প্রাণী কোষ এবং প্রাণীটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেশন
বহুকোষী প্রাণীদেহে কতগুলো কোষ এক বিশেষ ধরণের কাজে নিয়োজিত থাকে। একই ভ্রুণীয় কোষ থেকে উৎপন্ন এক বা একাধিক ধরণের কিছু সংখ্যক কোষ জীব দেহের কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক স্থানে অবস্থান করে সমস্টিগতভাবে একটি কাজে নিয়োজিত থাকলে ওই কোষগুলো সমস্টিগতভাবে টিস্যু বা কলা গঠন করে। একটি তিস্যুর কোষগুলোর উৎপত্তি, কাজ এবং গঠন একই রকম হয়। জীববিজ্ঞানের যে শাখায় টিস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে টিস্যুতত্ত্ব বা (Histology) বলা হয়। কোষ এবং টিস্যুর মধ্যে পার্থক্য খুবই নির্দিষ্ট। কোষ হচ্ছে একক এবং টিস্যু হলো কতগুলো কোষের সমষ্টি। যেমনঃ আবরণী টিস্যু, যোজক টিস্যু, পেশি টিস্যু ইত্যাদি।
আবরনী টিস্যুঃ
যে প্রাণী টিস্যু প্রাণীর বিভিন্ন অঙ্গের আবরণ হিসেবে কাজ করে বা আবরন তৈরি করে, সেই টিস্যুকে আবরনী টিস্যু বলে।
কাজঃ
১। প্রানীর বিভিন্ন অঙ্গকে আবৃত্ত রাখে।
২। প্রানীর অঙ্গকে বাইরের যে কোনো আঘাত থেকে রক্ষা করে।
৩। প্রাণীদেহে প্রোটিন সহ বিভিন্ন পদার্থ ক্ষরণ ও নিঃসরন করে।
পেশি টিস্যুঃ
যে প্রাণী টিস্যু প্রাণীর দেহে পেশী গঠন করে তাদের পেশি টিস্যু বলে। পেশি টিস্যু তিন ধরনের।
১। রৈখিক বা ঐচ্ছিক পেশি।
২। মসৃণ বা অনৈচ্ছিক পেশি।
৩। হ্রদপেশি।
কাজঃ
১। হ্রদপেশি মূলত হ্রদপিন্ডের সংকোচন প্রসারনের কাজ করে থাকে।
২। ঐচ্ছিক পেশির কাজ দ্রুত এবং শক্তিশালী। হাত ও পায়ের বড় বড় অস্থিসহ দেহের অন্যান্য অস্থির সঞ্চালনের জন্য এ পেশিকলাই দায়ী।
খেলার মাধ্যমে প্রাণী কোষ এবং প্রাণীটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেশন
প্রাণী কোষ এবং প্রাণীটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেশন
প্রাণী কোষের গঠন ও কাজ
একটি প্রাণী কোষকে প্রধানত দুটি অংশে ভাগ করা যায়।
১। কোষ আবরণী বা প্লাজমামেমব্রেন এবং
২। প্রোটোপ্লাজম
প্রোটোপ্লজমকে আবার প্রধানত দুটি অংশে ভাগ করা যায়।
১। সাইটোপ্লাজম এবং
২। নিউক্লিয়াস
সাইটোপ্লাজমের প্রধান অংশগুলো হলোঃ ম্যাট্রিক্স, কোষীয় অঙ্গাণু এবং কোষীয় জড়বস্তু।
নিউক্লিয়াসের প্রধান অংশগুলো হলোঃ নিউক্লিয় পর্দা, নিউক্লিওপ্লাজম, নিউক্লিওলাস এবং ক্রোমাটিন জালিকা বা তন্তু।
প্রাণী কোষ এবং প্রাণীটিস্যুর গঠন ও কাজ বিশ্লেশন
কাজঃ
প্রাণী কোষে বিদ্যমান সবথেকে মূল্যবান অঙ্গটি হলো নিউক্লিয়াস। যা সব ধরণের কাজ নিয়ন্ত্রনের কেন্দ্র। নিউক্লিয়াসের মাধ্যমেই পিতা মাতার বৈশিষ্ট্য গুলো সন্তানের মধ্যে প্রকাশ পায়। মূলত নিউক্লিয়াসের ভিতরে যে ক্রোমোসোম বিদ্যমান ,সেগুলোই বংশগতির ধারক এবং বাহক।