ডেটাবেজ (Database) কি ? ডেটাবেজ এর ধারণা ও ব্যবহার

ডেটাবেজ কি ?

এক বা একাধিক টেবিল বা ফাইল নিয়ে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত গঠিত ডেটার সংগ্রহকেই বলা হয় ডেটাবেজ। আরও সহজভাবে বললে, কোন উপাত্ত বা ডেটার সুসংগঠিত সমাবেশ যা সহজে ব্যবহারযোগ্য ও হালনাগাদ করা যায়।

 

ডেটাবেজ সম্পর্কে ধারণাঃ

এ সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে হলে আমাদের প্রথমেই কিছু জিনিস নিয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। যেমনঃ ফিল্ড, রেকর্ড, টেবিল। এগুলো হলো ডেটাবেজের প্রাণ। তো আমরা বিশদভাবে টপিকগুলো জেনে নিই।

 

 

 

 

 

 

 

 

ফিল্ডঃ যদি বলা হয়, ডেটাবেজের ভিত্তি কি ? অবশ্যই উত্তর হবে, ডেটাবেজের ভিত্তি হলো ফিল্ড। মূলত ফিল্ড হলো একটি ক্যাটেগরির নাম, যেখানে একই ধরনের ডেটা রাখা হয়। অর্থাৎ ফিল্ড হচ্ছে ক্ষুদ্রতম ডেটা একক। প্রতিটি ফিল্ডের ডেটার ধরন আলাদা হয়। একটি ফিল্ড গঠিত হয় কয়েকটি অক্ষর নিয়ে।

উদাহরণঃ একটি কোম্পানির চাকরিজীবীদের একটি তালিকা আছে। সেখানে সবার নাম, বয়স, বেতন, পদবি ইত্যাদি থাকে। তো এই নাম, পদবি এসব হলো ফিল্ড। যদি আমরা একটি ফিল্ডের নাম দেই “পদবি” তবে সবার পদবি সেখানে তালিকা আকারে থাকবে। নিচের ছবিতে ফিল্ডগুলো চিহ্নিত করে দেখানো হলো-

 

 

রেকর্ডঃপরস্পর সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ফিল্ড নিয়ে গঠিত হয় এক একটি রেকর্ড। নিচের ছবির টেবিলটিতে চিহ্নিত অংশটুকু হলো রেকর্ড। এখানে A নামক ব্যক্তির নাম, বয়স, পদবি, বেতন ইত্যাদি সম্পর্কযুক্ত কতগুলো ফিল্ড নিয়ে একটি রেকর্ড তৈরি করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

টেবিলঃডেটাবেজ এ এক বা একাধিক রেকর্ড নিয়ে তৈরি হয় একটি টেবিল। প্রতিটি টেবিলের আলাদা আলাদা নাম থাকে। নিচে একটি পণ্য সম্পর্কিত টেবিল দেয়া হলো।

কলাম এবং রোঃকলাম হলো উল্লম্বভাবে অথবা লম্বালম্বি (Vertical) ভাবে থাকা উপাত্তগুলো। অপরদিকে রো হলো ভূমি/সারি (Horizontal) বরাবর উপাত্ত। সহজ বাংলায়, একটি টেবিলের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত হলো কলাম এবং সমান্তরাল বরাবর হলো রো।

 

ডেটাবেজ এর ব্যবহারঃ

আধুনিক পৃথিবীতে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে ডেটাবেজ এর ব্যবহার হয় না। চলুন এর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্র নিয়ে পরিচিতি হোক।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

  • তথ্য ব্যবস্থাপনা : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন নির্বাচন কমিশন , পরিসংখ্যান ব্যুরো , শিক্ষা ব্যুরো , রঙ্গুনি উন্নয়ন ব্যুরো , কৃষি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে ।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদিতে বিভিন্ন তথ্য অন্তর্ভুক্ত করণের কাজে ।
  • টেলিকমিউনিকেশন : টেলিফোনের কল রেকর্ড , মাসিক বিল , প্রিপেইড কলিং বিলের হিসাব , গ্রাহকের বিভিন্ন তথ্যাবলী সংরক্ষণে ।
  • উৎপাদন ব্যবস্থাপনা : বিভিন্ন উৎপাদন , মজুদ , পরিমাণ , চাহিদা , অর্ডার প্রভৃতি হিসাব বিশ্লেষণে ।
  • ব্যাংকিং : গ্রাহকের বিবরণ , ব্যালেন্স , একাউন্ট স্টেটমেন্ট , লোন , ক্রেডিট কার্ড প্রভৃতি কাজে ।
  • মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা : কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথিপত্র , বেতন ভাতাদি , ওভার টাইম , আয়কর , বোনাস প্রভৃতি হিসাব প্রক্রিয়াকরণ এবং সংরক্ষণে ।
  • শিল্প ও কলকারখানায়: সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে শিল্প কারখানার বিভিন্ন সিস্টেমে ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয় ।
  • বৈজ্ঞানিক গবেষণায় : বিজ্ঞান এবং গবেষণায় সিমুলেশন ও বিভিন্ন কাজে ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয় ।

এই আর্টিকেলে আমরা জানবো –

  • ডেটাবেজ কি ?
  • ডেটাবেজ এর ধারণা।
  • ফিল্ড কি ?
  • রেকর্ড কি ?
  • টেবিল কি ?
  • কলাম এবং রো কি ?
  • ডেটাবেজ এর ব্যবহার।