেটের মধ্যে লিখে ডান পাশে নিচে ছোট করে সেই সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত্তির মান লিখতে হয়।

 

নিচে বিভিন্ন প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির নাম, প্রতীক, বেস ও উদাহরণ দেখানো হলোঃ