সম্পূরক খাদ্য কাকে বলে?
জলাশয় বা পুকুরের মাটি ও পানির স্বাভাবিক উর্বরতায় পুকুরে যে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদিত হয় তা দিয়ে মাছের খাদ্য চাহিদা পূরণ হয় না।
মাছ ও পশুপাখি আঁশ জাতীয় খাবার ও দানাদার খাদ্য থেকে পুষ্টি উপাদানগুলো পেয়ে থাকে। কিন্তু এ খাবার খাওয়ার পরও মাছ, পশুপাখির কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায় না। তাই মাছ ও পশুপাখি থেকে দ্রুত ও অধিক উৎপাদন পেতে প্রচলিত খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিনই কিছু অতিরিক্ত খাদ্য সরবরাহ করা হয়। এ খাদকে সম্পূরক খাদ্য বলে। যেমনঃ মাছের সম্পূরক খাদ্য খৈল, ভূষি, লবণ, ফিশমিল ইত্যাদি।
সম্পূরক খাদ্যের প্রকারভেদ
মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এরকম বহুসংখ্যক দ্রব্য আমাদের দেশে রয়েছে। মাছের সম্পূরক খাদ্যের বিভিন্ন ভিত্তিতে শ্রেণিবিন্যাস করা হয়ে থাকে। খাদ্য ও শক্তি এবং আমিষের পরিমাণের ভিত্তিতে সম্পূরক খাদ্যের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। যথা- অধিক শক্তি সম্পূর্ণ খাদ্য ও কম শক্তি সম্পন্ন খাদ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বিভিন্ন ধরনের শস্যদানায় অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে আমিষ থাকে কিন্তু এগুলো অধিক পরিমাণে শক্তি উৎপাদন করে। আবার অনেক খাদ্যে উৎপাদন অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে আমিষ থাকে, যথা- টিস্যু মিল, ফিস মিল ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো তুলনামূলক কম শক্তি সরবরাহ করে।
সম্পূরক খাদ্যকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১) প্রাকৃতিক সম্পূরক খাদ্য
২) কৃত্রিম সম্পূরক খাদ্য বা তৈরি খাদ্য
৩) উৎস অনুযায়ী প্রাকৃতিক সম্পূরক খাদ্যদ্রব্যকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা হয় যথা-
৪) উদ্ভিদ খাদ্য
৫) প্রাণিজ খাদ্য